প্রশ্ন আমার প্রশ্ন হল, সেজদায় গিয়ে যদি উভয় পা জমিন থেকে উঠিয়ে রাখা হয়, তাহলে নামায হবে কি? আমি শুনেছি যদি কিছু সময় হলেও পা জমিনে রাখা হয়, তাহলে নামায হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন আগে একটি লেখা পেলাম, যাতে একটি ফাতওয়া বিভাগ থেকে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে যে, সেজদার কোন এক মুহুর্ত সময়ও যদি উভয় পা জমিন থেকে উঠে যায়, তাহলে …
Read More »Tag Archives: মাসায়েলে সালাত
বাইতুল্লায় জামাতে নামায পড়াকালে মহিলার পিছনে পিছনে দাঁড়ানো পুরুষের নামায হবে কি?
প্রশ্ন হজ্জ বা উমরা করতে গিয়ে জামাতে নামায পড়ার সময় যদি মহিলা সামনের কাতারে দাঁড়ায়, আর তার পিছনে পুরুষ দাঁড়ায়, তাহলে উক্ত পুরুষের নামাযের হবে কি? দয়া করে জানাবেন। উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم যদি মহিলা জামাতে শরীক হয়, আর ইমাম সাহেব মহিলাদের ইমামতীরও নিয়ত করে থাকে, তাহলে মহিলার নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তার কারণে তার ডান পাশে ও …
Read More »সুন্নাতে মুআক্কাদা না পড়ারও সুযোগ রয়েছে? পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নাম কোথায় আছে?
প্রশ্ন From: মোঃনেছার উদ্দিন বিষয়ঃ নামাজে নিয়্যত মুখে উচ্ছারন করা আবশ্যক কিনা? প্রশ্নঃ লা মাজহাবি এক ভাই বল্লেন যে, ১ আমরা নামাজে যে নিয়্যত করি তার কোন ভিত্তি নাই এই গুলো সম্পূর্ন বিদায়াত | ২ আমরা ফরজ নামাযের পূর্বে যে সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ আদায় করি এই গুলো নাকি আদায় করা না করার বেপারে রুখছত রয়েছে | ৩ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ …
Read More »ইমামের স্ত্রী চরিত্রহীন হলে উক্ত ইমামের পিছনে ইক্তিদা সহীহ হবে কি?
প্রশ্ন ওই ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি না যার স্ত্রী পরপুরুষের সাথে অবাধে মেলামেশা করে। এবং স্ত্রী তার অবাধ্য। তবে ইমাম সাহেব খুব ভাল মানুষ। দয়া করে উত্তর জানাবেন!!! উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم যদি ইমাম সাহেব তার স্ত্রীকে খারাপ কাজ থেকে ফিরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কিন্তু তার সাথে পেরে না উঠে। এবং স্ত্রীর উক্ত হারাম কাজে অসন্তুষ্ট থাকে, তাহলে …
Read More »তিন আয়াত পরিমাণ পড়ার পর ভুল হলে লুকমা দিতে হয় না?
প্রশ্ন From: তানভীর বিষয়ঃ ফরজ নামাযে ইমামকে লোকমা দেয়া এবং নামায সহীহ হয়ার প্রসংগে প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব প্রায় সময়ই নামাযের কেরাতে ভুল পড়ে এবং আয়াত ছেড়েও দেয় অথচ তাকে নামাযে লোকমা দিলে সে তা এড়িয়ে যায় এবং রাগান্বিতও হন। তিনি বলেছেন যে ৩ আয়াতের বেশি পড়া হলে আর লোকমা নেয়া লাগে না, যদিও আয়াত ভুল পড়া …
Read More »চেয়ারে বসে নামাযঃ দারুল উলুম করাচির নতুন ফাতওয়া!
প্রশ্ন : মুহতারাম, কিছুদিন পূর্বে চেয়ারে বসে নামায বিষয়ে একটি রিসালা (পুস্তিকা) হাতে পেলাম, যা মূলত এ বিষয়ে জামেয়া দারুল উলূম করাচী-এর ফতওয়া বিভাগ থেকে জারিকৃত বিভিন্ন সময়ের ফতওয়ার সংকলন। মাকতাবা দারুল উলূম করাচী থেকে প্রকাশিত। শুনেছি এর বাংলা অনুবাদও হয়েছে। এই রিসালা পড়ার পর আমার জেহেনে কিছু প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি এ সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞ করবেন। প্রশ্নগুলো নিম্নরূপ : ১. রিসালাটির বিভিন্ন স্থানে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি জমিনের উপর সিজদা করতে অক্ষম সে যদি চেয়ারে নামায আদায় করে তাহলে তার উপর জরুরী সামনে তখতা, টেবিল বা অন্যকিছু রেখে তার উপর সিজদা করা। কারণ, এটাও নিয়মতান্ত্রিক সিজদা। সুতরাং যে ব্যক্তি এভাবে সিজদা করতে সক্ষম তাকে এভাবে সিজদা করতে হবে। শুধু ইশারার মাধ্যমে সিজদা করা সহীহ হবে না।’’ এখন আমার প্রশ্ন হল, বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামকে তো মাসআলাটি এভাবে বলতে শুনিনি। এখানে তো সাধারণত দেখা যায় এ ধরনের মাযূর মুসল্লীগণ ইশারায় রুকু-সিজদা আদায় করেন। এখন উল্লিখিত ফওয়ার আলোকে আমাদের কী করা উচিত? ২. যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায পড়তে সক্ষম কিন্তু রুকু সিজদা করতে সক্ষম নয়, অথবা রুকু করতে সক্ষম কিন্তু সিজদা করতে অক্ষম। আমাদের দরসী কিতাবাদীতে পড়েছি, এই ব্যক্তি দাড়িয়ে বা বসে যেভাবে ইচ্ছা নামায আদায় করতে পারবে। কিন্তু উত্তম হল, এই ব্যক্তি বসে নামায আদায় করবে এবং ইশারায় রুকু সিজদা করবে। আমি এক আলেমের কাছে এই মাসআলার দলীল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা’তে (১ : ৩২৫) এর একটি দলীল উল্লেখ আছে। দারুল উলূম করাচী-এর রিসালায়ও এই মাসআলা এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার একটি বিষয়ে একটু খটকা লাগছে। তা হল, যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায আদায় করতে সক্ষম তার দাড়িয়েই নামায আদায় করা উচিত। রুকু সিজদা করতে সক্ষম নয় তো রুকু সিজদা ইশারায় আদায় করবে। কিন্তু ‘কিয়াম’ (দাড়ানো) কেন ছেড়ে দেবে? এই মাসআলায় কি ফিকহে হানাফীতে শুধু একটিই ‘কওল’ (মত) নাকি অন্য ‘কওল’ও আছে? যদি থাকে তাহলে দলীলের আলোকে কোনটি বেশি মজবুত? ৩. আজকাল চেয়ারে বসে নামায পড়ার প্রবণতা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ তো শুধু আরামের জন্য চেয়ারে বসে নামায আদায় করেন। আবার কিছু মানুষ যদিও তাদের রুকু সিজদা করতে কষ্ট হয়, কিন্তু জমিনে বসে ইশারায় রুকু সিজদা করতে পারেন। তা সত্ত্বেও তারা নির্দ্বিধায় চেয়ারে বসে নামায আদায় করেন। আমার প্রশ্ন হল, শুধু আরামের জন্য চেয়ারে বসে নামায আদায় করা কি ঠিক? যদি কেউ তা করে তার নামায কি সহীহ হবে? আর যে ব্যক্তি জমিনে বসে নামায আদায় করতে পারে তার জন্য কি শুধু এই ওযরে চেয়ারে বসে নামায আদায় করা সহীহ হবে যে, সে রুকু সিজদা করতে সক্ষম নয়? আশা করি বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে জানাবেন। আবুল কালাম নারায়নগঞ্জ উত্তর : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এক. যে ব্যক্তি জমিনে সিজদা করতে অক্ষম তার ব্যপারে হুকুম হল, সে ইশারায় সিজদা আদায় করবে। এমন মাযূর ব্যক্তি যদি অন্য কোন কারণে চেয়ারে বসে নামায আদায় করেন তাহলেও তিনি ইশারায়ই সিজদা করবেন, সামনে তখতা বা টেবিল রেখে তাতে সিজদা করার প্রয়োজন নেই। যদি কেউ এমনটি করে তা সিজদা বলে গণ্য হবে না। অবশ্য এর দ্বারা যেহেতু ইশারার কাজ হয়ে যায় ফলে তার সিজদা আদায় হয়ে যাবে। চেয়ারে বসে সামনে তখতা বা টেবিল ইত্যাদির উপর কপাল রাখাকে দুই কারণে সিজদা বলা সহীহ নয়। ১. সিজদার জন্য শর্ত হল, উভয় হাঁটু জমিনের উপর রাখা। ২. সিজদার সময় কপালের অংশ কোমরের অংশ থেকে নীচু থাকা দরকার। চেয়ারে বসে সামনের কোন কিছুর উপর কপাল রাখলে উল্লিখিত উভয় শর্ত পাওয়া যায় না। সুতরাং সেটাকে হাকীকী সিজদা (নিয়মতান্ত্রিক সিজদা) বলা ঠিক নয়। আর আপনি মাকতাবা দারুল উলূম করাচী থেকে প্রকাশিত রিসালার বরাতে যে কথা লিখেছেন, তা যদিও দারুল উলূম করাচীরই কিছু ফতওয়ায় উল্লেখ আছে, কিন্তু সম্প্রতি এই মাসআলার বিষয়ে উসতাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুমের এক সদ্য লিখিত ফতওয়া আমাদের হস্তগত হয়েছে। যাতে দারুল উলূম করাচী-এর দারুল ইফতার অন্যান্য হাযারাতের দস্তখতও রয়েছে। তাতে হযরত দামাত বারাকাতুহুম আগের ফতওয়া থেকে ‘রুজুর’ (প্রত্যাহারের) ঐ লেখায় হযরত ‘‘ফাতওয়া শামী’’র ঐ ‘ইবারাতের’ (বক্তব্য) উপর বিষদ আলোচনা করেছেন যার ভিত্তিতে দারুল উলূমের আগের ফতওয়া দেয়া হয়েছিল। এবং তিনি এটা প্রমাণ করেছেন যে, ঐ ইবারাতের ভিত্তিতে এই মাসআলার দলীল দেয়া সিদ্ধ নয়। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন : “لہذا كرسى پر بيٹهكر سامنے كسى چيز پر سجدہ كرنے كو “سجدۂ حقيقيہ” (باقاعدہ سجدہ) كہنا درست نہين” ‘‘… তাই চেয়ারে বসে সামনে কোন কিছুর উপর সিজদা করাকে ‘হাকীকী সিজদা’ (নিয়মতান্ত্রিক সিজদা) বলা ঠিক নয়।’’ তিনি আরও লিখেছেন, كرسى پر بيٹهنے كى صورت پر علامہ شامى رحمة اللہ عليہ كى بات صادق نہيں آتى، اوراس …
Read More »নামাযের রুকুনসমূহ আদায়ের সময় কোন দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে?
প্রশ্ন From: মোঃ আরিফ বিষয়ঃ নামাজ আসসালামুআলাইকুম। আমাকে একজন লা মাজহাবি ভাই প্রশ্ন করে নামাজে দাঁড়ান,বসা, সেজদা এবং রুকু অবস্থায় কোন দিতে দৃষ্টি থাকবে। দলিল সহ জানালে উপকৃত হব। উত্তর وعليكم السلام ورحمة الله وبراكته بسم الله الرحمن الرحيم সে কেন প্রশ্ন করে? আপনি তাকে কেন প্রশ্ন করেন না? তাকে বলুন যে, নামাযে দাঁড়ানো, বসা এবং রুকু ও সেজদা অবস্থায় …
Read More »মুক্তাদীর জন্য কি ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে?
প্রশ্ন From: তামিম বিষয়ঃ জামাতে সুরা ফাতিহা পড়া প্রশ্নঃ ফরয নাময যখন জামাতে আদায় করি তখন কি ইমাম সাহেবের পিছনে আমাকে সুরা ফাতেহা পরতে হবে ? উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم ইমামের ইক্তিদা অবস্থায় পিছনে কুরআনের কোন অংশই পড়তে হয় না। ইমাম যা পড়েন, সেটাই ইমামের পড়া হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে যায়। ইমাম পুরো কুরআন পড়লে মুসল্লিগণেরও পুরো কুরআনের সওয়াবের অংশীদার …
Read More »নামাযে পুরুষের কতটুকু শরীর ঢেকে রাখা ফরজ?
প্রশ্ন আসসালামু আলাইকুম, আমি জানতে চাই নামজের সময় সতর ঢাকা ফরয। কিন্ত পুরুষের জন্য এই সতর কতটুকু? আশা করি উত্তর দিয়ে উপকার করবেন। ধন্যবাদ। মামুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর وعليكم السلام ورحمة الله وبراكته بسم الله الرحمن الرحيم নামাযের পুরুষের সতর হল, পেট ও পিঠ ঢাকার সাথে সাথে নাভি থেকে টাখনুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَامَ رَجُلٌ …
Read More »চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে শেষ বৈঠক শেষে ভুলে পঞ্চম রাকাতের জন্য দাড়ালেই সাহু সেজদা দিতে হয়?
প্রশ্ন মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, যদি কোন ব্যক্তি ইশার নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে ভুলে পঞ্চম রাকাতের জন্য উঠে পড়ে। তারপর মুসল্লিদের তাকবীর শুনে আবার বসে। তাহলে কি সাহু সেজদা আবশ্যক হয়? অনেকে বলছে যে, দাড়িয়ে তিন তাসবীহ পরিমাণ দেরী করলে সাহু সেজদা লাগবে। এর চেয়ে কম সময় দাঁড়ালে লাগবে না। এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানালে কৃতার্থ হবো। …
Read More »
Ahle Haq Media আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস