প্রশ্ন
From: মোঃ রেজওয়ানুর রহমান
বিষয়ঃ ফাযায়েলে হজ্বের একটি ঘটনার উপর আপত্তি!(কথিত যীনার অপবাদ)
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম শায়খ। কেমন আছেন?আমি জেনারেল শিক্ষীত, ২০১৪ তে তিন চিল্লা দিয়েছি।বেশ কয়েক বছর যাবৎ দেখছি,আমাদের অনেক আলহে হাদীস ভাইগণ ফাযায়েলে হজ্বের একটি ঘটনা নিয়ে আপত্তি করে থাকেন!এই সম্পর্কে আপনাদের মতামত জানতে চাই!ধানমন্ডি ৭ থেকে রেজওয়ান।
# তাদের অভিযোগ –
এক বালক প্রতি পদক্ষেপেই পড়ছিলো – “আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা মুহাম্মাদিন অলা আলে মুহাম্মাদিন”। ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ এরকম ভাবে দুরুদ পড়ার কারণ কি? সে বললঃ একবার আমি আমার মায়ের সাথে হজ্জে গিয়েছিলাম। পথে আমার মা মারা যান, তার মুখ কালো হয়ে যায় এবং পেট ফুলে যায়। মনে হলো সে অনেক বড় পাপ করেছে। তখন আমি আল্লাহ্র দরবারে হাত উঠিয়ে দু’আ করলাম। এই সময় হিজাজের দিক থেকে একখণ্ড মেঘ উড়ে আসলো এবং তা থেকে এক বাক্তি বের হয়ে আমার মায়ের মুখে হাত বুলালেন, আর অমনি তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেল এবং পেটে হাত বুলালেন; অতপর পেটের ফুলাও চলে গেল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ আপনার ওয়াসীলায় আমার মায়ের বিপদ কেটে গেল, আপনি কে? তিনি উত্তর দিলেনঃ আমি তোমার নবী মুহাম্মদ (সাঃ). আমি নবী (সাঃ) এর নিকট আরজ করলামঃ আমাকে কিছু উপদেশ দান করুন। নবী (সাঃ) বললেনঃ যখন কদম উঠাবে এবং রাখবে, তখনই পড়বে -“আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা মুহাম্মাদিন অলা আলে মুহাম্মাদিন”।
[প্রমান দেখুন- ফাযায়েলে আমল – ফাযায়েলে দুরুদ, মূল লেখকঃ মাওঃ জাকারিয়া, পরিচ্ছেদ নং- ০৫, অধ্যায়ঃ দুরুদ শরীফ সম্পর্কিত কপিতয় ঘটনা, পৃষ্ঠা নং- ১০৭, প্রকাশনীঃ বাংলা ইসলামিক একাডেমী, কাকরাইলের মুরুব্বীদের এজাজতে লিখিত তাবলীগী নেছাব নং- ০৭ এবং ফাযায়েলে দুরুদ, পরিচ্ছেদ নং- ০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, চকবাজার, ঢাকা কতৃক পরিবেশিত]# অভিযোগ ১ –
আমরা জানি আল্লাহ্র রাসূল (সা:) মহান, পূত পবিত্র চারিত্রিক বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন। তিনি তার সারা জীবনে একবারো গায়ের মাহরাম মহিলাদের পেট এবং দেহ তো দুরের কথা হাতও স্পর্শ করেননি। এমনকি তিনি যখন মহিলাদের থেকে বাইয়াত বা শপথ নিতেন তখনো শুধু মৌখিকভাবেই নিতেন।
# অভিযোগ ২ –
পাঠক লক্ষ্য করুন! এছাড়াও উক্ত ঘটনায় মহান আল্লাহ্র সাথে শিরক করা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে, বালকটি মা মারা যাওয়ার পর রাসূল (সাঃ) তার মার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন অথচ এই ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্র ছাড়া আর কারো নেই, এমনকি নবী-রাসূলগনেরও নেই।
রাসুল (সাঃ) এর একটি ছেলে ৮ মাস বয়সে ইন্তিকাল করেছেন; তাতে তিনি ৩ দিন পর্যন্ত শোকে কাতর ছিলেন এবং দুঃখে কান্নাকাটি করেছেন কিন্তু তিনি তার নিজের ছেলের জীবন ফিরিয়ে আনতে পারেননি। অনেক সাহাবী যুদ্ধে নিহত হয়েছেন কিন্তু ১ সাহাবীর জীবনও তিনি ফিরিয়ে আনতে পারেননি l
শায়খের কাছে উপরোক্ত অভিযোগ সমূহের দলিল ভিত্তিক জবাব আশা করছি।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এ ঘটনা শাইখুল হাদীস মাওলানা জাকারিয়া রহঃ নিজের পক্ষ থেকে বানিয়ে লিখেন নি। বরং তিনি সালাফে সালেহীনের কিতাব থেকে নকল করেছেন মাত্র। যেমন:
১
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম সাখাবী রহঃ (মৃত্যু ৯০২ হিজরী) এই ঘটনাটি তার প্রসিদ্ধ কিতাব “আলক্বাওলুল বাদী’ গ্রন্থে, ইমাম আবূ নূয়াইম রহঃ (মৃত্যু ৪৩০ হিজরী) এবং ইমাম বাশকাওয়াল রহঃ (মৃত্যু ৫৭৮ হিজরী) থেকে নকল করেছেন।
দেখুন আলক্বাওলুল বাদী এর আরবী পাঠ:
وروى أبو نعيم وابن بشكوال عن سفيان الثوري أيضاً قال بينما أنا حاج إذ دخل علي شاب لا يرفع قدماً ولا يضع أخرى إلا وهو يقول اللهمصلي محمد وعلى آل محمد فقلت له أبعلم تقول هذا قال نعم ثم قال من أنت قلت سفيان الثوري قال العراقي قلت نعم قال هل عرفت الله قلت نعم قال كيف عرفته بأنه يولج الليل في النهار ويولج النهار في الليل ويصور الولد في الرحم قال يا سفيان ما عرفت الله حق معرفته قلت وكيف تعرفه قال بفيخ العزم والهم ونقض العزيمة هممت ففيخ همتي وعزمت فنقص عزمي فعرفت أن لي ربا يدبرني قال قلت فما صلواتك على النبي – صلى الله عليه وسلم – قال كنت حاجاً ومعي والدتي فيألتني إن أدخلها البيت ففعلت فوقعت وتورم بطنها وأسود وجهها قال فجلست عندها وأنا حزين فرفعت يدي نحو السماء فقلت يارب هكذا تفعل بمن دخل بيتك فإذا بغمامة قد أرتفعت من قبل تهامة وإذا رجل عليه ثياب بيض فدخل البيت وأمر يده على وجهها فأبيض وأمر يده على بطنها فابيض فيكن المرض ثم مضى ليخرج فتعلقت بثوبه فقلت من أنت الذي فرجت عني قال أنا نبيك محمد – صلى الله عليه وسلم – قلت يا رسول الله فأوصني قال لا ترفع قدماً ولا تضع أخرى إلا وأنت تصلي على محمد وعلى آل محمد – صلى الله عليه وسلم (القول البديع فى الصلاة على الحبيب الشفيع0446-447)
২
ইমাম ইবনে হাজার হায়তামী রহঃ (মৃত্যু ৯৭৪ হিজরী) তার কিতাব ‘আদদুররুল মানদ্বূদ ফিস সালাতি ওয়াসসালামি আলা সাহিবিল মাক্বামিল মাহমূদ’ গ্রন্থের ২৪৬-২৪৭ পৃষ্ঠায়ও উক্ত ঘটনা নকল করেছেন।
৩
ইমাম আবুল আব্বাস আলক্বাতালানী রহঃ (মৃত্যু ৯২৩ হিজরী) তার কিতাব ‘মাছালিকুল হুনাফা ইলা মাশারিয়িস সালাতি আলাল মুস্তাফা’ গ্রন্থের ১৬৪-১৬৫ পৃষ্ঠায় নকল করেন।
৪
এই ঘটনাটিই সনদসহকারে ইমাম ইবনে বাশক্বাওয়াল রহঃ (মৃত্যু ৫৭৮ হিজরী) তার কিতাব ‘আলক্বুরবাতু ইলা রব্বিল আলামীন বিসসালাতি আলা মুহাম্মাদ সাইয়্যিদিল মুরসালীন গ্রন্থের ১৩৯-১৪১ পৃষ্ঠায় এনেছেন।
আরবী পাঠ:
أخبرنا أبو الحسن عبد الرحمن بن عبد الله العدل، عن أبي بكر جماهر بن عبد الرحمن، قال: أنبأنا أبو بكر أحمد بن الحسين الشيرازي، قال: أنبأنا أبو نصر أحمد بن عبد الباقي بن طوق -بقراءتي عليه بالموصل-، حدثنا أبو الفتح عبد الملك بن عيسى العكبري، عن أحمد بن جوري حدثنا أبو بكر محمد بن الحسن المنقري -المعروف بـ: النقاش- حدثنا محمد بن شاذان المطوعي -بنيسابور- حدثنا جعفر بن محمد بن شاكر، حدثنا أبو نعيم، حدثنا سفيان الثوري رحمه الله تعالى قال: بينما أنا حاج، إذ دخل رجل شاب حاج، لا يرفع قدما ولا يضع أخرى، إلا وهو يقول: اللهم صل على محمد، وعلى آل محمد.
فقلت له: أتعلم بقول هذا؟
قال: نعم من أنت؟
قلت: أنا سفيان الثوري.
قال: سفيان العراقي.
قلت: نعم.
قال: هل عرفت الله؟
قلت: نعم.
قال: فكيف عرفته؟
قلت: بأنه يولج الليل في النهار، ويولج النهار في الليل، ويصور الولد في الرحم.
قال: يا سفيان! ما عرفت الله حق معرفته.
قلت: فكيف تعرفه؟
قال: عرفته بفسخ الغم والهم، ونقض العزيمة. هممت ففسخ همي، وعزمت فنقض عزيمتي؛ فعرفت أن لي ربا يدبرني.
قلت: فما صلاتك على النبي صلى الله عليه وسلم.
قال: كنت حاجا ومعي والدتي، فسألتني أن أدخلها البيت، فأدخلتها فوقعت وتورم بطنها واسود وجهها، فجلست عندها وأنا حزين، فرفعت يدي نحو السماء فقلت: يا رب! هكذا يفعل بمن دخل بيتك.
فإذا بغمامة قد ارتفعت من قبل تهامة، وإذا رجل عليه ثياب بياض، فدخل البيت فأمر يده على وجهها فابيض، وأمر يده على بطنها فسكن الورم، ثم مضى ليخرج؛ فتعلقت بثوبه فقلت: من أنت الذي فرجت عني؟
قال: ((أنا نبيك محمد صلى الله عليه وسلم)).
فقلت: يا رسول الله! أوصني. قال: ((لا ترفع قدما ولا تضع قدما؛ إلا وأنت تقول: اللهم صل على محمد وعلى آل محمد (القربة الى رب العالمين بالصلاة على محمد سيد المرسلين-139-141)
সনদ
ইমাম ইবনে বাশকাওয়াল রহঃ। তিনি আবুল হাসান আব্দুর রহমান বিন আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে। তিনি আবু বকর জামাহির বিন আব্দুর রহমান রহঃ থেকে। তিনি আবূ বকর আহমাদ বিন হুসাইন শীরাজী রহঃ থেকে। তিনি আবূ নসর আহমাদ বিন আব্দুল বাকী বিন তূক রহঃ থেকে। তিনি আবূল ফাতাহ আব্দুল মালিক বিন ঈসা রহঃ থেকে। তিনি আহমাদ বিন মুহাম্মদ বিন জূরী রহঃ থেকে। তিনি আবূ বকর মুহাম্মদ বিন হাসান নাক্কাশ রহঃ থেকে। তিনি মুহাম্মদ বিন শাজান রহঃ থেকে। তিনি জাফর বিন মুহাম্মদ বিন শাকের রহঃ থেকে। তিনি আবূ নুয়াইম রহঃ থেকে। তিনি সুফিয়ান সাওরী রহঃ থেকে।
কিতাবের স্ক্রীন শর্ট
সনদটি জঈফ হলেও এ আরো দু’টি ‘শাওয়াহেদ’ আছে। যথা-
১ম শাহেদ
ইমাম আবূ বকর ইবনে আবীদ দুনিয়া রহঃ (মৃত্যু ২৮১ হিজরী) তার কিতাব ‘কিতাবুল মানামাত’ এরকমেরই আরেকটি বর্ণনা নকল করেছেন।
যার আরবী পাঠ হলো:
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، ثني عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّمِيمِيُّ، أَنَا أَبَانُ الْأَهْوَازِيُّ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: ” خَرَجْتُ حَاجًّا يَصْحَبُنِي رَجُلٌ فَكَانَ لَا يَقُومُ وَلَا يَقْعُدُ وَلَا يَذْهَبُ وَلَا يَجِيءُ إِلَّا صَلَّى عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقُلْتُ لَهُ فِي ذَلِكَ , فَقَالَ: أُخْبِرُكَ عَنْ ذَلِكَ , خَرَجْتُ أَوَّلَ سِنِيَاتٍ إِلَى مَكَّةَ وَمَعِي أَبِي , فَلَمَّا انْصَرَفْنَا فَكُنَّا فِي بَعْضِ الْمَنَازِلِ فَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ أَتَانِي آتٍ فَقَالَ لِي: قُمْ فَقَدْ أَمَاتَ اللَّهُ أَبَاكَ وَسَوَّدَ وَجْهَهُ , فَقُمْتُ مَذْعُورًا , فَكَشَفْتُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِ أَبِي فَإِذَا هُوَ مَيِّتٌ أَسْوَدُ الْوَجْهِ , قَالَ: فَدَخَلَنِي مِنْ ذَاكَ فَبَيْنَا أَنَا عَلَى ذَلِكَ الْغَمِّ إِذْ غَلَبَتْنِي عَيْنِي فَنِمْتُ فَإِذَا عَلَى رَأْسِهِ أَرْبَعَةٌ مَعَهُمْ أَعْمِدَةِ حَدِيدٍ , عِنْدَ رَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ وَعَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ حَسَنُ الْوَجْهِ فِي ثَوْبَيْنِ أَخْضَرَيْنِ فَقَالَ لَهُمُ: افْتَتَحُوا , فَرَفَعَ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ فَمَسَحَ وَجْهَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ أَتَانِي فَقَالَ لِي: قُمْ فَقَدْ بَيَّضَ اللَّهُ وَجْهَ أَبِيكَ فَقُلْتُ: مَنْ أَنْتَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي , فَقَالَ لِي: أَنَا مُحَمَّدٌ , قَالَ: فَقُمْتُ فَكَشَفْتُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِ أَبِي فَإِذَا هُوَ أَبْيَضُ الْوَجْهِ فَأَصْلَحْتُ مِنْ شَأْنِهِ وَدَفَنْتُهُ , فَمَا تَرَكْتُ الصَّلَاةَ بَعْدُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (كتاب المنامات-69)
সনদ:
ইমাম ইবনে আবী দুনিয়া রহঃ, তিনি ঈসা বিন আব্দুল্লাহ আততামীমী রহঃ থেকে। তিনি আবান আল আহওয়াজী রহঃ থেকে। তিনি শুয়াইব বিন মায়মূন রহঃ থেকে। তিনি আব্দুল ওয়াহিদ বিন জায়েদ রহঃ থেকে।
মতন:
আব্দুল ওয়াহিদ বিন জায়েদ রহঃ বলেন, আমি হজ্জে যাচ্ছিলাম। এক ব্যক্তি আমার সফরের সাথী হলো। সে প্রতি কদমে চলতে ফিরতে, উঠতে বসতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পাঠ করে।
আমি তাকে অধিক দরূদপাঠের কারণ জিজ্ঞাসা করলাম।
সে বলল: এ বিষয়ে আমি তোমাকে বলছি। আমি কয়েক বছর আগে সর্বপ্রথম হজ্জে গমণ করি। তখন আমার সাথে আমার আব্বাজানও ছিলেন। তারপর যখন আমরা হজ্জ থেকে ফিরছিলাম। তখন পথিমধ্যে আমি এক স্থানে ঘুমিয়েছিলাম। তখন স্বপ্নের মাঝে আমার কাছে এক ব্যক্তি আসল। এসে আমাকে বলল: দাঁড়াও। আল্লাহ তাআলা তোমার বাবাকে মৃত্যু দিয়েছেন এবং তার চেহারা কালো করে দিয়েছেন। তখন আমি ঘাবরে গিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে আমার বাবার চেহারা থেকে কাপড় সড়ালাম। তখন দেখতে পেলাম যে, আমার বাবা আসলেই মারা গেছেন আর তার মুখ কালো হয়ে গেছে।
এ ঘটনা আমার উপর এতোটাই প্রভাব ফেলে যে, আমি প্রচণ্ড ঘাবরে যাই। এমতাবস্থায় আমার আবার ঘুম পেয়ে যায়। আমি ঘুমিয়ে যাই। আমি তখন ঘুমের মাঝে আবার স্বপ্নে দেখি যে, আমার বাবার মাথার পাশে চারজন ব্যক্তি, যাদের হাতে লোহার বড় ডান্ডা। মাথার পাশে একজন, পায়ের পাশে একজন এবং ডান ও বামে একজন। তখন হঠাৎ সুন্দর চেহারার এক ব্যক্তি সবুজ দু’টি কাপড় পরিহিত অবস্থায় আগমন করল। তিনি এসে তাদের বললেন, তাকে খোল। তখন চেহারা থেকে কাপড় সরানো হল। তখন তিনি তার হাত দিয়ে তার মুখ মুছে দিলেন। তারপর তিনি আমার কাছে আসলেন। এসে বললেন, দাঁড়াও! আল্লাহ তাআলা তোমার বাবার চেহারাকে সুন্দর করে দিয়েছেন। আমি বললাম, আপনি কে? আমার বাবা ও মা আপনার উপর কুরবান হোক। তিনি আমাকে বললেন, আমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।
তিনি বলেন। তারপর আমি ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে আমার বাবার চেহারা থেকে কাপড় সরালাম। তখন দেখতে পেলাম যে, তার চেহারা উজ্জল হয়ে গেছে। তারপর আমি আমার বাবার সৎকার করে দাফন সম্পন্ন করি। এর পর থেকে আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পাঠ ত্যাগ করি না। সর্বদাই পড়ার চেষ্টা করি। [কিতাবুল মানামাত-৬৯]
এটার সনদও জঈফ।
এ ঘটনাটি ইবনে বাশকাওয়াল রহঃ (মৃত্যু ৫৮৭ হিজরী) ও তার কিতাব ‘আলক্বুরবাতু ইলা রাব্বিল আলামীন গ্রন্থের ১৪১ নং পৃষ্ঠায় সনদসহ উল্লেখ করেছেন।
যার আরবী পাঠ:
أخبرنا أبو محمد ابن عتاب في آخرين، قال: أنبأنا أبو عمر النمري، وأنبأنا خلف بن قاسم، حدثنا ابن الورد قال: حدثنا أحمد بن عمر بن المهلب، قال: حدثنا عبد الله بن محمد، قال: حدثنا عيسى بن عبد الله قال: أنبأنا أبان الأهوازي، عن شعيب بن ميمون، عن عبد الواحد بن زيد رحمه الله تعالى قال:
خرجت حاجا فصحبني رجل، فكان لا يقوم ولا يقعد، ولا يذهب ولا يجيء؛ إلا صلى على النبي صلى الله عليه وسلم، فقلت له في ذلك.
فقال: أخبرك عن ذلك، خرجت منذ سنيات إلى مكة ومعي أبي، فلما انصرفنا؛ قلنا في بعض المنازل، فبينا أنا نائم، إذ أتاني آت فقال لي: قم، فقد أمات الله أباك وسود وجهه.
قال: فقمت مذعورا فكشفت الثوب عن وجه أبي، فإذا هو ميت أسود الوجه، فدخلني من ذلك رعب، فبينا أنا على ذلك من الغم، إذ غلبتني عيني، فنمت، فإذا أنا على رأس أبي بأربعة سودان، معهم أعمدة من حديد، عند رأسه وعند رجليه وعن يمينه وعن شماله، إذ أقبل رجل يمشي حسن الوجه، بين ثوبين أخضرين، فقال لهم: تنحوا، فرفع الثوب عن وجهه فمسح وجهه بيده، ثم أتاني فقال: ((قم، فقد بيض الله وجه أبيك،
فقلت: من أنت بأبي وأمي؟ قال: أنا محمد صلى الله عليه وسلم،
فكشفت الثوب عن وجه أبي، فإذا هو أبيض الوجه، فأصلحت من شأنه، ودفنته–
২য় শাহেদ
ইমাম আবূল লাইস সমরকন্দী রহঃ (মৃত্যু ৩৭৩ হিজরী) বলেন:
سَمِعْتُ أَبِي) يعني محمد بن إبراهيم بن الخطاب السمر قندي التوذى (حْكِي قَالَ: كَانَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ بَيْنَمَا هُوَ يَطُوفُ، إِذْ رَأَى رَجُلًا لَا يَرْفَعُ قَدَمًا، وَلَا يَضَعُ قَدَمًا، إِلَّا وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قُلْتُ لَهُ: يَا هَذَا إِنَّكَ قَدْ تَرَكْتَ التَّسْبِيحَ وَالتَّهْلِيلَ، وَأَقْبَلْتَ بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ عِنْدَكَ فِي هَذَا شَيْءٌ؟ قَالَ: مَنْ أَنْتَ عَافَاكَ اللَّهُ؟ فَقُلْتُ: أَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ.
قَالَ: لَوْلَا أَنَّكَ غَرِيبٌ مِنْ أَهْلِ زَمَانِكَ، مَا أَخْبَرْتُكَ عَنْ حَالِي، وَلَا أَطْلَعْتُكَ عَلَى سِرِّي.
ثُمَّ قَالَ لِي: خَرَجْتُ وَوَالِدِي حَاجًّا إِلَى بَيْتِ اللَّهِ الْحَرَامِ، حَتَّى إِذَا كُنْتُ فِي بَعْضِ الْمَنَازِلِ، مَرِضَ وَالِدِي فَقُمْتُ لِأُعَالِجَهُ، فَبَيْنَمَا أَنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ عِنْدَ رَأْسِهِ إِذْ مَاتَ وَالِدِي اسْوَدَّ وَجْهُهُ، فَقُلْتُ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، فَجَذَبْتُ الْإِزَارَ عَلَى وَجْهِهِ فَغَطَّيْتُهُ، فَغَلَبَتْنِي عَيْنِي فَنِمْتُ، فَإِذَا أَنَا بِرَجُلٍ لَمْ أَرَ أَحْسَنَ مِنْهُ وَجْهًا، وَلَا أَنْظَفَ مِنْهُ ثَوْبًا، وَلَا أَطْيَبَ مِنْهُ رِيحًا، يَرْفَعُ قَدَمًا وَيَضَعُ أُخْرَى، حَتَّى دَنَا مِنْ وَالِدِي فَكَشَفَ الْإِزَارَ عَنْ وَجْهِهِ، فَابْيَضَّ ثُمَّ وَلَّى رَاجِعًا، فَتَعَلَّقْتُ بِثَوْبِهِ فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ مَنْ أَنْتَ الَّذِي مَنَّ اللَّهُ عَلَى وَالِدِي فِي أَرْضِ الْغُرْبَةِ؟ قَالَ: «أَوَمَا تَعْرِفُنِي أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ صَاحِبُ الْقُرْآنِ أَمَا إِنَّ وَالِدَكَ كَانَ مُسْرِفًا عَلَى نَفْسِهِ، وَلَكِنْ كَانَ يُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيَّ،
সনদ
ইমাম আবুল লাইস রহঃ। তিনি মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন খাত্তাব সমরকন্দী রহঃ থেকে। তিনি সুফিয়ান সাওরী রহঃ থেকে।
মতন
মুহাম্মদ বন ইবরাহীম রহঃ মুরসালান ইমাম সুফিয়ান সাওরী রহঃ থেকে নকল করেন যে, সুফিয়ান সাওরী রহঃ এক ব্যক্তিকে তওয়াফ করা অবস্থায় দেখলেন যে, সে পা উঠাতে ও নামাতে প্রতিবার দরূদ শরীফ পাঠ করে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম: কি ব্যাপার! তুমি তাসবীহ ও তাহলীল কিছুই পড়ছো না। শুধু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরই কেবল দরূদ পড়ছো। এর কী কোন কারণ আছে?
তখন লোকটি বলল: কে তুমি? আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। আমি বললাম: আমি সুফিয়ান সাওরী।
তখন লোকটি বলল: যদি আপনি এ জমানার অদ্বিতীয় ব্যক্তিদের একজন না হতেন, তাহলে আমি কখনোই আপনাকে আমার অবস্থা বলতাম না। আমার গোপনীয়তা ফাঁস করতাম না।
তারপর লোকটি বলতে লাগল: আমি এবং আমার পিতা একদা হজ্জের সফরে বের হলাম। পথিমধ্যে আমরা এক স্থানে অবস্থান করলাম। তখন আমার বাবা অসুস্থ্য হয়ে গেলেন। আমি তার আরোগ্যের চেষ্টা করতে লাগলাম। এরই মাঝে এক রাতে আমি তার মাথার পাশে ছিলাম। তখন আমার পিতা ইন্তেকাল করলেন। আর তার চেহারা কালো হয়ে গেল। তখন আমি পড়লাম: ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজীঊন। তারপর আমি কাপড় দিয়ে তার চেহারা ঢেকে দিলাম। তখন আমার প্রচণ্ড ঘুম চেপে বসল। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুমের মাঝে দেখতে পেলাম এক ব্যক্তি আসলেন, যার থেকে সুন্দর চেহারার কাউকে আমি কখনো দেখিনি। তার কাপড়ের চেয়ে পরিচ্ছন্ন কাপড়ও আমি দেখিনি। তার চেয়ে উত্তম সুগন্ধীওয়ালাও কাউকে দেখিনি। তিনি হেটে আসলেন। তিনি আমার বাবার নিকটে গেলেন। মুখ থেকে কাপড় সরালেন। তখন তার চেহারা ফর্সা হয়ে গেল। তারপর তিনি ফিরে যেতে লাগলেন। তখন আমি তার কাপড় টেনে ধরলাম। বললাম: হে আল্লাহর বান্দা! কে আপনি! যার মাধ্যমে এ নির্জন স্থানে আল্লাহ তাআলা আমার পিতার উপর অনুগ্রহ করলেন?
তখন তিনি বললেন: তুমি কি আমাকে চিনতে পারোনি? আমি কুরআনওয়ালা মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ। তোমার পিতা গোনাহ করে নিজের উপর জুলুম করেছে, কিন্তু সে প্রচুর পরিমাণ আমার উপর দরূদ পাঠ করতো [তাম্বিহুল গাফিলীন-৩২৫]
এর সনদ হাসান মুরসাল।
খোলাসা কথা
সুতরাং বুঝা গেল যে, উক্ত ঘটনাটি কোন বানোয়াট ঘটনা নয়। বরং ইতোপূর্বের মনীষীগণ তাদের গ্রন্থে এ ঘটনা এনেছেন।
সুতরাং শায়েখ জাকারিয়া রহঃ উক্ত ঘটনা নকল করার কারণে যদি দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে
ইমাম সাখাবী রহঃ, ইবনে হাজার হায়তামী রহঃ, ইমাম আবুল আব্বাস আলক্বাতালানী রহঃ, ইমাম ইবনে বাশক্বাওয়াল রহঃ, ইমাম আবূ বকর বিন আবীদ দুনিয়া রহঃ, ইমাম আবুল লাইস সমরকন্দী রহঃ একই দোষে দোষী হবেন।
আমাদের দেশের কথিত আহলে হাদীসরা এসব বড় বড় জগত বিখ্যাত উলামাগণ থেকেও বড় বেশি তাওহীদপন্থী হয়ে গেছেন?
আর ঘটনাটি স্বপ্নে ঘটেছে। সুতরাং এটাকে বাস্তব জগতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেগানা নারীর সামনে যেতেন না বিষয়কে একসাথে ঘুলিয়ে ফেলা মূর্খতা ছাড়া আর কী?
স্বপ্নে আল্লাহ তাআলা নবীর সূরতের সাহায্যে ঘটনায় উদ্ধৃত ব্যক্তির মাকে সাহায্য করেছেন। এটা স্বপ্ন। সুতরাং এখানে বাস্তবে নবীজীই উক্ত মহিলাকে জীবিত করেছেন মনে করাটাও একটা মূর্খতা ছাড়া আর কী হতে পারে?
