প্রচ্ছদ / নামায/সালাত/ইমামত / মক্কায় মুকীম ব্যক্তি আরাফা মুযদালিফায় জামাতে কসর পড়বে নাকি পূর্ণ নামায পড়বে?

মক্কায় মুকীম ব্যক্তি আরাফা মুযদালিফায় জামাতে কসর পড়বে নাকি পূর্ণ নামায পড়বে?

প্রশ্ন

السلام عليكم ورحمة الله

জনাব,
আমার একটা প্রশ্ন,
☆আমি মুকিম (মক্কা থাকি ) আরাফাতের মসজিদে যোহরের এবং আছরের নামাজ জামাতে দুই রাকাত পড়ানো হয় , আমিও কি দুই রাকাত পড়বো? নাকি ইমাম সাহেবের সালাম ফেরানোর পরে দাঁড়িয়ে গিয়ে চার রাকাত সম্পন্ন করব? আর যদি জামাত না পাই তাহলে কিভাবে যোহর ও আছরের নামাজ পড়তে হবে?

শুকরান ।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

জামাতে পড়লে যেহেতু আপনি মুকীম, তাই ইমামের সালাম ফিরানোর পর বাকি দুই রাকাত পূর্ণ করে নিতে হবে।

আর যদি একাকী পড়েন, জামাত না পান, তাহলে মতভেদ আছে।  ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর মতে যোহরের সময় যোহর এবং আসরের সময় আসর পড়তে হবে। দুই নামায একত্রে পড়া যাবে না।

কিন্তু ইমাম আবূ ইউসুফ রহঃ এবং মুহাম্মদ রহঃ এর মতানুসারে যোহর ও আসর একই সময়ে পরপর পড়া যাবে।

তবে এক্ষেত্রে পূর্ণ যোহর তথা চার রাকাত এবং পূর্ণ আসর তথা চার রাকাত আসর পড়তে হবে।

যেহেতু মতভেদ আছে তাই সতর্কতা ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর মতামতের উপর আমল করা। বাকি ইমাম আবু ইউসুফ এবং ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর মতামতের উপর আমল বিষয়ে ভাবা যেতে পারে।[ফাতাওয়া কাসিমীয়া-১২/৩২৮]

তবে মুতাআখখিরীন উলামায়ে কেরাম ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর মতামতের উপরই ফাতওয়া প্রদান করে থাকেন। অর্থাৎ জামাত না পেলে যোহর ও আসরের নামায সময়মত আলাদা আদায় করতে হবে।

عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: «إِذَا صَلَّيْتَ فِي رَحْلِكَ بِعَرَفَةَ فَصَلِّ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا لِوَقْتِهَا، وَاجْعَلْ لِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا أَذَانًا وَإِقَامَةً»

বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত ইবরাহীম রাহ. বলেন, আরাফায় যখন নিজ তাঁবুতে নামায আদায় করবে তখন প্রত্যেক নামায ওয়াক্ত মতো পড়বে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আযান-ইকামত দিবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৪২৩৫।

فى شرائط جواز ا لجمع: الجماعة فيهما، فلو صلاهما أو إحداهما منفردا لم يجز عند ابى حنيفة، والجماعة شرط لازم فى حق غير الإمام فلا تسقط بحال….. عندهما لا يشترط بشيء من الشروط الثلاثة إلإ الإحرام بالحج فى العصر فقط (غنية الناسك، باب مناسك عرفات، فصل فى شرائط جواز الجمع، جديد-151-152، قديم-81

وفى رد المحتار: وإن دخل أولا ما نوى المبيت فيه يصير مقيما، ثم بالخروج إلى الموضع الآخر لا يصير مسافرا، لأن موضع إقامة الرجل حيث يبيت به  (الدر المختار مع رد المحتار-2/606-607)

فى تنوير الابصار- (من خرج من عمارة موضع إقامته) قاصدا مسيرة ثلاثة أيام ولياليها بالسير الوسط مع الاستراحات المعتادة صلى الفرض الرباعي ركعتين حتى يدخل موضع مقامه أَوْ يَنْوِيَ إقَامَةَ نِصْفِ شَهْرٍ (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/599-605، قاضى خان-1/164)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

বিয়ের আগে ‘ব্রেক আপ বা তালাক’ বললে কি বিয়ের পর তালাক হয়?

প্রশ্ন   নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কাতার প্রবাসী একটি মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন হারাম রিলেশন ছিল এখন …