প্রশ্ন
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, আপনাদের একটি লেখায় পড়েছি যে, মসজিদে টাকার বিনিময়ে পড়ানো জায়েজ নয়। মাকরূহ হবে। তাহলে আমরা দেখেছি যে, বিভিন্ন কওমী মাদরাসায় ছাত্রদের মসজিদে ক্লাস নিতে দেখা যায়। যে শিক্ষকরা মাদরাসা থেকে বেতন নিয়ে থাকেন।
তাহলে উক্ত শিক্ষকরাওতো টাকার বিনিময়ে পড়াচ্ছে, তাহলে তাদের বেতন কিভাবে বৈধ হচ্ছে?
দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনি মাসআলাটি সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি।
মসজিদে ছাত্রদের কাছ থেকে আলাদাভাবে টাকা নিয়ে এর বিনিময়ে পড়ানো মাকরূহ। একথা ঠিক আছে।
এর মানে টিউশনী করা মাকরূহ।
কিন্তু মাদরাসার পক্ষ থেকে বেতনভূক্ত শিক্ষকরা মসজিদে পড়ান একথা ঠিক। কিন্তু ছাত্রদের কাছ থেকে সরাসরি কোন বেতন বা টাকা গ্রহণ করেন না। তথা টিউশন ফী নেন না। তাই তারা উক্ত নিষেধাজ্ঞা বা কারাহাতের অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন না।
যদি তা পড়ানোর কারণে ছাত্রদের কাছে থেকে আলাদা টিউশন ফী গ্রহণ করতেন, তাহলে তা তাদের জন্য মাকরূহ হতো।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
لأن المسجد ما بنى إلا لها من صلاة واعتكاف وذكر شرعى وتعليم علم وتعلمه وقرآة القرآن… حتى لو كان للمدرس موضع من المسجد يدرس فيه (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب ما يفسد وما يكره فيها-2\60)
وفى الخلاصة: تعليم الصبيان فى المسجد لا بأس به (رد المحتار-9\613، كرتاشى-6\428، الموسوعة الفقهية الكويتية-37\206، خلاصة الفتاوى-1\299)
أما المعلم الذى يعلم الصبيان بأجر إذا جلس فى المسجد يعلم الصبيان بضرورة الحر وغيره لا يكره (الفتاوى الهندية-1\110، جديد-1\169)
وتعليم الصبيان فيه بلا أجر وبالأجر يجوز (بزازية على هامش الهندية-6\357)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী, নরসিংদী।
ইমেইল– [email protected]