প্রশ্ন
বরাবর, মুহতামিম সাহেব,
আসসালামু আলাইকুম।
সম্মনিত মুফতি সাহেব। যদি স্বামী স্ত্রী ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী স্বামীর কাছে ডিভোর্স চায় এবং প্রায় সবসময় ঝগড়া হলেই চায়। এবং লিখিতভাবে চায়।
এক পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীকে সাবধান করেঃ যদি স্ত্রী আর একবার এইরকম কথা বলে তাহলে তাই হবে এবং ঐটাই হবে স্বামীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। (স্বামী ঐ সময়ও তালাকের এরাদা করে)
এরপর ঝগড়া হলে স্বামী স্ত্রীকে সতর্ক করে (৩/৪বার)।
এরপর এক পর্যায়ে স্ত্রী তার স্বামীর কাছে ঐ একই প্রস্তাব করেন, এবং বলেন “যত কিছুই হোক স্বামী যেন তার স্ত্রীকে লিখিতভাবেই সব ব্যবস্থা করে দেয়”।
এমতাবস্থায় হুজুরের নিকট আরজ এই যে, উপরে উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি শরীয়তের বিধান কি?
ধন্যবাদ
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নটি অস্পষ্ট। বুঝা যাচ্ছে, স্ত্রী বারবার তালাক চাইলে স্বামী বলে যে, যদি আরো এভাবে স্বামীকে তালাক দিতে স্ত্রী পীড়াপীড়ি করে, তাহলে স্বামী তালাক প্রদান করবে।
তালাক প্রদান করা ওয়াদা করে। কিন্তু তালাক দেয়নি।
যদি তা’ই হয়, তাহলে উপরোক্ত কথোপকথন শুধু তালাক দেবার ওয়াদাই হয়েছে। তালাক হয়নি।
صيغة المضارع لا يقع بها الطلاق الا اذا غلب فى الحال كما صرح به الكمال بن الهمام (الفتاوى الحامدية، كتاب الطلاق-38، رشيدة(
وفى الدر المختار، بخلاف قوله طلقى نفسك فقالت أنا طالق، أو أنا اطلق نفسى، لم يقع لأنه وعد، (رد المحتار، كتاب الطلاق، باب تفويض الطلاق-3/319
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com