প্রচ্ছদ / কুরবানী/জবেহ/আকীকা / সমাজে প্রচলিত ঈদগাহ কমিটির কাছে গোস্ত জমা দেয়া ও তা সবার মাঝে বন্টন করে দেয়ার প্রচলনের হুকুম কী?

সমাজে প্রচলিত ঈদগাহ কমিটির কাছে গোস্ত জমা দেয়া ও তা সবার মাঝে বন্টন করে দেয়ার প্রচলনের হুকুম কী?

প্রশ্নঃ

সম্মানিত মুফতী সাহেব।
আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর সর্ব প্রথম আল্লাহ তালার কাছে দুয়া চাই তিনি যেন আপনার নেক হায়াত বৃদ্ধি করেন, এবং আমাদের মাঝে থেকে আরও বেশি বেশি দ্বীনের খেদ্মত করার তওফিক দান করেন।

হুজুর  আমাদের গ্রামে প্রায় ৫০০ ঘর আছে। তার মধ্যে প্রায় ৮০ ঘর কুরবানি দেয়। গোস্ত বণ্টনের ক্ষেত্রে সকলেই তিনটি ভাগ করে। একটি নিজের জন্য রেখে দেয়। একটি আত্মীয়দের বণ্টন করে। এবং তৃতীয় ভাগটি ঈদগাহ কমিটির কাছে জমা পরে।

ঈদগাহ কমিটি সমস্ত গোস্ত একত্রিত করে গ্রামবাসীর প্রত্যেকের বাড়ি সম পরিমানে বন্টন করে দেয়। এর ফলে যারা কুরবানী দিয়েছে তারাও সেই তৃতীয় ভাগ থেকে গোস্ত পেল।

আমার প্রশ্নটি হল যারা কুরবানী দিয়েছে তাদের জন্য এই তৃতীয় অংশ থেকে গোস্ত নেওয়া কী জায়েজ হবে ? একটু দলিল সহকারে জানাবেন।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

কুরবানীর গোস্ত তিন ভাগ করা। এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়দের জন্য এবং এক ভাগ গরীবদের জন্য রাখা উত্তম।

এভাবে বন্টন করা আবশ্যক নয়। বাকি উত্তম।

ঈদগাহ কমিটির কাছে গোস্ত জমা রাখাকে প্রথা বানিয়ে ফেলা উচিত নয়। আম রাখা উচিত। যার ইচ্ছে, যাকে ইচ্ছে, যতটুকু ইচ্ছে দান করবে। এভাবে বাধ্যতামূলক ঈদগাহ কমিটির কাছে জমা রাখা শরয়ী মূলনীতির সাথে খাপ খায় না।

আর যদি এ পদ্ধতিকে সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করে, তাহলে তা বিদআত হবে।

কিন্তু এমনিতে সবাই যদি স্বতস্ফুর্তভাবে গোস্ত জমা দেয় সামাজিকতা হিসেবে, আর সেখান থেকে সবার বাড়িতে গোস্ত পাঠানো হয়, তাহলে এমনিতে এতে দোষণীয় কিছু নেই।

বাকি সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করলে বিদআত হবে।

এমনিতে করাতে কোন সমস্যা নেই। কারণ, এতে বিদআত হবার কোন কারণ বিদ্যমান নেই।

وَالْأَفْضَلُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِالثُّلُثِ وَيَتَّخِذَ الثُّلُثَ ضِيَافَةً لِأَقْرِبَائِهِ وَأَصْدِقَائِهِ وَيَدَّخِرَ الثُّلُثَ؛ وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، وَلَوْ حَبَسَ الْكُلَّ لِنَفْسِهِ جَازَ لِأَنَّ الْقُرْبَةَ فِي الْإِرَاقَةِ وَالتَّصَدُّقِ بِاللَّحْمِ تَطَوُّعٌ (رد المحتار، كتاب الاضحية، 6/328

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *