প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / খতমে তারাবীতে একবার বিসমিল্লাহ জোরে এবং সূরা নাস শেষ করে আবার সূরা বাকারা থেকে পড়া হয় কেন?

খতমে তারাবীতে একবার বিসমিল্লাহ জোরে এবং সূরা নাস শেষ করে আবার সূরা বাকারা থেকে পড়া হয় কেন?

প্রশ্ন

প্রশ্নকারীর নাম: মাহমুদুল হাসান মারুফ

ঠিকানা: পীরগঞ্জ

জেলা/শহর: রংপুর

দেশ: বাংলাদেশ

প্রশ্নের বিষয়: তারাবী

বিস্তারিত:
—————-
মুহতারাম মুফতী সাহেব,
হাফেজ সাহেবগণ খতম তারাবীর শেষ দিনের শেষ রাকাতে সূরা নাসের পর সূরা বাকারার কিছু অংশ পড়েন কেনো?
আর কোনো এক সূরার শুরতে বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়ার কারণ কী?
জানালে উপকৃত হবো। জাঝাকুমুল্লাহ।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীসের মাঝে কুরআন শেষ করার পর আবার শুরুতে পড়তে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম উত্তম আমল বলেছেন। এ কারণে খতমে কুরআনের পর আবার শুরুতে সূরা বাকারার ৫টি আয়াত পড়া হয়।

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম সূরা নামল ছাড়া অন্য কোন একটি সূরার শুরুতে কুরআনের অংশ। এটা নিশ্চিত। তবে প্রতি সূরার সূরতে লেখা বিসমিল্লাহির রাহমানীর রহীম কুরআনের অংশ নয়। এটা ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর অভিমত।

এ কারণে খতমে তারাবীতে সূলা নামল ছাড়াও অন্য সূরার শুরুতে একবার আয়াত হিসেবে আলাদাভাবে জোরে বিসমিল্লাহ পড়া হয়। যাতে করে মুক্তাদীদের কুরআনের খতম পূর্ণতা পায়। নতুবা বিসমিল্লাহ ইমাম আস্তে পড়লে ইমামের কুরআন খতম হলেও মুক্তাদীদের শ্রবণে এবং তারাবীতে খতমে কুরআন পূর্ণ হবে না। একটি আয়াত তথা বিসমিল্লাহ বাদ থাকার কারণে।

তাই একবার জোরে বিসমিল্লাহ পড়া হয়। যাতে করে মুক্তাদীদেরও কুরআন খতম পূর্ণ হয়।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الْحَالُّ الْمُرْتَحِلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَمَا الْحَالُّ الْمُرْتَحِلُ قَالَ ‏”‏ الَّذِي يَضْرِبُ مِنْ أَوَّلِ الْقُرْآنِ إِلَى آخِرِهِ كُلَّمَا حَلَّ ارْتَحَلَ

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কি? তিনি বললেনঃ কুরআন শুরু থেকে পড়ে খতম করার পর আবার শুরু থেকে পাঠ আরম্ভ করা। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-, ইফাবা-২৯৪৮]

قرأ أهل مكة إذا ختموا القرآن بالتلاوة ابتدأوا وقرأوا الفاتحة وخمس أيات من أول سورة البقرة إلى وأولئك هم المفلحون، ثم يقطعون القرءة ويسمون فاعل ذلك الحال المرتحل (النهاية فى غريب الحديث والأثر، تحت لفظ حلل، دار الكتب العلمية بيروت-1\413-414)

ولو ختم القرآن فى الأولى يقرأ من البقرة فى الثانية، لقوله صلى الله عليه وسلم: خير الناس الحال المرتحل، يعنى الخاتم المفتوح (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-352، رد المحتار، زكريا-2\269، كرتاشى-1\546)

وهى أية واحدة من القرآن كله أنزلت للفصل بين السور (الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-2\193، كرتاشى-1\491، الفتاوى الهندية-1\74، جديد-1\131، طحطاوى على مراقى الفلاح-26)

ولو قرأ تمام القرآن فى التراويح، ولم يقرأ البسملة فى ابتداء سورة من السور، سوا ما فى النملة لم يخرج عند عهدة السنية، ولو قرأها سرا خرج عن العهدة، لكن لم يخرج المقتدون عن العهدة (احكام القنطرة-273)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com

আরও জানুন

মোবাইলে নাপাকী লাগলে তা পবিত্র করার পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন: ছোট বাচ্চা  মোবাইল এ পেশাব করে দিয়েছে,  এখন ঐ মোবাইল পবিত্র কিভাবে  করতে হবে?? বাটন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস