প্রশ্ন
ইভ্যালি গিফট কার্ড সম্পর্কে জানতে চাই। ইসলামী শরীয়ত মতে উক্ত গিফট কার্ড ক্রয় করে ক্যাশব্যাক সুবিধা নিয়ে পণ্য ক্রয় করা কতটুকু শরীয়তসম্মত? দয়া করে বিস্তারিত জানালে কৃতার্থ হবো।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কার্যক্রম শরীয়ত সম্মত নয়।
এর মাঝে ইভ্যালির গিফট কার্ড অফারও শরীয়ত সম্মত নয়।
গিফট কার্ডগুলোর সারমর্ম হল,
নানা উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে তারা যে গিফট কার্ড ইস্যু করে। তা নির্ধারিত হারে টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়। যাতে পঞ্চাশ থেকে ষাট পার্সেন্ট টাকা অতিরিক্ত জমা হয়।
যেমন আপনি এক লাখ টাকার কার্ড কিনলে আপনার অনলাইন একাউন্টে জমা হবে এক লাখ ষাট হাজার টাকা।
সেই টাকা আপনি তাদের নির্ধারিত সময়ের আগে কোথাও ব্যয় করতে পারবেন না। যেমন এক মাস বা দুই মাস।
নির্ধারিত সময়ের পরও আপনি উক্ত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। বরং তাদের মাধ্যমেই পণ্য ক্রয় করতে হবে।
এছাড়া নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পণ্য ক্রয় করতে পারবেন না।
গিফট কার্ড ক্রয় মানে হল, প্রতিষ্ঠানটির কাছে টাকা ঋণ রাখা।
ঋণের টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করা যেমন বৈধ নয়। তেমনি সেই টাকা দিয়ে কোন কিছু কিনতে বাধ্য করাও বৈধ নয়। সেই হিসেবে ইভ্যালির গিফট কার্ড করা এবং তা দিয়ে কোন প্রকার লেনদেনই ইসলামী শরীয়তে জায়েজ নয়।
তাই এসব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
قال أبن المنذر: أجمعوا على أن المسلف إذا شرط على المستسلف زيادة أو هدية فأسلف على ذلك، إن أخذ الزيادة على ذلك ربا، وقد روى عن أبى بن كعب، وابن عباس، و ابن مسعود، أنهم نهوا عن قرض جر منفعة، ولأنه عقد إرفاق وقربة، فإذا شرط فيه الزيادة أخرجه عن موضوعه، ولا فرق بين الزيادة فى القدر او فى الصفة، وإن شرط أن يؤجره داره، أو يبيعه شيئا، أو أن يقرضه المقترض مرة أخرى لم يجز، ولأن النبى صلى الله عليه وسلم نهى عن بيع وسلف، وإن شرط أن يؤجر داره بأقل من أجرتها، أو على أن يستأجر دار المقرض بأكثر من أجرتها، أو على أن يهدى له أو يعمل له عملا كان أبلغ فى التحريم (اعلاء السنن، كتاب الحوالة، باب كل قرض جر منفعة-14/513)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমু
ইমেইল– ahlehaqmedia201