প্রচ্ছদ / জায়েজ নাজায়েজ / ঈদের নামাযের আগে ও পরে নফল নামায পড়া যাবে না?

ঈদের নামাযের আগে ও পরে নফল নামায পড়া যাবে না?

প্রশ্ন

প্রিয় ভাই,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

ঈদ উল অযহার দিন ফজরের নামাযের পর ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার নফল নামায নিষিদ্ধ এ বিষয়ে কোন হাদিস/দলিল আছে কি? আজ ঈদের দিন সকালে ফজরের জামায়াত শেষে ইমামের অনুপস্থিতিতে যিনি নামায পড়ালেন তিনি মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে নফল নামায না পড়ার জন্য বলে দিলেন। এ বিষয়ে  দলিলভিত্তিক আপনার মতামত জানতে আগ্রহী।

ই-মেইলের নীচের অংশে  আমার পরিচয়, অবস্থান, ফোন নম্বর ইত্যাদি রয়েছে।

আপনার সদয় উত্তরের জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

…………………………………………….

Md. Zakir Hossain

Professor

Department of Law

University of Chittagong

 

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

দুই ঈদের দিন ঈদের নামাযের আগে নফল নামায পড়া মাকরূহ। কারণ তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত। সেই সাথে ঈদের নামায শেষে ঈদগাহে নফল নামায পড়াও মাকরূহ। কিন্তু ঈদগাহ থেকে চলে আসার পর অন্যত্র নফল পড়া যাবে। কিন্তু ঈদগাহে পড়া মাকরূহ। [হেদায়া-১/১১৮, শরহে নুকায়া-১/১২৮, কাবীরী-৫৬৬]

সুতরাং ইমাম সাহেবের বক্তব্য সম্পূর্ণ ঠিক।

এসবই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «صَلَّى يَوْمَ العِيدِ رَكْعَتَيْنِ، لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا،

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন দুই রাকাত [ঈদের নামায] নামায পড়লেন, যার আগে বা পরে কোন [নফল] নামায পড়েননি। [সহীহ বুখারী-১/১৩৫, হাদীস নং-৫৮৮৩]

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: «كَرِهَ الصَّلاَةَ قَبْلَ العِيدِ»

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ ঈদের আগে [নফল] নামায পড়াকে মাকরূহ মনে করতেন। [সহীহ বুখারী-১/১৩৫]

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «لَا يُصَلِّي قَبْلَ الْعِيدِ شَيْئًا، فَإِذَا رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামাযের আগে কোন [নফল] নামায পড়তেন না। যখন নামায থেকে ফারিগ হয়ে ঘরে চলে আসতেন তখন দুই রাকাত [নফল] নামায পড়তেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১২৯৩, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৬২২৮]

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *