প্রশ্ন
আস্সালামুআলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আজকে
Dr. Tuhin Malik ভাইয়ের স্ট্যাটাসে একজন কমেন্ট করেছেন, এই কমেন্ট এর উত্তর পরিপূর্ণ কাউকেই দিতে দেখছিনা। অবশেষে আপনাদের শরণাপন্ন হলাম। আল্লাহ ভরসা, আমি একজন কানাডা প্রবাসী।
প্রশ্নগুলো নিচে দেওয়া হলো।
১। ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার পূর্বে বা নবীর আগমনের পূর্বে কি হজ্জের প্রচলন ছিল?
২। “যূ-নফর” তিনি কি মুসলিম ছিলেন বা তিনি কি এক আল্লাহ কে বিশ্বাস করতেন?
৩। আব্দুল মুত্তালিব তিনিও কি আল্লাহ কে মান্য করতেন বা নবীর আগমনের পূর্বে কি মক্কায় ইসলাম ছিল?
৪। যদি কাবা আল্লাহর ঘর হিসেবেই মানতো তাহলে তার ভিতরে মূর্তি পুজো কেন করতো?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতিহাস ও হাদীসের ভাষ্য অনুপাতে জানা যায় যে, ইসলাম আগমণের পূর্ব থেকেই বাইতুল্লাহ এর হজ্জ প্রচলিত চিল। তবে তা ইসলামের হজ্জের মত পুরোপুরি ছিল না।
ইসলাম পূর্ব সময়েও মক্কার লোকেরা বাইতুল্লাহকে সম্মান করতো। বাইতুল্লাহ তওয়াফ করতো। সাফা ও মারওয়ায় যেতো।
ইসলাম এসে তাদের বাতিল কাজগুলোকে বাদ দিয়ে হজ্জকে পরিপূর্ণ ইবাদত হিসেবে অবস্থান দেয়।
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: «كَانَتْ قُرَيْشٌ وَمَنْ دَانَ دِينَهَا يَقِفُونَ بِالْمُزْدَلِفَةِ، وَكَانُوا يُسَمَّوْنَ الحُمْسَ، وَكَانَ سَائِرُ العَرَبِ يَقِفُونَ بِعَرَفَاتٍ، فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ أَمَرَ اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْتِيَ عَرَفَاتٍ، ثُمَّ يَقِفَ بِهَا، ثُمَّ يُفِيضَ مِنْهَا» فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ} [البقرة: 199]
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, কুরাইশ এবং যারা তাদের দ্বীনের অনুসারী ছিল তারা (হাজ্জের সময়) মুযদালাফাহতে অবস্থান করত। আর কুরাইশগণ নিজেদের ‘হুকুম’ ও (ধর্মে অটল) বলে অভিহিত করত এবং অপরাপর আরবগণ আরাফাতে অবস্থান করত। অতঃপর ইসলামের আগমন ঘটলে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ‘আরাফাতে আসার, সেখানে ওকুফের এবং এরপর সেখান থেকে ফেরার নির্দেশ দিলেন। ثُمَّ أَفِيْضُوْا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ আয়াত আল্লাহ এ সম্পর্কেই ব্যক্ত করেছেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৫২০]
عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ عُرْوَةُ: «كَانَ النَّاسُ يَطُوفُونَ فِي الجَاهِلِيَّةِ عُرَاةً إِلَّا الحُمْسَ، وَالحُمْسُ قُرَيْشٌ وَمَا وَلَدَتْ، وَكَانَتِ الحُمْسُ يَحْتَسِبُونَ عَلَى النَّاسِ، يُعْطِي الرَّجُلُ الرَّجُلَ الثِّيَابَ يَطُوفُ فِيهَا، وَتُعْطِي المَرْأَةُ المَرْأَةَ الثِّيَابَ تَطُوفُ فِيهَا، فَمَنْ لَمْ يُعْطِهِ الحُمْسُ طَافَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانًا، وَكَانَ يُفِيضُ جَمَاعَةُ النَّاسِ مِنْ عَرَفَاتٍ، وَيُفِيضُ الحُمْسُ مِنْ جَمْعٍ»، قَالَ: وَأَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ” أَنَّ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي الحُمْسِ: {ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ} [البقرة: 199]، قَالَ: كَانُوا يُفِيضُونَ مِنْ جَمْعٍ، فَدُفِعُوا إِلَى عَرَفَاتٍ “
‘উরওয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, জাহিলী যুগে হুমস ব্যতীত অন্য লোকেরা উলঙ্গ অবস্থায় (বাইতুল্লাহর) তাওয়াফ করত। আর হুমস্ হলো কুরায়শ এবং তাদের ঔরসজাত সন্তান-সন্ততি। হুমসরা লোকেদের সেবা করে সওয়াবের আশায় পুরুষ পুরুষকে কাপড় দিত এবং সে তা পরে তাওয়াফ করত। আর স্ত্রীলোক স্ত্রীলোককে কাপড় দিত এবং এ কাপড়ে সে তাওয়াফ করত। হুমসরা যাকে কাপড় না দিত সে উলঙ্গ অবস্থায় বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করত। সব লোক ‘আরাফা হতে প্রত্যাবর্তন করত আর হুমসরা প্রত্যাবর্তন করত মুযদালিফা হতে। রাবী হিশাম (রহ.) বলেন, আমার পিতা আমার নিকট ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, এই আয়াতটি হুমস সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ (ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ) (এরপর যেখান হতে অন্য লোকেরা প্রত্যাবর্তন করে, তোমরাও সেখান হতে প্রত্যাবর্তন করবে) রাবী বলেন, তারা মুযদালিফা হতে প্রত্যাবর্তন করত, এতে তাদের ‘আরাফাহ পর্যন্ত যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হল। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৬৬৫]
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ: قُلْتُ لَهَا: إِنِّي لَأَظُنُّ رَجُلًا، لَوْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، مَا ضَرَّهُ، قَالَتْ: «لِمَ؟» قُلْتُ: لِأَنَّ اللهَ تَعَالَى يَقُولُ: {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ} [البقرة: 158] إِلَى آخِرِ الْآيَةِ، فَقَالَتْ: ” مَا أَتَمَّ اللهُ حَجَّ امْرِئٍ وَلَا عُمْرَتَهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ: فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَطَّوَّفَ بِهِمَا، وَهَلْ تَدْرِي فِيمَا كَانَ ذَاكَ؟ إِنَّمَا كَانَ ذَاكَ أَنَّ الْأَنْصَارَ كَانُوا يُهِلُّونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لِصَنَمَيْنِ عَلَى شَطِّ الْبَحْرِ، يُقَالُ لَهُمَا إِسَافٌ وَنَائِلَةُ، ثُمَّ يَجِيئُونَ فَيَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ يَحْلِقُونَ، فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ كَرِهُوا أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَهُمَا لِلَّذِي كَانُوا يَصْنَعُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، قَالَتْ: فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ} [البقرة: 158] إِلَى آخِرِهَا، قَالَتْ: فَطَافُوا “
হিশাম ইবনু উরওয়া (রহঃ) থেকে তার পিতা সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে বললাম, আমি মনে করি কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ না করলে তার কোন ক্ষতি হবে না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কেন? আমি বললাম, কেননা আল্লাহ তা-আলা বলেছেনঃ সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম… এ দুটোর তাওয়াফ করলে কোন ক্ষতি নেই (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)। তখন আয়িশা (রাঃ) বললেন, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করলে আল্লাহ তার হাজ্জ (হজ্জ) ও উমরা পূর্ণ করেন না।
