প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম রাহনুমা ফারহা।
আমি ঢাকায় থাকি এবং এখানে একটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। আমি বিয়ে এবং তালাক নিয়ে মাসায়েল জানতে চাই। আমি নিজে ভুক্তভোগী। আশা করি আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।
আমাদের এলাকার এক ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। বাবা মা তাকে মেনে নেয়নি সঙ্গত কারণে। আমাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেও ফেরাতে পারে নি। সেই ছেলে আমাকে জোর করতো কাজি অফিসে বিয়ে করার জন্য কাউকে না জানিয়ে। আমি রাজি হতাম না।
এক পর্যায় সে আমাকে জোর করে রাজি করায়। আমাদের বিয়ে ২০১৪ সালের ১১সেপ্টেম্বর এ হয়। কাজি অফিস এবং কোর্ট ম্যারেজ দুই ভাবেই বিয়ে হয়। তখন আমার বয়স ছিল ১৭ বছর। সাক্ষী ছিল তার তিন বন্ধু এবং বোন। আমাদের অল্প কয়দিন শারিরীক সম্পর্ক হয়েছিল। আমার বাসায় কেউ কিছু জানতো না।
এক মাস পর আমার বাবা মারা যায়। আমার মা তখন আমাকে বলতো এই ছেলে থেকে সরে আসতে। তাছাড়া ছেলের উপর আমার মন উঠে যাচ্ছিল। সে মদ সিগারেট খেত,নামাজ পরতো না,আমাকে পড়াশুনা করতে মানা করতো। কিছুদিনের মধ্যে আমি একটা হাদিস জানতে পারি। তাহলো অভিভাবক ছাড়া বিয়ে বাতিল এই বিয়ে হয় না।
আমি তখন সেই ছেলেকে বললাম, এই বিয়ে হয় নাই। পরে আমি আর সেই ছেলের সাথে যোগাযোগ করি নি। তালাক ছাড়াই দুরে সরে যাই। সেও আমাকে বাধা দেয় নি।
আমি আমার লেখাপড়া করছিলাম,মেডিকেল এ চান্স পেলাম। ২০১৮ সালে বয়স যখন ২১ বছর পারিবারিক ভাবে আমার বিয়ে হয়।আমার পরিবারের কেউ আমার পালিয়ে বিয়ে করার কথা জানতেন না। আমি ভেবেছিলাম বিয়ে টা হয়নি তাই তালাক ও নেই নি।
কিছুদিন আগে আমার এক পরিচিত পালিয়ে কাজি অফিসে বিয়ে করলে আমি বললাম, এই বিয়ে হয় নি তখন জানতে পারি এই ভাবে বিয়ে হয়ে যায়।
ভাংতে হলে তালাকের প্রয়োজন।জানতে পারি আমার ২য় বিয়ে হয়নি। এখানে যেনা হয়ে যাচ্ছে। এটা জানার পর আমি আমার ১ম স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে তালাকের কথা বলি। সে রাজি হয়।
আমার স্বামী আমাকে মাসিক এর সময় এক তালাক দিয়েছিল। পরে আমি জানতে পারি মাসিক থেকে পবিত্র হলে তালাক দিতে হবে। তাই সেই এক তালাক বাদ দিয়ে আবার নতুন করে তালাক দিতে বললাম।
আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম। সেখানে দেনমোহর ১লক্ষ টাকা ধরা হয়েছিল যার এক টাকাও আমার স্বামী আমাকে দেয় নি। মোহর পুরোটা পরিশোধ করা ছাড়া তালাক সম্পুর্ন হবে না জানার পর তাকে মোহরের কথা বলতেই সে বললো তার পক্ষে দেয়া সম্ভব না।
তখন আমি বললাম মোহর ছাড়া তালাক হবে না। সে বললো তালাক তো আমি দিচ্ছি না তুমি চাচ্ছ। পরে আমি বল্লাম আমি মোহর নিব না। তাহলে এটা খোলা করা হয়ে যাবে। আমি জানতাম,খোলা করলেও স্বামীকে তিন মাসিক পর পর তালাক দিতে হবে। তারপর খোলা করার নিয়তেই সে আমাকে বললো, তোমাকে প্রথম বারের মতো এক তালাক দিলাম।
এখন আমার প্রশ্ন হলো-
১. পালিয়ে যেই বিয়েটা করেছি সেটা আদৌ কি বিয়ে হয়েছিল? ২য় বিয়েটা কি হয় নি?১ম বিয়ে থেকে কি তালাক না নেয়া ছাড়া পরের বিয়ে বৈধ হবে না?
২.খোলার নিয়তে এক তালাক যে দেয়া হয়েছে তাতেই কি তালাক হয়ে গেছে?নাকি আবার নতুন করে কিছু বলা লাগবে?কি বল্লে খোলা তালাক সম্পুর্ন হবে।কোন সন্দেহ থাকবে না বিয়ে বাতিল নিয়ে?
৩.এক সাথে তিন তালাক বা পরপর তিন মাস তালাকের প্রয়োজন আর আছে কি?
৪. নতুন করে কি তার বলতে হবে তোমাকে মুক্তি দিলাম বা তালাক দিলাম?
৫.দুই জনের সম্মতিতে খোলা করা হবে তাই কোনো সাক্ষী প্রয়োজন আছে কি?
৬. ৫ বছর কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয় নি তাই ইদ্দত পালন করা বাদ্ধতামূলক হবে কি?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার এ বিশাল বিবরণের দ্বারা মূলত ৫টি প্রশ্নের উত্তর জানলেই যথেষ্ট। বাকিগুলোর উত্তর জানার প্রয়োজন নেই।
প্রশ্নগুলো হল,
১- আপনার প্রথম বিয়েটি শুদ্ধ হয়েছে কি না?
২- আপনার দ্বিতীয় বিয়েটা শুদ্ধ হয়েছে কি না?
৩-আপনার মাসিকের সময় প্রদত্ব আপনার প্রথম স্বামীর তালাক পতিত হয়েছে কি না?
৪-দীর্ঘ সময় শারিরীক সম্পর্ক না থাকলে, তালাকের পর ইদ্দত পালন করতে হয় কি না?
৫- মোহর আদায় না করলে তালাক পূর্ণ হয় কিনা?
১ম প্রশ্নের উত্তর
আপনার প্রথম বিয়েতে যেহেতু দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে, তাই উক্ত বিয়েটা শুদ্ধ হয়ে গেছে।
অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সম্পন্ন হয় না মর্মের হাদীসটি সনদের বিচারে সহীহ নয়। যদি বিশুদ্ধ ধরাও হয়, তবে এর অর্থ হল, বিবাহটি পরিপূর্ণতা পায় না, কিন্তু মূল বিয়েটা বিশুদ্ধ হয়ে যায়। কারণ, যে বিবাহে অভিভাবক নেই, তাতো বাহ্য দৃষ্টিতে অপূর্ণই থেকে যায়।
কিন্তু এর মানে বিয়ে শুদ্ধই হয় না, এমনটি নয়।
فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ” جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي وَنِعْمَ الْأَبُ هُوَ، خَطَبَنِي إِلَيْهِ عَمُّ وَلَدِي فَرَدَّهُ، وَأَنْكَحَنِي رَجُلًا وَأَنَا كَارِهَةٌ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِيهَا، فَسَأَلَهُ عَنْ قَوْلِهَا، فَقَالَ: صَدَقَتْ، أَنْكَحْتُهَا وَلَمْ آلُهَا خَيْرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نِكَاحَ لَكِ، اذْهَبِي فَانْكِحِي مَنْ شِئْتِ
হযরত সালামা বিনতে আব্দুর রহমান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এল। এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা! কতইনা উত্তম পিতা! আমার চাচাত ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল আর তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। আর এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন যাকে আমি অপছন্দ করি। এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলে, মেয়েটি সত্যই বলেছে। আমি তাকে এমন পাত্রের সাথে বিয়ে দিচ্ছি যার পরিবার ভাল নয়। তখন রাসূল সাঃ মেয়েটিকে বললেন, “এ বিয়ে হবে না, তুমি যাও, যাকে ইচ্ছে বিয়ে করে নাও”। {সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, হাদীস নং-৫৬৮, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১০৩০৪, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৫৯৫৩, দিরায়া ফী তাখরীজি আহাদিসীল হিদায়া, হাদীস নং-৫৪১}
২য় প্রশ্নের উত্তর
প্রথম বিয়েতে থাকা অবস্থায়, প্রথম স্বামীর কাছ থেকে তালাক না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করলে তা বিশুদ্ধ হয় না। সেই হিসেবে আপনার দ্বিতীয় বিয়েটি শুদ্ধ হয়নি।
فى الفتاوى الهندية– لَا يَجُوزُ لِلرَّجُلِ أَنْ يَتَزَوَّجَ زَوْجَةَ غَيْرِهِ وَكَذَلِكَ الْمُعْتَدَّةُ، كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ. (الفتاوى الهندية، كِتَابُ النِّكَاحِ وَفِيهِ أَحَدَ عَشَرَ بَابًا، الْبَابُ الثَّالِثُ فِي بَيَانِ الْمُحَرَّمَاتِ وَهِيَ تِسْعَةُ أَقْسَامٍ، الْقِسْمُ السَّادِسُ الْمُحَرَّمَاتُ الَّتِي يَتَعَلَّقُ بِهَا حَقُّ الْغَيْرِ-1/280، بدائع الصنائع، كتاب النكاح عدم جواز منكوحة الغير-2/547، زكريا، البحر الرائق، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/108
وفى رد المحتار- اما نكاح منكوحة الغير ومعتدة لم يقل احد بجوازه فلم ينعقد اصلا (رد المحتار، كتاب النكاح، باب العدة، مطلب فى النكاح الفاسد والباطل-5/197، 4/274، قاضى خان على الهندية-1/366
৩য় প্রশ্নের উত্তর
আপনার প্রথম স্বামী যখন আপনাকে তালাক প্রদান করেছে, চাই সেটি মাসিকের সময়ই হোক না কেন, আপনার উপর তালাক পতিত হয়ে গেছে। তাই’ তালাক পতিত হবার পর থেকে নিয়ে তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হবার দ্বারা আপনার ইদ্দত পূর্ণ হয়ে যাবে।
তারপর আপনি আবার দ্বিতীয় স্বামীকে বিয়ে করে নিলেই চলবে।
মাসিকের সময় যদিও তালাক দেয়া নিষেধ। কিন্তু তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়।
ابْنَ عُمَرَ قَالَ طَلَّقَ ابْنُ عُمَرَ امْرَأَتَه“ وَهِيَ حَائِضٌ فَذَكَرَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِيُرَاجِعْهَا قُلْتُ تُحْتَسَبُ قَالَ فَمَهْ
ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়িয অবস্থায় তালাক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নাবী এর কাছে ব্যক্ত করলেন। তখন তিনি বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। রাবী ইব্ন সীরীন) বলেন, আমি বললাম ,তালাকটি কি গণ্য করা হবে? তিনি (ইবনে ‘উমার) বললেন,তাহলে কী? [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২৫২]
يقع الطلاق باتفاق المذاهب الأربعة فى حال الحيض او فى حال الطهر الذى جامع الرجل أمرأته فيه، لأن النبى صلى الله عليه وسلم أمر ابن عمر بمراجعة أمرأته التى طلقها، وهى حائض المراجعة لا تكون إلا بعد وقوع الطلاق (الفقه الاسلامى وادلته-7/387-388)
وإذا طلق الرجل امرأته فى حالة الحيض وقع الطلاق، لأن النهى عنه لمعنى فى غيره، وهو ما ذكرنا، فلا ينعدم مشروعيته، ويستحب له أن يراجعها لقوله عليه السلام لعمرمر ابنك فليراجعها، وقد طلقها فى حالة الحيض، وهذا يفيد الوقوع (الهداية-2/357)
ولنا قوله عليه الصلاة والسلام لعمر من ابنك فليراجعها، وكان طلاقها فى حالة الحيض والمراجعة بدون وقوع الطلاق محال (تبيين الحقائق-3/30، زكريا، قديم-2/193)
৪র্থ প্রশ্নের উত্তর
ইদ্দতের সম্পর্ক তালাক ও স্বামীর মৃত্যুর সাথে। যখনি উক্ত দু’টির কোন একটি ঘটবে, তখন থেকেই ইদ্দতের সময়সীমা শুরু হয়। শারিরীক সম্পর্ক ছিল কি না? এর সাথে ইদ্দতের কোন সম্পর্ক নেই।
তাই তালাকের আগে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত প্রথম স্বামীর সাথে যোগাযোগ না থাকলেও আপনার তালাকের পর থেকে ইদ্দত পালন করতে হবে।
وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ ۚ [٢:٢٢٨]
আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। [সূরা বাকারা-২২৮]
ابتداء العدة فى الطلاق عقيب الطلاق (هداية، كتاب الطلاق، باب العدة-2/425، زكريا-1/531، جديد-1/584)
৫ম প্রশ্নের উত্তর
মোহর আদায় না করলেও তালাক পূর্ণ হয়ে যায়। যদিও আমাদের বাংলাদেশী আইন অনুপাতে তালাক হতে হলে মোহর আদায় করা আবশ্যক। কিন্তু ইসলামী আইনে তালাক পতিত হবার জন্য মোহর আদায় করা আবশ্যক নয়। তাই মোহর আদায় ছাড়াই আপনার প্রথম স্বামীর কৃত তালাক আপনার উপর পতিত হয়ে গেছে। কিন্তু মোহর আদায় না করলে তা আদায় করা আবশ্যক। কিন্তু এর সাথে তালাক পতিত হওয়া ও না হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
وَلِلْمُطَلَّقَاتِ مَتَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِينَ [٢:٢٤١]
আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী খরচ দেয়া পরহেযগারদের উপর কর্তব্য। [সূরা বাকারা-২৪১]
এ ৫টি প্রশ্নের উত্তর জানার দ্বারা আপনার প্রশ্নের উত্তরটি পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রয়োজন না হওয়ায় উত্তর দেয়া হল না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক ও প্রধান মুফতী – মা’হাদুত তালীম ওয়াল বুহুসিল ইসলামী ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ফারূকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।