প্রচ্ছদ / ওয়াকফ/মসজিদ/ঈদগাহ / ধনী শিক্ষকদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিং এর খানা খাওয়ার হুকুম কী?

ধনী শিক্ষকদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিং এর খানা খাওয়ার হুকুম কী?

প্রশ্ন

আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের মাদরাসায় ধনী এবং গরীব উভয় প্রকারের শিক্ষকই আছেন। যাকাত খেতে  পারবেন এমন শিক্ষক যেমন আছেন, তেমনি যাকাত  ওয়াজিব এমন ধনী শিক্ষকও আছেন।

সবাই মাদরাসার বোর্ডিং থেকে খানা খান। মাদরাসার  বোর্ডিং এর মাঝে মাঝে যাকাতের খাবার আসে। সেই সাথে ওয়াজিব সদকার গরু বকরী ও আসে। যা মাদরাসার বোর্ডিং এর মাঝে সকলের জন্যই পাকানো হয়।

আমার জানার বিষয় হলো, এভাবে ধনী শিক্ষকদের জন্য যাকাতের খানা খাওয়া বা সদকায়ে ওয়াজিবার পশুর গোশত খাওয়া কতটুকু শরীয়তসম্মত? দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

যাকাতের টাকা বা সদকায়ে ওয়াজিবার পশু যাকাতের যোগ্য কাউকে তামলীক করানো ছাড়া যদি সরাসরি মাদরাসার বোর্ডিং এ রান্না করা হয়, তাহলে উক্ত পশুর গোশত এবং খানা ধনী শিক্ষকদের জন্য খাওয়া জায়েজ নয়।

তাই এমন অর্থ বা পশু বোর্ডিং এ পাঠানোর আগে হকদারকে মালিক বানিয়ে দেয়া, তারপর সেই হকদার তা মাদরাসায় দিয়ে দিলেই কেবল তা ধনী কারো জন্য ভক্ষণ করা জায়েজ হবে।

যেমন ওয়াজিব সদকার কোন পশু আসলে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তা কোন  হকদার ছাত্রকে মালিক বানিয়ে দিবেন। তারপর সেই ছাত্র যদি মাদরাসায় পাকিয়ে সকলকে খাওয়ানোর অনুমতি প্রদান করে,  তাহলে তা সকলের জন্য খাওয়া জায়েজ হবে। অন্যথায় সরাসরি পাকানো হলে, শুধুমাত্র যাকাতের হকদারদের জন্য খাওয়া জায়েজ হবে, অন্যদের জন্য খাওয়া জায়েজ হবে না।

হয়তো উক্ত হীলা করে নিবে। নতুবা খাওয়া থেকে বিরত  থাকবে।

যাকাত খাওয়ার যোগ্য ছাত্রদের খানা আলাদা ও যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত নয়, এমন ব্যক্তিদের খানা সম্পূর্ণ আলাদাভাবে পাকানোই সবচে’ উত্তম ও নিরাপদ পদ্ধতি।

انما الصدقات للفقرآء والمساكين، سورة التوبة-60

مصرف ا لزكاة والعشر هو فقير (رد المحتار، زكريا-3/283، كرتاشى-2/339)

هى تمليك خرج الإباحة جزء مال خرج المنفعة فلو أسكن فقيرا داره سنة ناويا لا يجزيه المال كما صرح به أهل الأصول ما يتمول ويدخر للحاجة،  وهو خاص بالأعيان، فخرج به تمليك المنافع (الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-3/171-172، كرتاشى-2/256-257)

عن عائشة رضى الله عنها… أنها أرادت أن تشترى بريرة للعتق….. وأوتى النبى صلى الله عليه وسلم بلحم، فقلت: هذا ما تصدق به  على بريرة فقال: هو لها صدقة ولنا هدية (صحيح البخارى-1/202، رقم-1493)

وأما بقية الصدقات المفروضة والواجبة (وقوله) فلا يجوز صرفها للغنى…….. خرج النفل عنها، لأن الصدقة على الغنى هبة (البحر الرائق،  زكريا-2/427، دار الفكر-2/245، كويته-2/245)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *