প্রশ্ন From: সলীম বিষয়ঃ শিশু নির্যাতন জনাব, …….. মাদরাসায় নাজেরা বিভাগে নাবালক বাচ্চাদেরকে উস্তাদরা কারণে অকারণে গালে এবং চেহারায় জোরে থাপ্পর মারে। এছাড়াও বাচ্চাদেরকে কুকুর শূয়র ইদ্যাদি গালিগালাজ করে। শরীয়তের আলোকে চেহারায় থাপ্পর মারার বিধান জানতে চাই। (সন্দেহ থাকলে তদন্ত করে দেখতে পারেন) দ্রুত উত্তরের আশা করছি। উত্তর بسم الله …
আরও পড়ুনসাহাবী আবূ বাকরাহ রাঃ এর উপর হদ্দে কযফ লাগানো হয়েছে তাই তার সকল বর্ণনা বাতিল?
প্রশ্ন একজন সাহাবীর বাকরা রাঃ। আমাকে এক সেক্যুলার মুসলিম ভাই অনেকগুলো সোর্স থেকে দেখালেন যে, হযরত উমর রাঃ এর আমলে তার উপর যিনার অপবাদ দেবার কারণে হদ্দে কযফ লাগানো হয়েছে। তো যার উপর হদ্দে কযফ লাগানো হয়, সেই নাফরমান ব্যক্তির সাক্ষী এবং বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হয় না। সেই হিসেবে উক্ত সাহাবী …
আরও পড়ুনইসলামী শরীয়ত বিষয়ে কবি হাসান মাহমুদের অজ্ঞতা ও ধৃষ্টতা (পর্ব-২)
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী আগের পর্বটি পড়তে ক্লিক করুন অজ্ঞতা নং-৩ কবি হাসান মাহমুদ লেখেন: “আসলে পরকীয়ার মৃত্যুদণ্ডের বিধান এসেছে ইহুদী-কেতাব ডিউটেরোনমি থেকে”। [শারিয়া কি বলে-২৮] উত্তর পরকিয়া তথা বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি রজম করে মৃত্যুদণ্ডের আইন কোন ইহুদী খৃষ্টান কিতাব থেকে আসেনি। এটি এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী থেকে। রাসূল …
আরও পড়ুনহিজড়া সম্প্রদায়ের ধর্ম পালন পদ্ধতি কি স্বতন্ত্র?
ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনইসলামী শরীয়ত বিষয়ে কবি হাসান মাহমুদের অজ্ঞতা ও ধৃষ্টতা (পর্ব-১)
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী বর্তমান সময়ে কতিপয় জেনালের শিক্ষিত ব্যক্তিদের কুরআন ও হাদীসের গবেষক হতে দেখা যায়। যারা একাডেমিক জ্ঞান অর্জন না করেও ইংরেজী বাংলা অনুবাদ পড়ে বিশাল বড় বড় পণ্ডিতের আসনে আসীন হয়ে যায়। ইসলামের আইন বিষয়ক জটিল জটিল বিষয়ে বড় গলায় গবেষণা প্রকাশ করে থাকেন। যাদের কথা ও লেখা …
আরও পড়ুনঅন্যায়ের প্রতিবাদ বা ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য প্রচলিত হরতাল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন কতটুকু শরীয়তসম্মত?
প্রশ্ন মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, ইসলামী বা রাষ্ট্রীয় কোন দাবী আদায়ের জন্য প্রচলিত পদ্ধতিতে হরতাল করা, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা কতটুকু শরীয়তসম্মত? দয়া করে জানাবেন। উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم অন্যায় ও জুলুমের প্রতিবাদ করা প্রতিটি ব্যক্তির সাধ্যানুপাতে দায়িত্ব। যাদের সরাসরি বন্ধ করার ক্ষমতা আছে তারা সরাসরি তা বন্ধ …
আরও পড়ুনহিজরা বিষয়ক শরয়ী বিধান
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী যে ব্যক্তির মাঝে পুরুষ ও মহিলা উভলিঙ্গের আলামত বিদ্যমান থাকে, তাকে হিজড়া বলা হয়। যদি কোন লিঙ্গই না থাকে, শুধুমাত্র পেশাব করার জন্য স্থান থাকে, তাহলে তাকেও হিজড়া বলা হয়। (هُوَ مَنْ لَهُ فَرْجٌ وَذَكَرٌ) يَعْنِي الْخُنْثَى مَنْ لَهُ فَرْجُ الْمَرْأَةِ وَذَكَرُ الرَّجُلِ، وَظَاهِرُ عِبَارَةِ الْمُؤَلِّفِ أَنَّهُ …
আরও পড়ুনধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে প্রচলিত আইন বনাম ইসলামী আইন
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী ধর্ষণ ও ব্যভিচার কী? ধর্ষণ হল, জোরপূর্বক কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা। আর ব্যভিচার হল, নারী পুরুষের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা। তাহলে ধর্ষণ ও ব্যভিচারের মাঝে পার্থক্য হল, সম্মতি আর অসম্মতির উপর। অসম্মতিতে হলে যা ধর্ষণ, তা’ই সম্মতিতে হলে ব্যভিচার। অবশ্য বাংলাদেশ আইনে ১৬ …
আরও পড়ুননিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা এবং ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তা জব্দ করে মাদরাসায় দান করার বিধান
প্রশ্ন বরাবর তালিমুল ইসলাম ইনিস্টিটিউট রিসার্স সেন্টার (মুফতি লুৎফুর রহমান হুজুর) প্রশ্ন:- সরকার কর্তৃক কিছু নিষিদ্ধ সময় থাকে, যখন জেলেদের জন্য নদী/সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ৷ তারপরেও কিছু সংখ্যক জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরে৷ সরকারী বাহীনির কাছে ধরা পরলে,বাহীনির লোকেরা মাছগুলো জব্দ করে নেয়৷ এবং সাথে সাথে জেল-জরিমানা ইত্যাদি শাস্তি …
আরও পড়ুনআন্তঃধর্মীয় বিবাহ আইনঃ কী বলে ইসলাম?
মাওলানা মুহাম্মদ আনসারুল্লাহ হাসান মানব রচিত আইন ও বিধানে পরিবর্তন তথা পরিবর্ধন-পরিমার্জন ও সংস্কার সাধন হতে পারে এবং হয়েও আসছে। কারণ সীমাবদ্ধ জ্ঞানের অধিকারী মানুষের স্বাভাবিকভাবেই ভুল হয়। তারা বিভিন্ন চিন্তা-চেতনা ও মন-মানসিকতায় আক্রান্ত হয়। নানা পথ ও মতের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। স্বার্থ ও আবেগের কারণে বিভ্রান্ত হয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ রাববুল আলামীন সকল মাখলুকের স্রষ্টা ও বিশ্বজগতের পালনকর্তা। তাঁকে কখনো ভুল-ভ্রান্তি স্পর্শ করে না। তাঁর কোনো ভুলভ্রান্তি ও ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পারে না। তিনি সকল দোষ ও দুর্বলতা এবং সকল সীমা ও সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে মহান পূত-পবিত্র সত্ত্বা। সুতরাং তার নাযিলকৃত আইন ও বিধানে কোনো ধরনের পরিবর্তন ও সংস্কার হতে পারে না। আল্লাহর বিধানে কোনো ধরনের পরিবর্তন সাধন বা কোনো ধরনের বিরুদ্ধাচরণ চরম অন্যায় ও জঘন্যতম অপরাধ। যারা আল্লাহর বিধানে হাত দেওয়ার দুঃসাহস করে, আল্লাহর আইনে পরিবর্তন ও সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা করে তারা চরম দুষ্কৃতিকারী, বড় জালিম এবং আল্লাহর জমিনে ফাসাদ সৃষ্টিকারী। তারা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত। আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে বিবাহ ও তালাকের বিধান বর্ণনা করার পর ইরশাদ করেছেন- تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (তরজমা) এ সবই আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। যারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে তারা বড়ই জালিম।-সূরা বাকারা (২) : ২২৯ অনুরূপভাবে উত্তরাধিকার সম্পত্তির বণ্টনে আল্লাহ তাআলা কুরআনে নির্ধারিত অংশগুলোকে ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হিস্যা’ আখ্যায়িত করে ঘোষণা করেছেন- تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا …
আরও পড়ুন