পন্নীর বক্তব্যকে আল্লহ ﷻ কুরআনের মত সত্যায়ন করেছেন।
প্রশ্ন হোল আল্লাহ কোর’আনকে ‘১৯’ সংখ্যা দিয়ে বাঁধলেন কেন?এর কারন হোল, কোর’আন যে আল্লাহরই রচনা,কোন মানুষের রচনা নয় -এ সংক্রান্ত বিতর্ক ও সন্দেহের অবসান ঘটানো।এভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে একটি বিরাট বইকে বাঁধা একজন মানুষের পক্ষে অসম্ভব ।(আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তাওহীদের বিজয় ঘোষণা-২৩)
সমস্ত কোর’আনকে আল্লাহ যেভাবে ১৯ সংখ্যার জালে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধেছেন,ঠিক একইভাবে সেদিন এমামের সংক্ষিপ্ত ভাষণটিকে আল্লাহ বাঁধলেন তিন সংখ্যার জাল দিয়ে ।উদ্দেশ্যও এক অর্থাৎ সত্যায়ন।এর দ্বারা আল্লাহ এটাই প্রকাশ কোরছেন যে,’ঐ ভাষণে যে কথাগুলো বলা হয়েছে এগুলো যে মানুষটি বোলছেন তাঁর স্বরচিত মনগড়া কথা নয় ,এগুলো আমারই(আল্লাহর) কথা এবং তিনি আমারই মনোনীত ব্যক্তি।'(আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তাওহীদের বিজয় ঘোষণা-২৫)
আল্লাহ সংখ্যার মো’জেজা দ্বারা পবিত্র কোর’আনকে যেমন সত্যায়ন কোরেছেন,একইভাবে এমামের সেদিনের ভাষণটিকেও তিনি সংখ্যার মো’জেজা দিয়ে সত্যায়ন কোরেছেন,এই দৃষ্টিকোণ থেকে আল কোর’আন ও এমামের ভাষণটি একই পর্য্যায়ভুক্ত হোয়ে যায়।(আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তাওহীদের বিজয় ঘোষণা-৩৪)
[pdf সংস্করণ অনুযায়ী পৃষ্ঠা নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে]হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামকে কলমের একটি খোঁচায় বিকৃত বলে দেওয়া ও গোটা উম্মতে মুসলিমাকে কাফির সাব্যস্ত করা দেখে যে কারো পিলে চমকে উঠার কথা।তাই পন্নী সাহেব অবলম্বন করলেন এক অভিনব পন্থা ।ঘোষণা দিলেন তার মতবাদকে স্বয়ং আল্লহ ﷻ নিজে মু’জিযা প্রকাশের মাধ্যমে সত্যায়ন করেছেন ।(নাউযুবিল্লাহ)।
এর জন্য তিনি দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছেন রাশাদ খলিফার ‘কুরআনের সংখ্যাগত বিশ্লেষণ।’
নবী-রাসূল ব্যতীত অন্য কারো বক্তব্য সত্যায়নের জন্য আল্লহ ﷻ মু’জিযা প্রকাশ করেন- এ ধরনের ভ্রান্ত মতবাদের পর্যালোচনা আমরা বিগত পর্বে করেছি।আগ্রহী পাঠকগণ পড়ে নিতে পারেন।
আজ আমরা আলোচনা করব পন্নী সাহেবের দাবিকৃত মু’জিযার বাস্তবতা নিয়ে।
⏩এ আলোচনাতে যা কিছু থাকছেঃ
১.কুরআনের সংখ্যাতত্ত্বের আবিষ্কারক রাশাদ খলিফার পরিচয়
২.রাশাদ খলিফা কর্তৃক জন্ম দেয়া ফিতনা সমূহ
৩.রাশাদ খলিফার গবেষণার ত্রুটিসমূহ
৪.এসব সংখ্যাগত বিশ্লেষণের বিশেষ কোন তাৎপর্য আছে কি?
৫.পন্নী সাহেবের কথিত মু’জিযার ত্রুটি
◾১.কুরআনের সংখ্যাতত্বের আবিষ্কারক রাশাদ খলিফার পরিচয়ঃ
রাশাদ খলিফা ১৯নভেম্বর, ১৯৩৫সালে জন্মগ্রহণ করেন। রাশাদ খলিফা কায়রোর এইন শামস্ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ১৯৫৯ সালে আমেরিকাতে আসেন এবং ১৯৬৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন জৈব-রসায়নবিদ্যায়।১৯৭৫-৭৬সালে তিনি প্রায় বছর খানেক লিবিয়া সরকারের বিজ্ঞান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে রসায়নবিদ হিসেবে জাতিসংঘের অধীনে ভিয়েনাতে শিল্প উন্নয়ন সংস্থায় যোগ দেন এবংসেখান থেকে ১৯৮০ সালের দিকে সিনিয়র রসায়নবিদ হিসেবে আমেরিকার এরিজোনা রাজ্যের সরকারি রসায়ন বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে কুরআনের গানিতিক কোড নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।এই বিষয়ে তিনি বেশকিছু বই লিখেন।১৯৮২ সালে তার আবিষ্কৃত ১৯এর মিরাকল সবাইকে দেখানোর জন্য Quran:Visual Presentation Of TheMiracle রচনা করেন।
◾২.রাশাদ খলিফা কর্তৃক জন্ম দেয়া ফিতনা সমূহঃ
▶তিনি ১৯ তত্ত্বকে সার্থকতা দিতে গিয়ে সূরা তাওবাহ এর ১২৮ এবং ১২৯ – নং আয়াতগুলো বাদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
▶রাশাদ নিজের ইংরেজি অনুবাদকৃত কোরানের ‘সুরা ফুরকান’, ‘সুরা ইয়াসিন’, ‘সুরা শুরা’ এবং ‘সুরা তাক্ভির’-এর আয়াতে নিজের নাম পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিয়ে তাঁর বক্তব্যের ‘ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা’ আদায়ের চেষ্টা করেছেন। যেমন –
We have sent you (Rashad) as a deliverer of good news, as well as a warner. [25:56]
https://web.archive.org/…/www.submission.…/suras/sura25.html
▶রাশাদ খলিফা বহু জায়গায় নিজেকে ‘আল্লাহর নবী’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং দস্তখত দিয়েছিলেন।(নাউযুবিল্লাহ)
https://web.archive.org/…/www.mostmerc…/rashad-messenger.htm
◾৩.রাশাদ খলিফার গবেষণার ত্রুটিসমূহঃ
অসংখ্য অপশন থেকে রাশাদ খলিফা উনিশ দ্বারা বিভাজ্য প্রমান করা যায় এমন অপশনগুলো গ্রহণ করেছেন- বাকিগুলো ফেলে দিয়েছেন।যেখানে যেভাবে ইচ্ছা একটি ভিত দাঁড় করিয়ে ১৯-এর হিসেব পুরো করতে পারলেই যেন চলে। যেমনঃ
১.রাশাদ খলিফার মতে কুরআন মাজীদের ১ম বাক্য ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ যাতে মোট অক্ষর সংখ্যা ১৯।
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ
–এর মোট হরফ কি ১৯, না ২০ না ২১?
‘খাড়া যবর’ তো মূলত আলিফ,একেও হিসাব করা হলে মোট হরফ সংখ্যা হবে ২১.
১৯ তত্ত্বের লোকেরা হরফ গণনার সময়
কখনো লিপিশৈলী আবার কখনো উচ্চারণকে
বুনিয়াদ বানান। যেখানে যে মানদণ্ড
অবলম্বনের মাধ্যমে ১৯-এর হিসাব মিলে যায়
সেখানে তাই করেন!!
২.রাশাদ খলীফা দাবি করেছে যে, কুরআন মাজীদের যে অংশ সর্বপ্রথম নাজিল হয়েছে (সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত) তার শব্দ সংখ্যা ১৯, আর সূরা আলাকের মোট আয়াত সংখ্যাও ১৯।
অথচ এই পাঁচ আয়াতের মোট শব্দসংখ্যা ১৯ নয় বরং ২০। কারণ, ﻣﻦ ‘ﻣﺎ ‘ ﻟﻢ প্রত্যেকটি তো ভিন্ন
ভিন্ন শব্দ। আর হরফে যর ( ﺏ ) এবং হরফে
আতফ ( ﻭ )-কেও গণনা করলে মোট সংখ্যা
দাঁড়াবে ২৩।
তা ছাড়া প্রথম ও তৃতীয় আয়াতে ﺭﺑﻚ -কে দুই শব্দ ধরলে (অর্থের দিক থেকে বিষয়টি এমনই) মোট শব্দসংখ্যা দাঁড়াবে ২৫। মোটকথা ১৯ কোনোভাবেই সঠিক নয়।
এমনিভাবে সূরা আলাকের মোট আয়াতসংখ্যা
কুফী ও বসরী গণনা অনুযায়ী তো ১৯-ই। কিন্তু মক্কী ও মাদানী গণনা অনুযায়ী মোট সংখ্যা ২০ এবং শামী গণনা অনুযায়ী ১৮। তা হলে ১৯-এর হিসাব আর কোথায় ঠিক থাকল?
৩.সূরা ক্বালামে ১৩১টি ن রয়েছে যা ১৯দ্বারা বিভাজ্য নয়।
৪. ن এর মত ص সূরা ছ্বাদে এককভাবে রয়েছে।সূরা ছ্বাদে ২৬টি ص রয়েছে যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য নয়।
৫.সূরা মারইয়ামে ك আছে ১৩৭টি যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য নয়।
৬. প্রাথমিক মুতাশাবিহাত আয়াত কোথাও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য,কোথাও নয়।যেখানে ১৯ দ্বারা বিভাজ্য হয় না রাশাদ খলিফা সেখানে কম বেশি অক্ষর গুনেছেন।এমনকি অক্ষর যোগ করেছেন।তিনি মুতাশাবিহাত আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা স্পষ্টভাবেই প্রমানিত।
এধরনের আরো অনেক ত্রুটি বিচ্যুতিতে ভরা তার এই গবেষণা ।
[আরও দেখুনঃ https://mobile.facebook.com/notes/ibrahiim-burhaan/০৬-১৯-এর-মিরাকলের-অযৌক্তিকতা/281051868661566/?__tn__=HR ]
তার এ মতবাদ খণ্ডনে কয়েকটি কিতাব হলোঃ
১. লাইসা ফিল ইসলামি তাকদীসুন লিলআরকাম,(১৯৮০ ঈ.) -উস্তাদ ইদরীস
২. তিসআতা আশারা মালাকান , (১৯৮৫ ঈ.)-হোসাইন নাজী মুহাম্মদ মহিউদ্দীন
৩. ফিতনাতুল কারনিল ইশরীন , প্রাগুক্ত
৪. ইজাযুল কুরআনিল কারীম , (১৯৯১ ঈ.) -ফযল হাসান আব্বাস
৫. আলবয়ান ফি ইজাযিল কুরআন , (১৯৯২ ঈ.) -সালাহ আবদুল ফাত্তাহ আলখালেদী
◾৪.এসব সংখ্যাগত বিশ্লেষণের বিশেষ কোন তাৎপর্য আছে কি?
গবেষকদের মতে ইচ্ছে করলেই যে কোন সংখ্যাকে অলৌকিক কিংবা তাৎপর্যময় সংখ্যা হিসবে হাজির করা যেতে পারে। যেমনঃ
▶২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ঘটে যাওয়া ৯/১১ এর ঘটনার ব্যাপারে টুইন টাওয়ারে হামলার তারিখ (৯+১+১)= ১১.
▶১১ই সেপ্টেম্বর বছরের ২৫৪তম দিন, এই হিসেবে (২+৫+৪)= ১১.
▶১১ই সেপ্টেম্বর পর বছর শেষ হতে ১১১ দিন বাকি। সেখান থেকে শুরু করে টুইন টাওয়ার 11 এর মত দেখতে।
▶ “New York City”, “Afghanistan”, “the Pentagon” ইত্যাদি সব কিছুতেই ১১টি শব্দ উল্লেখ করেই সাংখ্যিক তাৎপর্য খোঁজা যেতে পারে।
কিন্তু এ ব্যাপারগুলোকে গণিতবিদ জন এলেন পাউলোস তার Irreligion বইয়ে “আফটার দ্য ফ্যাক্ট – কোইন্সিডেন্স” (After the fact coincidence) বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাবে অনেক কিছুই আবার ১১ এর সাথে সম্পর্কহীন। যেমনঃ
▪হামলার বছর ২০০১=> ২+০+০+১= ৩ (১১ নয়)
▪হামলার সময়ে ৪ টি (১১টি নয়) বিমান যুক্ত ছিলো
▪বিমানে লোকের সংখ্যা ছিলো ২৬৬=> ২+৬+৬=১৪ (১১ নয়)
▪একটি প্লেন এর নাম্বার ৭৬৭ => ৭+৬+৭=২০ (১১ নয়)
▪আরেকটি প্লেন এর নাম্বার ৭৫৭ => ৭+৫+৭= ১৯ (১১ নয়) ইত্যাদি।
এছাড়াও,
◾রুশ বংশোদ্ভুত গণিতবিদ এবং খ্রিস্টান ধর্মতাত্ত্বিক ড. ইভান পেনিন (১৮৫৫-১৯৪২) একদা দাবি তুলেছিলেন বাইবেল ‘ধর্মগ্রন্থটি ৭ সংখ্যা দ্বারা চমৎকারভাবে আবদ্ধ’। (Keith Newman, Is God A Mathematician?)
◾কেউ আবার ১২ এর সাথে বাইবেলের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন।
◾ইহুদিদের বিখ্যাত শেমহামেফোরাস (Shemhamphorasch)। এক্সোডাসের ১৪:১৯-২১, এই তিনটি আয়াতের মাধ্যমে তারা স্রষ্টার ৭২টি নাম উদ্ভাবন করেছে। ইহদীরা দাবী করে এই প্রতিটি আয়াতে ৭২টি করে বর্ণ আছে।(“72 Names of God,” at The Kabbalah Centre International, ©2006 Kabbalah Centre International)
কাজেই কুরআনের ১৯-এর সাংখ্যিক তাৎপর্য কোন আলাদা গুরুত্ব দাবি করে না।কুরআনের
সত্যতার দলীল কুরআন নিজেই। এই অকাট্য ও
সুস্পষ্ট্য বাস্তবতা প্রমাণের জন্য এ ধরনের
ভিত্তিহীন মতবাদের পিছনে পড়া আদৌ উচিত নয়।
সাধারণ সমস্ত ঘটনায় এ ধরণের সাংখ্যিক তাৎপর্য খোঁজার প্রয়াস নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বহুভাবে সমালোচিত হয়েছে, অপবিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
▶John Allen Paulos, Irreligion: A Mathematician Explains Why the Arguments for God Just Don’t Add Up, Hill and Wang, 2008, paperback ed
▶John Allen Paulos, Innumeracy: Mathematical Illiteracy and Its Consequences, Vintage Books, 1990
▶http://www.skepdic.com/bibcode.html
◾৫.পন্নী সাহেবের কথিত মু’জিযার ত্রুটি
হিযবুত তাওহীদের দাবি হচ্ছে পন্নীর বক্তব্যে ৩ সংখ্যার সংখ্যাজাল বিদ্যমান।কিন্তু এখান থেকে এমন কিছু বের করে আনা সম্ভব যাতে ৩ সংখ্যার সন্নিবেশ ঘটেনি।যেমনঃ
১.’ডাইরেক্টলি কথা বলা’ এসেছে-২ বার
২.’আল্লহর শোকর’ কথাটি এসেছে-২ বার
৩.’আল্লহর উপর তাওয়াক্কুল’ এসেছে-২ বার
৪.’উম্মতে মুহাম্মদী’ এসেছে-৭ বার
৫.’হেযবুত তাওহীদ’ এসেছে -৪ বার
(আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তাওহীদের বিজয় ঘোষণাঃ ২৬-২৯)
এগুলোর একটিও ৩ সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত নয়।ইচ্ছে করলেই এ ধরনের আরও অমিল বের করা সম্ভব ।
উপরোক্ত সুদীর্ঘ আলোচনা থেকে প্রমাণিত হল যে ,এসব সংখ্যাগত বিশ্লেষণের তাৎপর্য ভিত্তিহীন ।সুতরাং যে দলিলের উপর ভিত্তি করে হিযবুত তাওহীদ পন্নী সাহেবকে আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তি ও তার বক্তব্যকে আল্লাহর পক্ষ হতে সত্যায়নকৃত বলার প্রয়াস চালিয়েছে, সেই সংখ্যাতত্ত্বটাই ভিত্তিহীন ।এমতাবস্থায় ১৪০০ বছরের ইসলামকে এক নিমিষেই বিকৃত,নতুন পদ্ধতির সালাত,ইসলামের বিভিন্ন পরিভাষার মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে মু’জিযার দোহাই দিয়ে তা চালিয়ে দেয়ার শেষ পথটুকুও বন্ধ হয়ে গেল আলহামদুলিল্লাহ ।
————
তথ্যসূত্রঃ
▪শাইখ আবদুল মালেক হাঃফি কর্তৃক লিখিত-‘১৯ সংখ্যাও কি কুরআনী মুজেযা?’
▪উইকিপিডিয়া