প্রশ্ন
শামীম আহমাদ
বাংলাদেশ
আসসালামুআলাইকুম,
ছফর অবস্থায় কসর নামায কোন ওয়াক্তে কত রাকাত পড়তে হবে সে সম্পর্কে কোরআন-হাদীসের আলোকে জানতে চাই। শুধু ফরজ পড়লেই চলবে নাকি ওয়াজিব, সুন্নত এসব নামাযও আদায় করতে হবে, বিস্তারিত জানিয়ে বাধীত করিবেন।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সফর অবস্থায় চার রাকাতবিশিষ্ট নামায দুই রাকাত করে পড়তে হবে। যথা জোহর আসর ও ইশার নামায চার রাকাতের বদলে দুই রাকাত পড়া হবে।
তবে মাগরিবের নামায ও বিতির নামায তিন রাকাত পূর্ণই পড়তে হবে।
বাকি সুন্নত নামায সুযোগ থাকলে পড়া উত্তম। কষ্টকর হলে বা চলন্ত অবস্থায় হলে না পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ فُرِضَتْ ثَلَاثًا لِأَنَّهَا وِتْرٌ، قَالَتْ: ” وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ صَلَّى الصَّلَاةَ الْأُولَى إِلَّا الْمَغْرِبَ، فَإِذَا أَقَامَ زَادَ مَعَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ، لِأَنَّهَا وَتْرٌ، وَالصُّبْحَ، لِأَنَّهُ يُطَوِّلُ فِيهَا الْقِرَاءَةَ “
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম নামায দুই রাকাত করে ফরজ হয় মাগরিব ছাড়া। কারণ এটি শুরুতেই ছিল তিন রাকাত। কেননা, এটি দিনের বিতির নামায। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাঃ যখন সফর করতেন, তখন তিনি দুই রাকাত করেই পড়তেন, মাগরিব ছাড়া। তথা মাগরিব তিন রাকাতই পড়তেন। তার পরবর্তীতে দুই রাকাতের সাথে দুই রাকাত বৃদ্ধি করা হল মাগরিব ছাড়া। কেননা এটি [দিনের] বিতির। আর ফজরের দুই রাকাতের সাথে বৃদ্ধি করা হয়নি, কেননা এতে লম্বা কিরাত পড়া হয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬২৮২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৩০৫, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৫৫}
وهذا هو الاعدل اذا لم تكن مشقة حالة النزول (كبيرى-545
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।