প্রচ্ছদ / কাফন-দাফন-জানাযা / সত্তর হাজার বার কালিমা পড়ে ঈসালে সওয়াব করার বিধান কী?

সত্তর হাজার বার কালিমা পড়ে ঈসালে সওয়াব করার বিধান কী?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ।

হয়রত!
বিভিন্ন দোয়ার অনুষ্ঠানে দেখেছি মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফেরাতের জন্য
কুরআন শরীফ খতম বকশিশ করে এবং ৭০ হাজার কালেমার নেসাব বকশিশ করে ।

আর ৭০ হাজার কালেমার নেসাবের ব্যাপারে এক সময় একটা ঘটনা পড়েছিলাম ,
কিন্তু সম্পূর্ণ বিষয়টা মনে নেই ।
কিছুটা সারমর্ম অবশ্য মনে আছে , কোনো এক আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তি কাশফের
মাধ্যমে দেখতে পান যে , এক ব্যক্তির মায়ের করবে আযাব হচ্ছে ।
আর যখন ৭০ হাজার কালেমা পড়ে তার মায়ের রূহের উপর বকশিশ করে তখন কবরের
আযাব বন্ধ হয়ে যায় ।

আসসালামু আলাইকুম

নাম- সেলিম আলী

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن رالرحيم

শরীয়াতসম্মত যে কোন ঈসালে সওয়াবের দ্বারা মাইয়্যেত উপকৃত হয়। তেলাওয়াতে কুরআন,ইস্তেগফার, নফল সাদকা, যে কোন নেক আমল দ্বারাই  ঈসালে সওয়াব করা যায়। ঈসালে সওয়াবের এই আমল দুই ভাবে করা যায়। এক. উক্ত নেক কাজ করার সময় এই নিয়ত করা যে,হে আল্লাহ এর সওয়াব অমুক মাইয়্যেতকে পৌঁছে দিন। তাহলে এরূপ নিয়তই যথেষ্ট। দুই.আর যদি এরূপ নিয়ত  ছাড়া কোন নেক আমল করা হয় তাহলে পরে এরূপ বলবে হে আল্লাহ এর সওয়াব অমুককে পৌঁছে দিন।                                                                                                   তবে আপনি প্রশ্নে ৭০ হাজার বার কালেমা পড়ে মাইয়্যেতের রূহে বখশিশ করার যে আমলটির কথা উল্লেখ করেছেন এর কোন আলাদা ফজীলত হাদীস ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই এটাকে সুন্নাহ মনে না করে যদি কেউ এ পদ্ধতিতে  ঈসালে সওয়াব করতে চায় তাহলে তার অবকাশ রয়েছে।

আর উক্ত আমলটি অনেক বুযুর্গানে দ্বীনরা তাদের অভিজ্ঞতা ও কাশফের মাধ্যমে ফলপ্রসু হিসেবে বলে থাকেন। বাকি এটি কুরআন বা হাদীসে বর্ণিত কোন পদ্ধতি নয়।

তাই এটিকে বুযুর্গদের অভিজ্ঞতালব্দ একটি পদ্ধতি হিসেবে করা যায়। কিন্তু সুন্নত বা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত মনে করা যাবে না। যদি সুন্নাহ বা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত মনে করা হয়, তাহলে বিদআত হবে।

উল্লেখ্য যে, মাইয়্যেতের ঈসালে সওয়াবের জন্য হাদীসে নির্দেশিত আমল করাই শ্রেয়। এরূপ একটি আমল নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

হযরত মা‘কিল বিন ইয়াছার রা.থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন يس على موتاكم .   اقرؤوا তোমরা তোমাদের মৃতদের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসীন পড়।(আহমদ,আবু দাউদ,ইবনে মাজাহ,ইবনে হিব্বান,হাকেম)

النصوص

وأجمعوا على أن الاستغفار والدعاء والصدقة والحج والعتق تنفع الميت، ويصل ثوابه إليه ، وقراءة القران عند القبر مستحبة .(رحمة الأمة فى اختلاف الأئمة)

 والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

মাওলানা মুহসিনুদ্দীন খান

সহকারী গবেষক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- [email protected]

সত্যায়ন ও সংযোজন

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

0Shares

আরও জানুন

আজানের সময় বা খানা খাওয়া ও বাথরুমে গমণ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় মাথায় কাপড় রাখার হুকুম কী?

প্রশ্ন আমার চারটি বিষয়ে জানার ছিলো : ________ ১, বাথরুমে অবস্থানকালীন সময়ে মাথায় কাপড় দেওয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *