প্রচ্ছদ / অজু/গোসল/পবিত্রতা/হায়েজ/নেফাস / সিজারে বাচ্চা হবার পর আসা রক্ত নেফাস বলে গণ্য নয়?

সিজারে বাচ্চা হবার পর আসা রক্ত নেফাস বলে গণ্য নয়?

প্রশ্ন

Assalamualikum,

one of Mufti saheb said there is no Nifas for ladies whoever delivered by cesarean.The bleeding have occurred only counted as haez and maximum limit is 10 days.So, cesareans ladies will perform their prayer after 10 days.

please give me this explanation according to Quran & Hadith.JajakaAllah khaieron

সারমর্ম:

আসসালামু আলাইকুম।

একজন মুফতী সাহেব বলেছেন যে, সিজারিয়ান মহিলাদের কোন নেফাস নেই। তাদের শুধু হায়েজ গণ্য হবে। যার সর্বোচ্চ মেয়াদ হলো দশদিন।

সুতরাং সিজারিয়ান মহিলারা বাচ্চা প্রসবের দশদিন পর থেকে নামায রোযাসহ সব ইবাদতই করবেন।

দয়া করে এ বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের আলোকে জানাবেন।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

মুফতী সাহেবের কথাটি সঠিক নয়। বরং সিজারের মাধ্যমে সন্তান হবার পর যে রেহেম থেকে পেশাবের রাস্তা দিয়ে যে রক্ত নির্গত হয়, সেটি নেফাসের রক্ত বলেই গণ্য হবে। যার সর্বোচ্চ মেয়াদ হলো চল্লিশ দিন।

সিজারের পর আসা রক্তকে হায়েজ বলার কোন সুযোগ নেই।

তবে যদি রেহেম থেকে পেশাবের রাস্তায় নয়, বরং অন্য কোন স্থান থেকে অন্য কোন রাস্তায় রক্ত প্রবাহিত হয়, তাহলে সেটি নেফাসের রক্ত হবে না। বরং কোন ক্ষতের রক্ত বলে গণ্য হবে। হায়েজ বা নেফাস কোনটাই গণ্য হবে না।  

عن أنس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: وقت للنفساء أربعون ليلة إلا أن ترى الطهر قبل ذلك (السنن الكبرى للبيهقى، دار الفكر-2/53، رقم-1665)

المرأة إذا أسقطت سقطا، فإن استبان شيء من خلقه، فهى نفساء فيما رأت الدم (الفتاوى التاتارخانية-1/542، رقم-1473)

ظهر بعض خلقه كيد أو رجل فتصير به نفساء (رد المحتار، زكريا-1/500، الفقه على المذاهب الأربعة-1/132)

فلو ولدته من سرتها إن سال الدم من الرحم فنفساء وإلا فذات جرح (رد المحتار، زكريا-1/496، الفتاوى الهندية-1/37)

وَلَوْ وَلَدَتْ مِنْ قِبَلِ سُرَّتِهَا بِأَنْ كَانَ بِبَطْنِهَا جُرْحٌ فَانْشَقَّتْ وَخَرَجَ الْوَلَدُ مِنْهَا تَكُونُ صَاحِبَةُ جُرْحٍ سَائِلٍ لَا نُفَسَاءَ. هَكَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ وَالتَّبْيِينِ إلَّا إذَا خَرَجَ مِنْ الْفَرْجِ دَمٌ عَقِيبَ خُرُوجِ الْوَلَدِ مِنْ السُّرَّةِ فَإِنَّهُ حِينَئِذٍ يَكُونُ نِفَاسًا (الفتاوى الهندية-1/37)

 

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *