প্রশ্ন
From: Ashiq Abdullah
বিষয়ঃ Quran interpretation
প্রশ্নঃ
Allah says in the Surah Nooh verse 15 that, ‘Don’t you see how Allah has created seven heavens one after another…….’ But we only can see Samaa al Dunya (Heaven of Earth) or the First Heaven. Then how can it be appropriate to say like that statement of Surah Nooh. Please answer quickly.
Ashiq Abdullah, Finance Department, Rajshahi University, Bangladesh.
অনুবাদ
আল্লাহ তাআলা সূরা নূহের ১৫ নং আয়াতে বলেছেন যে, তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন।
কিন্তু আমরা শুধুমাত্র দুনিয়ার আকাশ বা প্রথম আকাশটাই দেখতে পাই।
সুতরাং আমরা কিভাবে সূরা নূহের বক্তব্যটা যথার্থ ধরে নিবো? দয়া করে দ্রুত উত্তর দিবেন।
প্রশ্নকর্তা: আশিক আব্দুল্লাহ। ফিনেন্স ডিপার্টমেন্ট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আমরা অনেক কিছুই দেখি না। কিন্তু তা বিশ্বাস করি। আবার অনেক কিছুই দেখি কিন্তু তা সঠিক নয়।
মাথা ব্যাথা দেখা যায় না। কিন্তু অনুভব করা যায়।
আবার আমরা দেখি যে, আকাশটা বেশ কিছু দূরে গিয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। কিন্তু আসলে বাস্তবতা তা নয়।
এর মানে আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাহ্যদৃষ্টিতে সব কিছুই যথার্থভাবে দেখতে সক্ষম নয়।
দুই পাশে গাছ আছে এমন রাস্তার দিকে দূর থেকে তাকালে মনে হবে, দূরে গিয়ে রাস্তার গাছগুলো মিলে গেছে। রাস্তা নেই। কিন্তু কাছে গেলে দেখা যায় যে, আসলে রাস্তা ঠিকই আছে। দূরে থাকার কারণে। আমাদের দৃষ্টির দূর্বলতার কারণে ভুল দেখেছি।
তেমনি আকাশ দূরে থাকার কারণে তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না।
আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না বলে উক্ত বস্তুর অস্তিত্ব অস্বিকার করার সুযোগ নেই।
যা দেখা যায় না, সেটি আল্লাহ ও নবীর আদেশ অনুপাতে মানার নামই ঈমান। যেমন কবরের জগত। হাশর, মীযান, পুলসিরাত, জান্নাত ও জাহান্নাম ইত্যাদি। কোনটাই দেখা যায় না।
আল্লাহ ও নবীর কথায় তা মানার নামই ঈমান।
অস্বিকার করলে সে ব্যক্তি বেঈমান।
যা দেখা যায়, তা অস্বিকার করলে আমরা তাকে বেঈমান বলি না। কারণ, যা দেখা যায়, সেটির সাথে ঈমানের কোন সম্পর্ক নেই।
যেমন কেউ যদি সূর্য উঠার পর বলে, সূর্য উঠেনি। আমরা তাকে বেঈমান বলবো না। বলবো লোকটা অন্ধ।
সপ্ত আসমান থাকার বিষয়টি ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। না দেখেই কুরআনের কথায় বিশ্বাস করলেই ঈমান হবে। অবিশ্বাস করা বেঈমানী হবে।
আর আমরা যে প্রথম আসমান দেখার দাবী করি। এটাও যথার্থ নয়। কারণ, প্রথম আসমান
أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا [٧١:١٥]
তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। [সূরা নূহ-১৫]
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ [٦٧:٣]
তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। [সূরা মুলুক-৩]
ثُمَّ اسْتَوَىٰ إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ ۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ [٢:٢٩]
তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত। [সূরা বাকারা-২৯]
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا [٦٥:١٢]
আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত। [সূরা তালাক-১২]
الإِيمانُ: التصديقُ. التَّهْذِيبُ: وأَما الإِيمانُ فَهُوَ مَصْدَرُ آمَنَ يُؤْمِنُ إِيمَانًا، فَهُوَ مُؤْمِنٌ. واتَّفق أَهلُ الْعِلْمِ مِنَ اللُّغَويّين وَغَيْرِهِمْ أَن الإِيمانَ مَعْنَاهُ التَّصْدِيقُ (لسان العرب-13/23، 27)
الحافظ ابن تيمية رحمه الله تعالى ………..قال: إن الإيمانَ هو تصديق السامِعِ للمخاطب، واثِقًا بأمانته، ومعتمدًا على دِيانته (فيض البارى على صحيح البخارى-1/121، 1/46)
وأما في الشرع فهو التصديق بما علم مجيء النبي صلّى الله عليه وسلّم به ضرورة تفصيلا فيما علم تفصيلا وإجمالا فيما علم إجمالا وهذا مذهب جمهور المحققين (روح المعانى-1/113، 1/110)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]