প্রচ্ছদ / কুরবানী/জবেহ/আকীকা / গরীব ব্যক্তি কোনদিন কুরবানীর পশু কিনলে সেটি কুরবানী দেয়া তার উপর জরুরী হয়ে যায়?

গরীব ব্যক্তি কোনদিন কুরবানীর পশু কিনলে সেটি কুরবানী দেয়া তার উপর জরুরী হয়ে যায়?

প্রশ্ন

যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, এমন কেউ যদি কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করলে সেটি তার জন্য কুরবানী করা আবশ্যক হয়ে যায় বলে উলামাগণের মুখে শুনেছি। এখন আমার প্রশ্ন হলো, কোনদিন বা কোন সময়ে গরীব ব্যক্তি কুরবানীর পশু ক্রয় করলে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক হয়ে যায়? দয়া করে পরিস্কারভাবে জানালে কৃতার্থ হতাম।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

এ বিষয়ে ভিন্নমত আছে। একটিতো হলো, কুরবানীর দিনসমূহ তথা ১০, ১১ ও ১২ ই জিলহজ্জ্ব যদি এমন ব্যক্তি কুরবানীর পশু ক্রয় করে, যার উপর কুরবানী করা আবশ্যক নয়, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর কুরবানী করা জরুরী হয়ে পড়ে। এর আগে যদি ক্রয় করে থাকে, তাহলে তার উপর উক্ত পশু কুরবানী করা জরুরী থাকে না। [ফাতোয়ায়ে রহিমীয়া-১০/২৮, আজীজুল ফাতওয়া-১/৬৮৫]

 

কিন্তু সাধারণত, কেউ এ দিনসমূহে কুরবানীর পশু ক্রয় করে না। আগেই ক্রয় করে থাকে। এছাড়া ফিক্বহের কিতাবের আম বর্ণনা দ্বারা সতর্কতামূলক কথা হলো, যেদিনই কুরবানীর উদ্দেশ্যে কুরবানী করা ওয়াজিব নয় এমন ব্যক্তি কুরবানীর পশু ক্রয় করে থাকে, তার উপর উক্ত পশু কুরবানী করাটা জরুরী হয়ে পড়ে। এটাই অধিক সতর্কতা। [কিতাবুল মাসায়েল-১৪/৫০৩-৫০৪]

তবে প্রয়োজনে প্রথম মতটির উপর আমল করা যায়।

فى رد المحتار- قوله لوجوبها عليه بذلك أي بالشراء وهذا ظاهر الرواية لأن شراءه لها يجري مجرى الإيجاب وهو النذر بالتضحية عرفا كما في البدائع-

ووقع في التتارخانية التعبير بقوله شراها لها أيام النحر ، وظاهره أنه لو شراها لها قبلها لا تجب ولم أره صريحا فليراجع (الفتاوى الشامية-كتاب الاضحية-9/465)

وفى التاتارخانية- وفى العتابية: المختار أن الفقير لو اشتراها بنية التضحية فى ايام النحر تصير واجبة فى حقه، وإن لم يقل بلسانه شيئا فى جواب ظاهر الرواية هذا اختيار الصدر الشهيد، وعليه الفتاوى، (الفتواى التاتارخانية-كتاب الاضحية، الفصل الثانى-17/412)

ان الشراء للأضحية ممن لا أضحية عليه يجرى مجرى الإيجاب، وهو النذر بالتضحية عرفا، لأنه إذا اشترى للأضحية مع فقره، فالظاهر أنه يضحى فيصير كأنه قال جعلت هذه الشاة أضحية (بدائع الصنائع-4\192)

وفى خزانة الأكمل أنه المختار (تعليقات الرافعى مع الشامى-9\304)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী, নরসিংদী।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *