প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ।
আজকাল শহরাঞ্চলে খেলাধুলার মাঠের অভাবের কারনে অনেকে কম্পিউটার গেমসকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন ।এ সকল গেমসে থাকে মারামারি,বন্দুক গুলাগুলি ইত্যাদি। বিনোদনের জন্য এ সকল গেমস জায়েজ কি?
মাহবুবুর রহমান।
ঢাকা,বাংলাদেশ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحمن
ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে দু’র্ত সাপেক্ষে।
যে দুই ধরণের খেলা জায়েজ-
১-শারিরীক উপকার নিহিত।যেমন দৌড়, ফুটবল ও ক্রিকেট ও হতে পারে।
২-দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা। যেমন তীরন্দাজী, ঘোড় দৌড় ইত্যাদি।
এসব খেলা জায়েজ থাকার জন্য শর্ত দু’টি। যথা-
১- ফরজ ও ওয়াজিব কোন ইবাদতে বিঘ্ন না হতে হবে।
২-এর সাথে আর কোন গোনাহের বিষয় মিলিত না হতে হবে। যেমন জুয়া, বেপর্দা ইত্যাদি।
এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় মাকরূহ বা নাজায়েজ।
ভিডিও গেম এ অনর্থক খেলার মাঝে শামিল। যেহেতু এর দ্বারা শারিরিক কোন উপকার নেই। অহেতুক সময় নষ্ট করা, তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু বর্তমানের ভিডিও গেমগুলোতে নানা ধরণের হারাম মিউজিক থাকে।যা সম্পূর্ণই নাজায়েজ। আর এসব মারামারি দৃশ্যগুলো বাচ্চাদের মন মগজে খুবই খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে। বাচ্চাদের প্রতিহিংসা পরায়ন, প্রতিশোধী মনোভাবাপন্ন বানিয়ে দেয়।
আমাদের ধারণা এসব ভিডিও গেম এবং সিনেমাগুলোর এ্যাকশন দৃশ্যগুলোর কুপ্রভাবে কম বয়সী বাচ্চাদের দ্বারাও বড় বড় অপরাধমূলক কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই এসব অহেতুক ভিডিও গেম থেকে বিরত রাখাই জরুরী।
বাচ্চাদের ইসলামী সংগীত শুনাতে পারেন। কুরআন তিলাওয়াত শুনাতে পারেন। বাচ্চাদের আপনি যে পরিবেশে বড় করবেন, সে সেই পরিবেশেই নিজেকে মানিয়ে নিবে। গেমস টিভিতে অভ্যস্ত করলে সে তাতেই অভ্যস্ত হবে, কুরআন তিলাওয়াত গজলে অভ্যস্ত করলে ইনশাআল্লাহ তাতেই অভ্যস্ত হবে।
আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, সন্তানকে কোন পরিবেশে দেখতে চান?
وكره كل لهو لقوله عليه الصلاة والسلام كل لهو المسلم حرام إلا ثلاثة: ملابعة اهله، وتأديبه لفرسه، مناضلته بقوسه… ألخ
وقال ابن عابدين- كره كل لهو أى كل لعب وعبث (رد المحتار، كتاب الحظر والإباحة-6/395،
وأما ما لم يرد فيه (اى فى اللهو) النص عن الشارع، وفيه فائدة وصلحة للناس، فهو بالنظر الفقهى على نوعين: الأول ما شهدت التجربة بأن ضرورة أعظم من نفعه، ومفاسده أغلب على منافعه، وأنه من اشتغل بها ألهاه عن ذكر الله وحده، وعن الصلوات الله والمساجد، إلتحق بذالك بالمنهى عنه لإشراك العلة، فكان حراما أو مكروها، (تكملة فتح الملهم-4/434-435)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।