প্রশ্নঃ
মুহতারাম, আমি অনলাইন থেকে একজন শায়খের বক্তব্য শুনে আজ দুই বৎসর কুরবানী দেই না। কিন্তু আমাদের জুমার মসজিদের ইমাম সাহেব বলেছেন, কুরবানী না করলে এর শাস্তি রয়েছে। কথাটি কি সঠিক? এবং আমার করণীয় কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্নকর্তাঃ
সাইফুল ইসলাম।
কাইচ্ছুটি, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا و مسلما
উত্তরঃ
জ্বি হ্যাঁ। ইমাম সাহেব সঠিক বলেছেন। ইচ্ছেকৃত সাহেবে নেসাব কুরবানী না করার উপর নবীজি (সা) এর ধ্বমকি এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّفَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন: যার কুরবানী করার সামর্থ্য রয়েছে, যদি কুরবানী না করে সে যেন আমার ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৭৯২৪,দারা কুতনী ৪৬৭৭)
অন্য বর্ণনায় আসছে,
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَا عَمِلَ آدَمِيٌّ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ إِنَّهَا لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ مِنَ الأَرْضِ فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا ” .
আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কুরবানীর দিন রক্ত প্রবাহিত করা (যবেহ করা) অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় মানুষের কোন আমল হয় না। কিয়ামতের দিন এর শিং লোম ও পায়ের খুর সব সহ উপস্থিত হবে। এর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদায় পৌছে যায় সুতরাং স্বচ্ছন্দ হৃদয়ে তোমরা তা করবে। (সুনানে তিরমিজি ১৪৯৩)
জেনে রাখা উচিত, প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তির উপর কুরবানীর নির্ধারিত দিনে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকলে প্রতি বৎসর কুরবানী ওয়াজিব হয়। কুরবানী আল্লাহ তা‘আলার বিধান । ইচ্ছেকৃত এতে শৈথিল্য প্রদর্শন করার সুযোগ নেই।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে করণীয় হল, কায়োমানোবাক্যে তাওবাহ করত: প্রতি বৎসর কুরবানীর কাফ্ফারা স্বরুপ একটি ছাগল বা তার সমপরিমাণ মূল্য সাদকাহ করতে হবে।
المستندات الشرعية
رد المحتار: (کتاب الأضحیۃ، 463/9، ط: بیروت)
قولہ : (ولو ترکت التضحیۃ الخ) شروع في بیان قضاء الأضحیۃ إذا فاتت عن وقتہا فإنہا مضمونۃ بالقضاء في الجملۃ کما في البدائع ۔۔۔۔۔۔۔ قولہ : (تصدق بہا حیۃ) لوقوع الیأس عن التقرب بالإراقۃ ، وإن تصدق بقیمتہا أجزأہ أیضًا ؛ لأن الواجب ہنا التصدق بعینہا ، وہذا مثلہ فیما ہو المقصود ۔ اھ ۔ ذخیرۃ”.
المبسوط للسرخسي: (باب الأضحیۃ، 18/12، ط: دار الکتب العلمیۃ)
“وأما بعد مضي أیام النحر فقد سقط معنی التقرب بإراقۃ الدم ، لأنہا لا تکون قربۃ إلا في مکان مخصوص وہو الحرم ، وفي زمان مخصوص وہو أیام النحر ۔ ولکن یلزمہ التصدق بقیمۃ الأضحیۃ إذا کان ممن تجب علیہ الأضحیۃ ، لأن تقربہ في أیام النحر کان باعتبار المالیۃ فیبقی بعد مضیہا والتقرب بالمال في غیر أیام النحر یکون بالتصدق ، ولأنہ کان یتقرب بسببین : إراقۃ الدم والتصدق باللحم ، وقد عجز عن أحدہما ، وہو قادر علی الآخر فیأتي بما یقدر علیہ”.
والله أعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।
সাবেক শিক্ষার্থী ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
সত্যায়নে
.মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা
পরিচালক: তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।