প্রশ্ন
Assalamualikum.
ধরুন আমার ২০ লাখ টাকা ব্যাংক এ আছে, আবার গত বছর ৫৫লাখ টাকায় একটি বাসা কেনার জন্য অফিস থেকে ১০ লাখ টাক ঋন নেই।
যার মধ্যে ৫ লাখ পরিশোধ করি প্রতি মাসে ১লাখ করে দিয়ে দিয়ে।
আর বাসার মালিকের কাছে ১৪ লাখ টাকা এখন দেনা আছে। যেটা কিনা আগামি ১২/১৪মাসে প্রতি মাসে কিস্তিতে ১লাখ করে দিয়া শেষ করতে হবে।
তাহলে এই ১৯লাখ টাকা (৫+১৪) ঋন বাদ দিয়ে কি আমি আমার জাকাত দিব। অর্থাৎ, ব্যাংকে জমা ২০ লাখ থেকে প্রদেয় ঋন ১৯ লাখ বাদ দিয়ে বাকি ১লাখের উপর জাকাত দিব কিনা। জাযাকাল্লাহ।
Regards,
Mohi Uddin Ahmed
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এ মাসে পরিশোধ করতে হবে এমন টাকা ছাড়া বাকি পুরো টাকার উপর যাকাত প্রদান করতে হবে।
যেমন আপনার ব্যাংকে প্রতি মাসে প্রদান করতে হয় এক লাখ টাকা। আর বাসার মালিককে প্রদান করতে হয় এক লাখ টাকা।
এ মাসে পরিশোধ করতে হবে যে দুই লাখ টাকা সেটি বাদ দিয়ে বাকি টাকার উপর আপনার যাকাত প্রদান করা আবশ্যক।
কারণ, দীর্ঘমেয়াদী ঋণ যাকাত আবশ্যক হবার প্রতিবন্ধক নয়।
সেই হিসেবে ব্যাংকে থাকা বিশ লাখের মাঝে ১৮ লাখ টাকার যাকাত আপনার এ বছর প্রদান করতে হবে। আর যদি আরো যাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে, তাহলে সেসবেরও যাকাত প্রদান করতে হবে।
وقال بعض مشائخنا ان المؤجل لا يمنع لأنه غير مطالب به عادة (بدائع الصنائع-2\84)
وفي رد المحتار- ( قوله أو مؤجلا إلخ ) عزاه في المعراج إلى شرح الطحاوي ، وقال : وعن أبي حنيفة لا يمنع وقال الصدر الشهيد : لا رواية فيه ، ولكل من المنع وعدمه وجه، زاد القهستاني عن الجواهر : والصحيح أنه غير مانع (رد المحتار-كتاب الزكاة، مطلب الفرق بين السبب والشرط والعلة-3/177)
وهل يمنع الدين المؤجل كما يمنع المعجل؟ فى طريقة الشهيد لا رواية فيه وإن قلنا: لا فله وجه، وإن قلنا: نعم، فله وجه، ولو كان عليه مهر لإمرأته وهو لا يريد أداءه لا يجعل مانعا من الزكاة، ذكره فى التحفة عن بعضهم، لانه لا يعد دينا….. وقال بعضهم إن كان مؤجلا لا يمنع، لانه غير مطالب به عادة (فتح القدير-2\119-120)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]