প্রশ্ন
কুরবানীর পশু কুরবানীর নিয়তে প্রতিপালন করার পর উক্ত পশু দিয়েই কি কুরবানী দিতে হবে? নাকি অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করা যাবে? দয়া করে দ্রুত জানাবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
যার উপর কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি যদি কুরবানী করার নিয়তে পশু ক্রয় করে প্রতিপালন করে, তাহলে উক্ত পশু কুরবানী করা তার জন্য আবশ্যক নয়। বরং এটা ছাড়া অন্য পশু দিয়েও কুরবানী করতে পারবে।
কিন্তু যার উপর কুরবানী করা আবশ্যক ছিল না, এমন ব্যক্তি কুরবানীর পশু ক্রয়ের সময় কুরবানীর নিয়তে ক্রয় করে থাকলে উক্ত পশু দিয়েই কুরবানী করা আবশ্যক।
তবে যদি ক্রয় করার সময় কুরবানীর নিয়তে ক্রয় করেনি। বরং এমনিতে প্রতিপালনের নিয়তে ক্রয় করেছিল। পরবর্তীতে কুরবানীর নিয়ত করে, তাহলে উক্ত পশুটি ছাড়াও অন্য পশু দিয়ে বা উক্ত পশু বিক্রি করে অন্য পশু ক্রয় করেও কুরবানী দিতে পারবে। চাই তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক হোক বা না হোক। উভয় সূরতেই অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করা তার জন্য জায়েজ। উক্ত পশু দিয়ে কুরবানী করা আবশ্যক নয়।
وأم الذى يجب على الفقير دون الغنى فالمشترى للأضحية إذا كان المشترى فقيرا، بأن اشترى فقير شاة ينوى أنضحى بها….. وإن كان غنيا لا يجب عليه بالشراء شيئ بالاتفاق….. ولو كان فى ملك انسان شاة فنوى أن يضحى بها أو اشترى شاة ولم ينو الأضحية وقت الشراء ثم نوى بعد ذلك أن يضحى بها لا يجب عليه سواء كان غنيا أو فقيرا، لأن النية لم تقارن الشراء فلا تعتبر (بدائع الصنائع، كتاب الأضحية-4/192-193، الفتاوى الهندية-5/291، جديد-5/336)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com