প্রশ্ন:
ইমাম সাহেবর অজান্তে নামাজ রত অবস্থায় তার কওযু নষ্ট হয়ে যাওয়া।
যোবায়ের হুসাইন, ফতুল্লা,নারায়ণগঞ্জ। আসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু! সম্মানিত মুফতী সাহেবের নিকট আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের এলাকার মসজিদে ইমাম সাহেবের পিছনে জামাতের সাথে নামাজ পড়া অবস্থায় তার ঘাড়ে একটি ফোড়া দেখেছি, এবং সেখান থেকে পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পরেছে, যা তিনি অনুভব করতে পারছেনা, এমতাবস্থায় আমি কিভাবে ইমাম সাহেব কে সতর্ক করবো যে, তার অজু নষ্ট হয়ে গিয়েছে?
প্রশ্নকর্তা:
From: Zubayer Hussein <zubayerbinzalal@gmail.com>
وعليكم السلام ورحمة الله
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا و مسلما
উত্তর:
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার করণীয় ছিলো, নামাজের শেষে ইমাম সাহেবকে এবিষয়ে অবহিত করা। যেহেতু পোড়ার পুঁজ/ রক্ত বেয়ে বেয়ে পড়ার কারণে অজু এবং নামাজ উভয়টি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন ইমাম হল যামিনদার আর মুআয্যিন হল আমানতদার। হে আল্লাহ ইমামকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন আর মুআয্যিনদের মাগফিরাত করুন। (সুনানে তিরমিজি, হাদীস নং ২০৭)
قال الإمام الترمذی في سننه: (رقم الحدیث: ٢٠٧)
عن ابي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” الإمام ضامن والمؤذن مؤتمن، اللهم ارشد الائمة واغفر للمؤذنين
وجاء في الدر المختار: (٥٩١/١، ط: سعید) “وإذا ظهر حدث إمامه و كذا كل مفسد في رأي مقتد بطلت، فيلزم إعادتها، لتضمنه صلاة المؤتم صحةً وفسادًا.” انتهى
বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন
উত্তর লিখনে
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।
সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা.
পরিচালক– তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।