প্রচ্ছদ / জায়েজ নাজায়েজ / ‘গোলাম রব্বানী’ নাম রাখার হুকুম কী?

‘গোলাম রব্বানী’ নাম রাখার হুকুম কী?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম হযরত।

আমার নাম মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী।

পরিবারের সবাইকে এই নামে ডাকার অভ্যাস করিয়েছেন কিন্ত পরিবারের বাইরের বেশির ভাগ মানুষ ই শুধু ” রব্বানী “নামে ডাকে।

প্রশ্ন ১ শুধু ” রব্বানী নামে ডাকা কি গুনাহের কারন হবে?

প্রশ্ন ২ রব্বানী নামের অর্থ কি, ( শুনেছিলাম আল্লাহর কিছু কিছু নাম আছে, যেসব নামে মানুষকে ডাকলেও সমস্যা নেই বা গুনাহগার হবে না।)

প্রশ্ন ৩ যদি “রব্বানী ” নামে ডাকা বা তার ডাকে রেসপন্স করা গুনার কারন হয় তাহলে এই মুহুর্তে আমার করনীয় কি? উত্তর টা জানা খুবই প্রয়োজন।

জাযাকাল্লাহ।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহর গুণবাচক নাম হল “রব”। রব্বানী নয়।

‘রব্বানী’ নামের অর্থ হল, রবওয়ালা বা আল্লাহওয়ালা। সুতরাং এ নামে ডাকলে যেমন গোনাহ হবে না, তেমনি ডাকে সাড়া দিতেও কোন সমস্যা নেই। [ফাতাওয়া মাহমূদিয়া-২৯/২২০]

কিন্তু গোলাম শব্দটি ‘বান্দা’ এবং ‘উৎসর্গ’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই হিসেবে ‘গোলাম রাব্বানী’ অর্থ দাঁড়ায় ‘আল্লাহ ওয়ালাদের জন্য উৎসর্গ’।

সেই সাথে আরবীতে ‘বান্দা’ বুঝাতে ‘গোলাম’ এবং ‘আবদ’ উভয় শব্দই ব্যবহৃত হয়।

আর হাদীসের মাঝে ‘আবদ’ তথা ‘বান্দা’ শব্দটিকে আল্লাহ ছাড়া কারো নামের সাথে জুড়ে নাম রাখাতে নিষেধাজ্ঞা আছে।

সেই হিসেবে ‘গোলাম রাব্বানী’ নামের অর্থ যদিও ‘আল্লাহওয়াদের গোলাম বা তাদের জন্য উৎসর্গ’ অর্থটি অন্তর্ভূক্ত থাকে। কিন্তু ‘গোলাম’ শব্দের মাঝে ‘বান্দা’ হবার অর্থও অন্তর্ভূক্ত থাকায় “আল্লাহওয়ালার বান্দা” অর্থেরও সংশয় সৃষ্টি হয়।

তাই উত্তম হবে “গোলাম” শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়া।

তবে যেহেতু নিশ্চিতরূপে “আল্লাহওয়ালার বান্দা” অর্থটি উদ্দেশ্য হয় না। তাই এ নাম রাখার  সুযোগ থেকে যায়।

তবে উত্তম নয়।

التسمية باسم لم يذكره الله تعالى في عبادة ولا ذكره رسوله – صلى الله عليه وسلم – ولا يستعمله المسلمون تكلموا فيه، والأولى أن لا يفعل. (رد المحتار، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/599)

وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي الْكُنَى، وَالطَّبَرَانِيُّ عَنْ أَبِي زُهَيْرٍ الثَّقَفِيِّ مَرْفُوعًا ” إِذَا سَمَّيْتُمْ فَعَبِّدُوا ” أَيِ: انْسِبُوا عُبُودِيَّتَهُمْ إِلَى أَسْمَاءِ اللَّهِ، فَيَشْمَلُ عَبْدَ الرَّحِيمِ، وَعَبْدَ الْمَلِكِ وَغَيْرَهُمَا. وَلَا يَجُوزُ نَحْوُ عَبْدِ الْحَارِثِ وَلَا عَبْدِ النَّبِيِّ، وَلَا عِبْرَةٌ بِمَا شَاعَ فِيمَا بَيْنَ النَّاسِ (مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح (9 / 11، رقم-4752)

إذا سميتم فعبدوا) بالتشديد بضبط المصنف: أي إذا أردتم تسمية نحو ولد أو خادم فسموه بما فيه عبودية لله تعالى كعبد الله وعبد الرحمن لأن التعليق بين العبد وربه إنما هو العبودية المحضة والاسم مقتض لمسماه فيكون عبد الله وقد عبده بما في اسم الله من معنى الإلهية التي يستحيل كونها لغيره (فيض القدير-1/385)


والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল– ahlehaqmedia201[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *