প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম,
রাশদান আল জুহানি ( Rashdan Al juhani) সাহাবীর জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন দয়া করে।
ধন্যবাদ।
প্রশ্নকর্তাঃ
Monem Shahariar [email protected]
وعليكم السلام ورحمة الله
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا و مسلما
উত্তরঃ
জুহাইনা গোত্রের বনু রাশদান এবং তাদের সাথে নবীজি সাঃ এর ঘটনাঃ
জুহাইনা গোত্রের বনু রাশদান যাদেরকে ইসলামপূর্ব জাহেলী যূগে বনু গাওয়া নামে ডাকা হতো এবং যাদের গ্রাম ছিলো গাওয়া নামে, নবীজি সাঃ এই নাম পরিবর্তন করেন।
ঘটনাটি:
গায়ান/গাইয়ান তিনি জুহাইনা গোত্রের বংশধর এবং তিনি হলেন গায়ান বিন কায়েস বিন জুহাইনা বিন যায়েদ। তিনার নাম নবীজি সাঃ রাশদান রাখেন। যখন তাদের গোত্রের লোক নবীজি সাঃ এর কাছে আসেন, তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন তোমরা কারা? তারা বলেন বনু গায়ান/গাইয়ান। নবীজি সাঃ বলেন, না বরং তোমরা বনু রাশদান। নামটি প্রসিদ্ধিতা লাভ করে। তাদের গ্রাম গাওয়া নামে ডাকা হতো তিনি (সা.) রাশাদ রেখেদেন।
সাঈদ ইবনে ওয়াব আল-জুহানী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এই ব্যাক্তি যাকে জাহেলী যূগে গায়য়ান নামে ডাকা হতো। যখন জুহাইনা গোত্র থেকে তার স্ত্রী নবীজি সাঃ এর নিকট বায়আত গ্রহণ করার জন্য আসে, (যাকে গাওয়া নামে ডাকা হতো) রাসুলুল্লাহ সাঃ তাকে জিজ্ঞেস করে তোমার নাম কি? এবং তোমার পরিবার কোথায়?
সে বলে আমার নাম গাইয়ান। পরিবার গাওয়ায় রয়েছে। তখন রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, না, তুমি রাশদান। তোমার পরিবার রাশাদে রয়েছে। সেদিন থেকে বর্তমানেও উক্ত ব্যক্তির নাম রাশদান এবং উক্ত এলাকার নাম রাশাদ প্রসিদ্ধিতা লাভ করে।
আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী তা’জীলুল মানফাআত নামক কিতাবে ঘটনাটি বর্ণনা করেন।
উসদুল গাবায় আল্লামা ইবনুল আসীর আবু নুআঈম ইস্পাহানীর মতো বর্ণনা করার পর বলেন, আবু আমর বলেন, রাশদান একজন মাজহুল (অপরিচিত) ব্যক্তি। কেউ কেউ তাকে নবীজি সাঃ থেকে বর্ণনাকারী সাহাবী হিসেবে গণ্য করেছেন।
তবে আবু নুআঈম ও আবু আমরের কথা দ্বারা বুঝা যায় তিনি উল্লেখযোগ্য কেউ নন।
কোন কোন বর্ণনাকারীর তার ব্যাপারে ভুল ধারণা রয়েছে যে, তিনি নবীজি সাঃ থেকে বর্ণনা করেছেন।
তার ব্যাপারে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, তিনি জুহাইনা গোত্রের লোক। তাদের একটি দল যখন নবীজি সাঃ এর নিকট আসে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন বণু গাইয়ান বিন কায়েস ইবনে জুহাইনা গোত্রের। নবীজি সাঃ জিজ্ঞেস করেন তোমরা কারা? তারা বলেন বণু গায়ইয়ান। নবীজি সাঃ বলেন, বরং তোমরা বনু রাশদান। সে থেকে নামটি প্রসিদ্ধিতা পায়।
এমনিভাবে আল-ইসাবাহ ফী তাময়ীযিস সাহাবাহ (২/৪৮৪) তে ঘটনাটির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইবনে কালবীর বর্ণিত ঘটনাটি প্রসিদ্ধ।
এমনিভাবে ইমাম ইবনে আব্দিল বার আল-ইস্তিয়াব ফী মা’রিফাতিল আসহাবেও (২/৬১১) উল্লেখ করেন।
দেখুন:
১- উসদুল গাবাহ ফী মা’রিফাতিস সাহাবাহ (১/৫৯) ইবনুল আসীর ,
২- আত্তোহফাতুল লতীফাহ ফী তারীখিল মাদীনাতিশ শারীফাহ (২/২২) ইমাম সাখাবী।
والله أعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।
সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা.
পরিচালক: তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
উস্তাজুল ইফতা : জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা–জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী