প্রচ্ছদ / জায়েজ নাজায়েজ / পতিত অপ্রয়োজনীয় বস্তু অনুমতি ছাড়া জমিয়ে বিক্রি করার হুকুম কী?

পতিত অপ্রয়োজনীয় বস্তু অনুমতি ছাড়া জমিয়ে বিক্রি করার হুকুম কী?

প্রশ্ন

হুজুর আসসালামুয়ালাইকুম। আমার একটা প্রস্নের জবাব খুব দ্রুত দানে বাধিত করবেন। আমি সোদি আরব থাকি। আমি সেখানে এলমুনিয়াম ওয়ার্ক শপে কাজ করি। তো আমি বিভিন্ন নতুন বিল্ডিং যাই এলমোনিয়াম এর দরজা জানালা ফিট করতে। সেখানে গেলে দেখতে পাই অনেক ভাঙ্গারী যেমন ছোট ছোট কারেন্ট এর তার ছোট লোহা যা যে যেটার কাজ করছে সেগুলো কাজ শেষে অপ্রোয়জনীয় অংশ নিচে ফালাই রাখছে। এগুলো নিচে পরে থাকা জিনিস যদি আমরা যারা অন্য কাজ করতে এসে দেখি এবং নেওয়া হয় এবং জমিয়ে ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রি করা হয় সে টাকা কি হালাল হবে নাকি হারাম হবে?

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

যদি উপরোক্ত বস্তু মালিকের কোন কাজে না লাগে। এবং তিনি তা অপ্রয়োজনীয় বলে ফেলে রেখে থাকেন, তাহলে তা গ্রহণ করা ও জমিয়ে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে সর্বোত্তম হলো, মালিকের অনুমতি নিয়ে নেয়া।

কিন্তু যদি এসব বিষয় মালিক নিজের জন্য কাজে লাগানোর ইচ্ছে করে থাকে, তাহলে অনুমতি ছাড়া তা জমানো ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ:رَخَّصَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْعَصَا وَالسَّوْطِ وَالْحَبْلِ وَأَشْبَاهِهِ يَلْتَقِطُهُ الرَّجُلُ يَنْتَفِعُ بِهِ

জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে লাঠি, রশি, চাবুক এবং এ ধরণের পতিত জিনিস ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন। [সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-১৭১৭]

وللملتقط أن ينتفع باللقطة بعد التعريف لو فقيرا وإن غنيا تصدق بها ولو على أبويه أو ولده أو زوجته لو فقراء وإن كانت حقيرة كالنوى وقشور الرمان والسنبل بعد الحصاد ينتفع بها بدون تعريف وللمالك أخذها ولا يجب دفع اللقطة إلى مدعيها إلا ببينة ويحل إن بين علامتها من غير جبر (ملتقى الأبحر-1/529)

وعرف إلى ان علم أن صاحبها لا يطلبها فينتفع الرافع بها فقيرا والا تصدق على فقير (الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-6/438، كرتاشى-4/278، البحر الرائق، امدادية ملتان-3/302، كويته-5/152-153)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল[email protected] 

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *