প্রচ্ছদ / নামায/সালাত/ইমামত / পেশাবের রাস্তায় সারাক্ষণ ধাতু ঝরা ব্যক্তি কিভাবে নামায আদায় করবে?

পেশাবের রাস্তায় সারাক্ষণ ধাতু ঝরা ব্যক্তি কিভাবে নামায আদায় করবে?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম।

হযরত আমি সিলেট থেকে বলছি।  পেশায় একজন ছাত্র। বয়স ২৩ রানিং।

আমার যৌন একটা সমস্যা আছে আর সেটা হলো সারাক্ষন পেশাবের রাস্তাদিয়ে চুয়ে চুয়ে পাতলা পানি (হালকা বীর্যপাত) পড়ে।

ডাক্তারি সাবজেক্টে যেটাকে ধাতুদৌর্বল্যতা বলে। এসব পানি কাপড়ে যাতে না লাগে সেজন্য লিঙ্গের আগায় নরম কাপড়/টিসু সব সময় পেছিয়ে রাখি।

এখন জানার বিষয় হলো এরকম অবস্থায় আমি নামাজ পড়বো কিভাবে? লিঙ্গে টিসু বা কাপড় জুড়ানো অবস্থায় নামজা পড়তে পারবো? 

আশাকরি উত্তর টা জানিয়ে বাধিত করবেন। আমি সন্দেহে ভোগছি।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمةالله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

যদি নামায পড়ার সময়টুকু পর্যন্ত ধাতু ঝরা থেকে মুক্ত থাকতে সক্ষম না হোন, তাহলে আপনি মা’জুর হিসেবে সাব্যস্ত হবেন।

আর মা’জুরের হুকুম হলো: একটি নামাযের জন্য একটি অযুই যথেষ্ট। পবিত্র কাপড় পরিধান করে অযু করে এক নামাযের পূর্ণ সময় পর্যন্ত যত ইচ্ছা নামায ও ইবাদত করা যাবে।

নতুন অজু করতে হবে না বা কাপড়ও পরিবর্তন করতে হবে না।

তবে নতুন নামাযের সময় হলে, নতুন করে অজু করে পবিত্র কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করতে পারবেন।

এভাবে প্রতিটি ওয়াক্তে নতুন অজু ও পবিত্র জামা পরিধান করে নামায আদায় করবেন।

وصاحب عذر من به سلس) بول لا يمكنه إمساكه (أو استطلاق بطن أو انفلات ريح أو استحاضة) أو بعينه رمد أو عمش أو غرب، وكذا كل ما يخرج بوجع ولو من أذن وثدي وسرة (إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة بأن لا يجد في جميع وقتها زمنا يتوضأ ويصلي فيه خاليا عن الحدث…… (وحكمه الوضوء) لا غسل ثوبه ونحوه (لكل فرض) …. (ثم يصلي) به (فيه فرضا ونفلا) فدخل الواجب بالأولى (فإذا خرج الوقت بطل) أي: ظهر حدثه السابق، (الدر المختار مع رد المحتار، كتاب الطهارة، مطلب فى احكام المعذور، زكريا-1/504-505، حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-148-151)

وتتوضأ المستحاضة ومن به سلس بول أو استطلاق بطن أو انفلات ريح أو رعاف دائم أو جرح لا يرفأ لوقت كل فرض، ويصلون به فرضا ونفلا (البحر الرائق، كتاب الطهارة، باب الحيض، زكريا-1/373، مجمع الأنهر-1/84)

الْمُسْتَحَاضَةُ وَمَنْ بِهِ سَلَسُ الْبَوْلِ أَوْ اسْتِطْلَاقِ الْبَطْنِ أَوْ انْفِلَاتِ الرِّيحِ أَوْ رُعَافٍ دَائِمٌ أَوْ جُرْحٍ لَا يُرْقَأُ يَتَوَضَّئُونَ لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ وَيُصَلُّونَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ فِي الْوَقْتِ مَا شَاءُوا مِنْ الْفَرَائِضِ وَالنَّوَافِلِ هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ. (الفتاوى الهندية-1/41)

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।

ইমেইল[email protected]

 

0Shares

আরও জানুন

ঋণ পরিশোধের আগে বাসা ভাড়া মাফ শর্তে ঋণ সুবিধা নেয়া কি জায়েজ?

প্রশ্ন হুজুর, আমার বাসায় এক ব্যক্তি ভাড়া থাকে। আমি তার কাছ থেকে বিশ লাখ টাকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস