প্রচ্ছদ / ইসলামী আইন/শরয়ী শাস্তিবিধান / হিজরা বিষয়ক শরয়ী বিধান

হিজরা বিষয়ক শরয়ী বিধান

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

যে ব্যক্তির মাঝে পুরুষ ও মহিলা উভলিঙ্গের আলামত বিদ্যমান থাকে, তাকে হিজড়া বলা হয়।

যদি কোন লিঙ্গই না থাকে, শুধুমাত্র পেশাব করার জন্য স্থান থাকে, তাহলে তাকেও হিজড়া বলা হয়।

(هُوَ مَنْ لَهُ فَرْجٌ وَذَكَرٌ) يَعْنِي الْخُنْثَى مَنْ لَهُ فَرْجُ الْمَرْأَةِ وَذَكَرُ الرَّجُلِ، وَظَاهِرُ عِبَارَةِ الْمُؤَلِّفِ أَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ الْآلَتَيْنِ قَالَ الْبَقَّالِيُّ أَوْ لَا يَكُونُ فَرْجٌ وَلَا ذَكَرٌ وَيَخْرُجُ بَوْلُهُ مِنْ ثَقْبٍ فِي الْمَخْرَجِ أَوْ غَيْرِهِ (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\538، دار الكتاب)

পুরুষ ও নারীর আলামত অনুপাতে তার উপর পুরুষ ও নারী হবার হুকুম আরোপিত করা হবে।

যদি পুরুষের আলামত প্রাধান্য পায়, তাহলে তাকে পুরুষ, আর যদি নারীর আলামত প্রাধান্য পায়, তাহলে সে নারী হিসেবে ধর্তব্য হবে।

মনে করা হবে যে, তার মাঝে অতিরিক্ত একটি গুণ বিদ্যমান রয়েছে। সেটি হল, পুরুষের জন্য নারীত্বের, আর নারীর জন্য পুরুষত্বের গুণ বিদ্যমান থাকা।

আর যদি যদি পুরুষ ও নারীর কোন আলামাতই প্রাধান্য না পায়,তাহলে তাকে ফুক্বাহায়ে কেরাম ‘খুনছায়ে মুশকিল’ বলে উদ্ধৃত করেন। অর্থাৎ এমন হিজড়া যার লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব নয়।

 وَلَا يَخْلُو الْخُنْثَى مِنْ أَنْ يَكُونَ مُشْكِلًا، أَوْ غَيْرَ مُشْكِلٍ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ مُشْكِلًا بِأَنْ تَظْهَرَ فِيهِ عَلَامَاتُ الرِّجَالِ، فَهُوَ رَجُلٌ لَهُ أَحْكَامُ الرِّجَالِ، أَوْ تَظْهَرَ فِيهِ عَلَامَاتُ النِّسَاءِ، فَهُوَ امْرَأَةٌ لَهُ أَحْكَامُهُنَّ وَإِنْ كَانَ مُشْكِلًا، فَلَمْ تَظْهَرْ فِيهِ عَلَامَاتُ الرِّجَالِ وَلَا النِّسَاءِ (المغنى لابن قدامة-7\208)

হিজড়ার পুরুষ হবার আলামত হল, দাড়ী উঠা, নারীর সাথে সহবাস করার সক্ষমতা থাকা।

আর নারী হবার আলামত হল, স্তন উঠা, হায়েজ আসা, গর্ভধারণের ক্ষমতা থাকা, দুধ আসা, তার যৌনাঙ্গ দিয়ে সহবাস করা সম্ভম হওয়া ইত্যাদি।

وَأَمَّا بَيَانُ مَا يُعْرَفُ بِهِ أَنَّهُ ذَكَرٌ، أَوْ أُنْثَى، فَإِنَّمَا يُعْرَفُ ذَلِكَ بِالْعَلَامَةِ، وَعَلَامَةُ الذُّكُورَةِ بَعْدَ الْبُلُوغِ نَبَاتُ اللِّحْيَةِ، وَإِمْكَانُ الْوُصُولِ إلَى النِّسَاءِ وَعَلَامَةُ الْأُنُوثَةِ فِي الْكِبَرِ نُهُودُ ثَدْيَيْنِ كَثَدْيَيْ الْمَرْأَةِ وَنُزُولُ اللَّبَنِ فِي ثَدْيَيْهِ وَالْحَيْضُ وَالْحَبَلُ، وَإِمْكَانُ الْوُصُولِ إلَيْهَا مِنْ فَرْجِهَا؛ لِأَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِمَّا ذَكَرْنَا يَخْتَصُّ بِالذُّكُورَةِ وَالْأُنُوثَةِ فَكَانَتْ عَلَامَةً صَالِحَةً لِلْفَصْلِ بَيْنَ الذَّكَرِ وَالْأُنْثَى. (بدائع الصنائع، كتاب الخنثى، فصل فى بيان ما يعرف به الخنثى أنه ذكر او انثى-7\327)

উপরোক্ত আলামত প্রকাশ পায় বালেগ হবার পর। বালেগ হবার আগে পুরুষ নারী বুঝার আলামত হল, তার পেশাবের রাস্তা।

যদি পুরুষালী লিঙ্গ দিয়ে পেশাব করে তাহলে পুরুষ, আর যদি নারী লিঙ্গ দিয়ে পেশাব করে তাহলে নারী। আর যদি দু’টি দিয়েই পেশাব করে, তাহলে পেশাব আগে যে অঙ্গ দিয়ে বের হয়, সেই অঙ্গ হিসেবে নারী পুরুষ নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ যদি পেশাব প্রথমে পুরুষাঙ্গ দিয়ে বের হয়, তাহলে পুরুষ আর যদি নারী অঙ্গ দিয়ে বের হয়, তাহলে তাকে নারী ধরা হবে।

আর যদি উভয়টা দিয়ে একই সময়ে বের হয়, তাহলে তাকে খুনছায়ে মুশকিল বলবে।

وَأَمَّا الْعَلَامَةُ فِي حَالَةِ الصِّغَرِ فَالْمَبَالُ، لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «الْخُنْثَى مِنْ حَيْثُ يَبُولُ» ، فَإِنْ كَانَ يَبُولُ مِنْ مَبَالِ الذُّكُورِ فَهُوَ ذَكَرٌ، وَإِنْ كَانَ يَبُولُ مِنْ مَبَالِ النِّسَاءِ فَهُوَ أُنْثَى ” وَإِنْ كَانَ يَبُولُ مِنْهُمَا جَمِيعًا يُحَكَّمُ السَّبْقُ؛ لِأَنَّ سَبْقَ الْبَوْلِ مِنْ أَحَدِهِمَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ هُوَ الْمَخْرَجُ الْأَصْلِيُّ وَأَنَّ الْخُرُوجَ مِنْ الْآخَرِ بِطَرِيقِ الِانْحِرَافِ عَنْه، وَإِنْ كَانَ لَا يَسْبِقُ أَحَدُهُمَا الْآخَرَ فَتَوَقَّفَ أَبُو حَنِيفَةَ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -وَقَالَ: هُوَ خُنْثَى مُشْكِلٌ،  (بدائع الصنائع، كتاب الخنثى، فصل فى بيان ما يعرف به الخنثى أنه ذكر او انثى-7\327)

খুনছা তথা হিজড়ার বিধানাবলী

উপরোক্ত আলামত অনুপাতে পুরুষ হলে পুরুষের আর নারী হলে নারীর হুকুম আরোপিত হবে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার কিছু নেই।

খুনছায়ে মুশকিল এর বিধানাবলী

হিজড়া যদি খুনছায়ে মুশকিল হয় তথা পুরুষ বা নারী নির্ধারণ করা না যায়, তাহলে তার হুকুম কী হবে?

এ সংক্রান্ত বিধানাবলী নিচে উদ্ধৃত হল,

অপ্রাপ্ত অবস্থায় খৎনা করাতে পারবে। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলে পুরুষ বা নারী কেউ তার খৎনা করতে পারবে না। কারণ, সে পুরুষ না নারী তা নির্ধারিত নয়।

যদি পুরুষ হয়, তাহলে নারীর জন্য, আর নারী হলে পুরুষের জন‌্য তার লজ্জাস্থান দেখা বৈধ না হবার কারণে।

مَّا حُكْمُ الْخِتَانِ فَلَا يَجُوزُ لِلرَّجُلِ أَنْ يَخْتِنَهُ لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ أُنْثَى وَلَا يَحِلُّ لَهُ النَّظَرُ إلَى عَوْرَتِهَا وَلَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ أَجْنَبِيَّةٍ أَنْ تَخْتِنَهُ لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ رَجُلٌ فَلَا يَحِلُّ لَهَا النَّظَرُ إلَى عَوْرَتِهِ فَيَجِبُ الِاحْتِيَاطُ فِي ذَلِكَ  (بدائع الصنائع، كتاب الخنثى، فَصْلٌ فِي حُكْمُ الْخُنْثَى الْمُشْكِلِ-7\328)

وَلَا يَخْتِنُهُ رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ؛ لِأَنَّ الْخُنْثَى صَبِيٌّ أَوْ صَبِيَّةٌ فَإِنْ كَانَ صَبِيًّا يَجُوزُ لِلرِّجَالِ أَنْ تَخْتِنَهُ وَإِنْ كَانَ مُرَاهِقًا يُشْتَهَى أَوْ لَا وَإِنْ كَانَ صَبِيَّةً فَلَا بَأْسَ لِلنِّسَاءِ أَنْ تَخْتِنَهَا إذَا كَانَتْ غَيْرَ مُرَاهِقَةٍ؛ لِأَنَّهَا لَا تُشْتَهَى، وَإِذَا كَانَتْ غَيْرَ مُرَاهِقَةٍ وَهِيَ تُشْتَهَى أَوْ لَا. (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\539)

মারা গেলে পুরুষ তাকে গোসল দিতে পারবে না যেহেতু নারী হবার সম্ভাবনা আছে। নারীও দিতে পারবে না, যেহেতু পুরুষ হবার সম্ভাবনা আছে। তাই তাকে তায়াম্মুম করিয়ে দিবে। মাহরাম হলে তার হাত দিয়েই তায়াম্মুম করাবে।

আর যদি গায়রে মাহরাম তায়াম্মুম করাতে আসে, তাহলে হাতে কাপড় পেঁচিয়ে তারপর তায়াম্মুম করাবে।

وَأَمَّا حُكْمُ غُسْلِهِ بَعْدَ الْمَوْتِ فَلَا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُغَسِّلَهُ لِاحْتِمَالِ أَنْ يَكُونَ أُنْثَى وَلَا يَحِلُّ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُغَسِّلَهُ لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ ذَكَرٌ وَلَكِنَّهُ يُيَمَّمُ، كَانَ الْمُيَمِّمُ رَجُلًا، أَوْ امْرَأَةً، غَيْرَ أَنَّهُ إنْ كَانَ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ مِنْهُ يَمَّمَهُ مِنْ غَيْرِ خِرْقَةٍ، وَإِنْ كَانَ أَجْنَبِيًّا يَمَّمَهُ بِالْخِرْقَةِ وَيَكُفُّ بَصَرَهُ عَنْ ذِرَاعَيْهِ. (بدائع الصنائع، كتاب الخنثى، فَصْلٌ فِي حُكْمُ الْخُنْثَى الْمُشْكِلِ-7\328)

নামাযের জামাতের কাতারে পুরুষের পিছনে এবং নারীদের আগে দাঁড়া‌বে।

যদি একাধিক লাশের জানাযা পড়া হয়, তাহলে প্রথমে পুরুষ, তারপর হিজড়া তারপর নারীদের লাশ রাখা হবে।

وَأَمَّا حُكْمُ الْوُقُوفِ فِي الصُّفُوفِ فِي الصَّلَاةِ فَإِنَّهُ يَقِفُ بَعْدَ صَفِّ الرِّجَالِ وَالصَّبِيَّانِ قَبْلَ صَفِّ النِّسَاءِ احْتِيَاطًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي كِتَابِ الصَّلَاةِ.

وَأَمَّا حُكْمُ إمَامَتِهِ فِي الصَّلَاةِ أَيْضًا فَقَدْ مَرَّ فَلَا يَؤُمُّ الرِّجَالَ لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ أُنْثَى وَيَؤُمُّ النِّسَاءَ.

وَأَمَّا حُكْمُ وَضْعِ الْجَنَائِزِ عَلَى التَّرْتِيبِ فَتُقَدَّمُ جِنَازَتُهُ عَلَى جِنَازَةِ النِّسَاءِ وَتُؤَخَّرُ عَنْ جِنَازَةِ الرِّجَالِ وَالصَّبِيَّانِ عَلَى مَا مَرَّ فِي كِتَابِ الصَّلَاةِ لِجَوَازِ أَنَّهُ ذَكَرٌ فَيُسْلَكُ مَسْلَكُ الِاحْتِيَاطِ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ. (بدائع الصنائع، كتاب الخنثى، فَصْلٌ فِي حُكْمُ الْخُنْثَى الْمُشْكِلِ-7\328)

নারীদের মত কাফন দেয়া হবে হিজড়াদের।

(قَوْلُهُ وَخُنْثَى مُشْكِلٌ كَامْرَأَةٍ فِيهِ) أَيْ فَيُكَفَّنُ فِي خَمْسَةِ أَثْوَابٍ احْتِيَاطًا لِأَنَّهُ عَلَى احْتِمَالِ كَوْنِهِ ذَكَرًا فَالزِّيَادَةُ لَا تَضُرُّ قَالَ فِي النَّهْرِ إلَّا أَنَّهُ يُجَنَّبُ الْحَرِيرَ وَالْمُعَصْفَرَ وَالْمُزَعْفَرَ احْتِيَاطًا (رد المحتار، باب صلاة الجنازة-2\204)

ইহরাম অবস্থায় নারীদের মত পোশাক পরিধান করবে এবং নামাযে উড়না ব্যবহার করবে।

(قَوْلُهُ: وَالْمُحْرِمُ كَالْحَلَالِ) أَيْ فَيُغَطَّى رَأْسُهُ وَتُطَيَّبُ أَكْفَانُهُ (رد المحتار، كتاب الجنائز، باب صلاة الجنازة-2\204)

وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يُصَلِّيَ بِقِنَاعٍ لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ امْرَأَةٌ وَلَوْ كَانَ بَالِغًا حُرًّا يَجِبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\549)

রেশম তথা সিল্ক এবং অলংকার পরিধান করতে পারবে না।

(قَوْلُهُ وَيُكْرَهُ لَهُ لُبْسُ الْحَرِيرِ وَالْحُلِيِّ) لِأَنَّهُ حَرَامٌ عَلَى الرِّجَالِ دُونَ النِّسَاءِ وَحَالُهُ لَمْ يَتَبَيَّنْ بَعْدُ فَيُؤْخَذُ بِالِاحْتِيَاطِ فَإِنَّ الِاجْتِنَابَ عَنْ الْحَرَامِ فَرْضٌ وَالْإِقْدَامُ عَلَى الْمُبَاحِ مُبَاحٌ فَيُكْرَهُ حَذَرًا عَنْ الْوُقُوعِ فِي الْحَرَامِ عِنَايَةٌ (رد المحتار، كتاب الخنثى-6\729)

নামাযের বৈঠক নারীদের মতই করবে।

وَيَجْلِسُ فِي صَلَاتِهِ جُلُوسَ الْمَرْأَةِ؛ لِأَنَّهُ إنْ كَانَ رَجُلًا فَقَدْ تَرَكَ سُنَّةً (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\549)

 

কোন পুরুষ বা নারীদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎ জায়েজ নয়। অর্থাৎ পর্দা করা জরুরী।

وَهَلْ يُكْرَهُ أَنْ يَخْلُوَ بِهِ رَجُلٌ أَجْنَبِيٌّ لَيْسَ بِمَحْرَمٍ مِنْهُ أَوْ يَخْلُوَ هُوَ بِامْرَأَةٍ أَجْنَبِيَّةٍ لَيْسَ بِمَحْرَمٍ مِنْهَا قُلْت نَعَمْ (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\549)

মাহরাম ছাড়া তিনদিনের বেশি দূরত্বের সফর জায়েজ নয়।

وَلَا يُسَافِرُ الْخُنْثَى بِامْرَأَةٍ هِيَ غَيْرُ مَحْرَمٍ مِنْهُ وَلَا بَأْسَ أَنْ يُسَافِرَ الْخُنْثَى مَعَ مَحْرَمٍ مِنْ الرِّجَالِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهَا (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\549)

১০

যুদ্ধে বন্দী হলে, বা আল্লাহ না করুন মুরতাদ হয়ে গেলে, তাকে হত্যা করা যাবে না। যেমন নারীদের হত্যা করা হয় না।

قُلْت: فَإِنْ أُخِذَ أَسِيرًا فِي الْغَزْوِ؟ قَالَ: لَا يُقْتَلُ قَبْلَ الْبُلُوغِ وَبَعْدَ الْبُلُوغِ حَتَّى يَسْتَبِينَ أَمْرُهُ.

قُلْت: فَإِنْ ارْتَدَّ عَنْ الْإِسْلَامِ قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَ أَوْ بَعْدَمَا أَدْرَكَ؟ لَا يُقْتَلُ عِنْدَهُمْ جَمِيعًا. (الفتاوى الهندية-6\441)

وَإِنْ شَهِدَ مَغْنَمًا يُرْضَخُ لَهُ وَلَا يُسْهِمُ وَإِنْ ارْتَدَّ عَنْ الْإِسْلَامِ قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَ أَوْ بَعْدَمَا أَدْرَكَ لَا يُقْتَلُ عِنْدَهُمْ جَمِيعًا (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\541)

১১

ছেলে এবং মেয়ে হিসেবে মীরাছী সম্পদের মাঝে যেটি কম হবে সেই অংশ মীরাছ হিসেবে পাবে। অর্থাৎ তাকে ছেলে ধরলে যতটুকু পায়, আর মেয়ে ধরলে যতটুক পায়, এর মাঝে যেটা ধরলে কম পায়, সেই হিসেবে তাকে মীরাছী সম্পদ দেয়া হবে।

(وَلَهُ أَقَلُّ النَّصِيبَيْنِ) يَعْنِي لَوْ مَاتَ أَبُوهُ كَانَ لَهُ الْأَقَلُّ مِنْ نَصِيبِ الذَّكَرِ وَمِنْ نَصِيبِ الْأُنْثَى فَإِنَّهُ يَنْظُرُ نَصِيبَهُ عَلَى أَنَّهُ ذَكَرٌ وَعَلَى أَنَّهُ أُنْثَى فَيُعْطِي الْأَقَلَّ مِنْهُمَا وَإِنْ كَانَ مَحْرُومًا عَلَى أَحَدِ التَّقْدِيرَيْنِ فَلَا شَيْءَ لَهُ (البحر الرائق، كتاب الخنثى-8\543)

0Shares

আরও জানুন

লাহনে জলী কিরাত পড়া ইমামের পিছনে ইক্তিদা করার হুকুম কী?

প্রশ্ন আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ প্রশ্নঃ হজরত মুফতি সাহেব দা:বা: আমার নাম মোহাম্মদ নুমান সিঙ্গাপুর থেকে| আমার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *