প্রশ্ন
হযরত মুফতি সাহেব,
আপনার ফতোয়া থেকে জানতে পারলাম যে-
أما (الخمر) إذا خلله بعلاج بالملح أو بغيره يحل عندنا (الفتاوى الهندية،كتاب الأشربة وفيه بابان الباب الأول في تفسير الأشربة والأعيان التي تتخذ منها الأشربة وأسماؤها وماهياتها وأحكامه-5/410
অনুবাদ-মদকে যখন লবন বা অন্য কিছু দ্বারা সির্কা বানিয়ে ফেলা হয়, তখন তা হালাল হয়ে যায়। {ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪১০, মাজমাউল আনহুর-৪/২৫১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৮}
কিন্তু বিষয়টি স্পষ্ট হল না। মেহেরবানি করে যদি মাসঅালাটি আরেকটু খোলাসা করে লিখতেন বড় এহসান হত। যেমন, কী ধরণের রিফাইন করলে তার মৌলিকত্ব থাকেনা, মৌলিকত্ব বলতে কী বুঝায় ইত্যাদি।
আর একটি জানার বিষয় হল, এই মাসআলার আছল অর্থাৎ ‘নাপাকির মৌলিকত্ব পরিবর্তন হয়ে গেলে তা পাক হয়ে যায়’ এ কথার ভিত্তি কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
মৌলিকত্ব মানে হল মূল বিষয়। যেমন লবনের মূল হল তার লবনাক্ততা, মিষ্টির মৌলিকত্ব মিষ্টতা। তেমনি প্রতিটি বস্তুর একটি মৌলিকত্ব রয়েছে। সেটি পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া মানেই মৌলিকত্ব পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
وَقَالَ أَبُوالدَّرْدَاءِ، فِي المُرِي: «ذَبَحَ الخَمْرَ النِّينَانُ وَالشَّمْسُ»
হযরত আবু দারদা রাঃ বলেন, মাছ ও সূর্যের তাপ মদকে হালাল করে দেয়। {বুখারী-২/৯৬}
অর্থাৎ মদের মাঝে মাছ দিয়ে তা রৌদ্রে রেখে দিলে তাতে আর মদের মৌলিকত্ব বাকি থাকে না, তখন সেটি সির্কা হয়ে যায়। তাই এটি খাওয়া হালাল।
عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ خَلِّكُمْ خَلُّ خَمْرِكُمْ»
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-উত্তম সির্কা সেটা, যেটি মদ থেকে বানানো হয়। {মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী,হাদীস নং-১১৭২৩}
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।