লা মাযহাবীদের কাছে আমাদের প্রশ্ন
ইমাম বুখারী রহঃ এর জীবনীকারগণ ইমাম বুখারী রহঃ এর ছোটকালের একটি ঘটনা নকল করেন। ঘটনাটি হলো:
মুহাম্মদ বিন ইসমাইল আল বুখারী রহঃ ছোটকালে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তার মা স্বপ্নে ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে দেখেন। ইবরাহীম আঃ তাকে বলেন-কি আজব বিষয়! আল্লাহ তাআলা তোমার ছেলের চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন তোমার অধিক দুআর বরকতে। তারপর সকালে উঠে দেখেন আল্লাহ তাআলা তার চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন।
ঘটনার আরবী পাঠ
أن محمد بن إسماعيل ذهبت عيناه في صغره فرأت والدته الخليل إبراهيم في المنام فقال لها يا هذه قد رد الله على ابنك بصره بكثرة دعائك قال فأصبح وقد رد الله عليه بصره
এ ঘটনা যারা তার কিতাবে নকল করেছেন:
১
আবুল কাসেম হিবাতুল্লাহ বিন হাসান বিন মানসূর তাবারী আললালক্বায়ী রহঃ (মৃত্যু ৪১৮ হিজরী)।
দেখুন: কারামাতুল আওয়ালিয়া লিললালক্বায়ী-৯/২৯০।
২
আবূ বকর আহমাদ বিন আলী খতীবে বাগদাদী রহঃ। (মৃত্যু ৪৬৩ হিজরী)।
দেখুন: তারীখে বাগদাদ-২/৩২২।
৩
আবূল হুসাইন মুহাম্মদ বিন আবী ইয়ালা রহঃ। মৃত্যু ৫২৬ হিজরী।
দেখুন: তাবক্বাতে হানাবেলা-১/২৭৪।
৪
আবুল কাসেম আলী বিন হাসান ইবনে আসাকীর রহঃ। মৃত্যু ৫৭১ হিজরী।
দেখুন: তারীখে দামেশক-৫২/৫৬।
৫
ইবনুল জাওযী রহঃ। মৃত্যু ৬৫৪ হিজরী।
দেখুন: মিরআতুজ জামান ফী তাওয়ারীখি আয়’আন-১৫/৩৭৪।
৬
ইউসুফ বিন আব্দুর রহমান বিন ইউসুফ আলমিজ্জী রহঃ। মৃত্যু ৭৪২ হিজরী।
দেখুন: তাহযীবুল কামাল ফী আসমায়ির রিজাল-২৪/৪৪৫।
৭
ইমাম শামসুদ্দীন জাহাবী রহঃ। মৃত্যু ৭৪৮ হিজরী।
দেখুন: সিয়ারু আলামিন নুবালা-১২/৩৯৩।
৮
তাজুদ দ্দীন আব্দুল ওয়াহহাব বিন তক্বীউদ্দীন সুবকী রহঃ। মৃত্যু ৭৭১ হিজরী।
দেখুন: তাবাক্বাতুশ শাফিয়িয়্যাহ-২/২১৬।
৯
মুহাম্মদ বিন ইউসুফ কিরমানী রহঃ। মৃত্যু ৭৮৬ হিজরী।
দেখুন: আলকাওকাবুদ দুরারী-১/১১।
১০
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ। মৃত্যু ৮৫২ হিজরী।
দেখুন: হাদয়ুস সারী মুকাদ্দিমায়ে ফাতহুল বারী-১/৪৭৮।
আমি মাত্র দশটি কিতাবের রেফারেন্স দিলাম। উক্ত ঘটনা আরো অনেক কিতাবেই বরেণ্য মুহাদ্দিসগণ এনেছেন।
উক্ত ঘটনায় ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ইমাম বুখারী রহঃ এর মায়ের সামনে আসলেন। তার সন্তানের চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দিলেন।
এখন আমাদের প্রশ্ন হলো:
১
উক্ত ঘটনা উল্লেখ করার দ্বারা কি ইবনে হাজারসহ মুহাদ্দিসগণ ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সম্মানহানী করেছেন?
একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ নবী হয়ে তিনি কিভাবে একজন বেগানা নারীর সামনে আসলেন?
২
অন্ধ চোখের জ্যোতি ফেরত দেবার ক্ষমতাতো আল্লাহর। তাহলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেবার আকীদা পোষণ করা শিরক নয়?
তাহলে ইমাম যাহাবী রহঃ, ইমাম সুবকী রহঃ, খতীবে বাগদাদী রহঃ, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী, আল্লামা কিরমানী রহঃ প্রমূখগণ কি শিরকী আকীদা পোষণ করতেন?
সুতরাং বুঝা গেল যে, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। এসব কেবলি তাবলীগ জামাতের মুখলিসানা কাজের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই করা হয়ে থাকে। স্বপ্ন সংক্রান্ত ঘটনাকে বাস্তবতার সাথে ঘুলিয়ে এমন উদ্ভট প্রশ্নের উদ্ভবকারীদের আসলে মানসিক চিকিৎসা করানোর পরামর্শই আমরা প্রদান করতে পারে। সেই সাথে আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের হেদায়াত কামনা করছি।
স্বপ্নে কোন কিছু দেখার সাাথে বাস্তব হুকুম আরোপ করা বিষয়ে জানতে লিংকে ক্লিক করুন!
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com