প্রশ্ন
From: Md. Sobuj Molla
বিষয়ঃ জোরপুর্বক মেয়ে কে বিয়ে দেওয়া।
প্রশ্নঃ
১৩ বছরের মেয়েকে মায়ের ভুল সিদ্ধান্ততে কোন ৩০ বছর বয়সি ছেলের সাথে জোরপুর্বক বিয়ে দেওয়া হয়।
বাবা মেয়েকে খুব ভালবাসার কারনে ছেলের কাছে থেকে একটি শর্ত নিয়েছিল যে, ছেলে ২ বছর এর মধ্যে তার মেয়ের সাথে কোন শারিরীক সম্পর্ক করতে পারবে না বা মেয়েটিকে ছুতেও পারবে না।
তো তারপরও মেয়ের মা ছেলের সাথে থাকার জন্য মেয়েকে নির্যাতন করে কিন্তু মেয়ে ছেলেকে তার হাত ও ধরতে দেয় না!
এখন মেয়েটা ওই ছেলেটির কাছ থেকে বাচঁতে চায়, অথাৎ মেয়েটি কি এখন ছেলেটিকে তালাক দিতে পারবে? যদি এর কোন প্রতিকার থাকে তাহলে কি করলে প্রতিকার পাওয়া যাবে উত্তর টি একটু তাড়াতাড়ি দিবেন প্লিজ?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি বিয়ের সময় মেয়েটি নাবালেগ থাকে, তাহলে বাবার সম্মতিতে বিয়ে হওয়ায় উক্ত বিয়ে শুদ্ধ হয়ে গেছে।
যদি মেয়েটি বালেগ হয়ে থাকে ১৩ বছর বয়সে, তাহলেও মেয়ের সম্মতিতে বিয়ে হলে, বিয়েটি শুদ্ধ হয়ে গেছে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে ধরতে পারবে না, ছুতে পারবে না এমন শর্তারোপ করা অন্যায্য। সেই সাথে স্বামীকে নিজের কাছে আসতে না দেয়াটাও স্ত্রীর জন্য গর্হিত কাজ।
ন্যায্য কারণ ছাড়া এ বিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করাও গোনাহের কাজ। তাই বিয়েটি বাকি রাখার চেষ্টা করাই সঠিক ও যথার্থ কাজ।
এখন উপরোক্ত সূরতগুলোতে স্বামী তালাক না দিলে বা স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক দেবার অধিকারপ্রাপ্ত না হলে মেয়েটি নিজের উপর তালাক পতিত করতে পারবে না।
তবে যদি বালেগা থাকা অবস্থায় মেয়ের সম্মতি ছাড়া বিয়ে হয়ে থাকে, আর মেয়েটি বিয়ের পরও স্বামীর উপর সন্তুষ্ট না হয়ে থাকে,তাহলে উক্ত বিয়েটি শুদ্ধ হয়নি।
বাবা মায়ের উচিত মেয়েটিকে অন্যত্র তার পছন্দমত পাত্রের সাথে বিয়ে দেয়া।
لو فعل الأب، أو الجد عند عدم الأب لا يكون للصغير والصغيرة حق الفسخ بعد البلوغ الخ (رد المحتار، كتاب النكاح، باب الولى، زكريا-4\174، كرتاشى-3\68)
بخلاف ما إذا زوجها الأب، والجد، فإنه لا خيار لهما بعد بلوغهما (البحر الرائق، زكريا-3\211، كويته-3\120)
وللولى نكاح المجنونة والصغير والصغيرة ولو ثيبا، فإن كان أبا، أو جدا لزم (ملتقى الأبهر مع مجمع الأنهر-1\494)
وكذا فى تبيين الحقائق، زكريا-2\505، ملتان-2\122)
عن عنساء بنت خذام الأنضارية، أن أباها زوجها وهى ثيب، فكرهت ذلك، فأتت رسول الله صلى الله عليه وسلم فرد نكاحها (صحيح البخارى، كتاب النكاح، باب إذا زوج ابنته وهى كارهة، فنكاحه مردود، النسخة الهندية-2\771، دار السلام، رقم-4945، ف: 5138)
ولو زوجها وليها فقالت: لا أرضى…. لم يجز (الفتاوى الهندية-1\288، جديد-1\354)
اذا دخل بها وهى مكرهة، فحينئذا لا يثبت الرضا (الفتاوى الهندية-1\289، جديد-1\355)
إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا المَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে প্রেমের শয্যায় আহ্বান করে কিন্তু অকারণে সেই স্ত্রী তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, তবে রাতভর ফেরেশতারা ঐ নারীর উপর অভিশাপ দিতে থাকে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩২৩৭
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]