তুমি যা বলেছ যদি তাই হতো তবে আয়াতটি এভাবে হতোঃ “ঐ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন অসুবিধা নেই।” তুমি কি জান ব্যাপারটি কী? ব্যাপার তো ছিল এই যে, আনসারগণ জাহেলী যুগে দুটি প্রতিমার নামে সমূদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত। একটির নাম ইসাফ, অপরটির নাম নায়েলা। তারা এসে সাফা-মারওয়া সাঈ করত। অতঃপর মাথা কামাতো। ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা জাহেলী যুগে যা করত, সে কারণে সাফা-মাওয়ার মাঝে সাঈ করা খারাপ মনে করল। তাই আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেনঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম, এ দুটোর তাওয়াফ করলে কোন ক্ষতি নেই” অতঃপর লোকেরা সাঈ করে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১২৭৭, ইফাবা-২৯৪৯]
২য় প্রশ্নের উত্তর
যু নফর মুসলমান ছিলেন না। তিনি আরব ছিলেন। ইয়ামানের রাজন্যর্গের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। আবরাহার বাহিনী কা’বা ধ্বংস করতে আসলে তিনি তার বাহিনীসহ তাকে বাঁধা দিয়ে যুদ্ধ করেন। অবশেষে বন্দী হন আবরাহার বাহিনীর কাছে। তাকে আবরাহার সামনে পেশ করা হলে তিনি বলেন যে, আমাকে হত্যা করার চেয়ে আপনার সাথে রাখলে আপনার বেশি উপকার হবে। তারপর আবরাহা তাকে ছেড়ে দেয়। [সীরাতে ইবনে হিশাম-১/৪৬]
فَخَرَجَ إلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْيَمَنِ وَمُلُوكِهِمْ يُقَالُ لَهُ: ذُو نَفْرٍ، فَدَعَا قَوْمَهُ، وَمَنْ أَجَابَهُ مِنْ سَائِرِ الْعَرَبِ إلَى حَرْبِ أَبْرَهَةَ، وَجِهَادِهِ عَنْ بَيْتِ اللَّهِ الْحَرَامِ، وَمَا يُرِيدُ مِنْ هَدْمِهِ وَإِخْرَابِهِ، فَأَجَابَهُ إلَى ذَلِكَ مَنْ أَجَابَهُ، ثُمَّ عَرَضَ لَهُ فَقَاتَلَهُ، فَهُزِمَ ذُو نَفْرٍ وَأَصْحَابُهُ، وَأُخِذَ لَهُ ذُو نَفْرٍ فَأُتِيَ بِهِ أَسِيرًا، فَلَمَّا أَرَادَ قَتْلَهُ قَالَ لَهُ ذُو نَفْرٍ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، لَا تَقْتُلْنِي فَإِنَّهُ عَسَى أَنْ يَكُونَ بَقَائِي مَعَكَ خَيْرًا لَكَ مِنْ قَتْلِي، فَتَرَكَهُ مِنْ الْقَتْلِ وَحَبَسَهُ عِنْدَهُ فِي وَثَاقٍ، وَكَانَ أَبْرَهَةُ رَجُلًا حَلِيمًا.
পরবর্তীতে যু’নফরকে আবরাহা বাদশা বন্দী করে। বন্দী থাকা অবস্থায়ও তার বন্ধু হযরত আব্দুল মুত্তালিবকে রক্ষা করার জন্য তিনি চেষ্টা করেন। [সীরাতে ইবনে হিশাম-১/৪৯]
فَانْطَلَقَ مَعَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ، وَمَعَهُ بَعْضُ بَنِيهِ حَتَّى أَتَى الْعَسْكَرَ، فَسَأَلَ عَنْ ذِي نَفْرٍ، وَكَانَ لَهُ صَدِيقًا، حَتَّى دَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي مَحْبِسِهِ، فَقَالَ لَهُ: يَا ذَا نَفْرٍ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ غَنَاءٍ فِيمَا نَزَلَ بِنَا؟ فَقَالَ لَهُ ذُو نَفْرٍ: وَمَا غَنَاءُ رَجُلٍ أَسِيرٍ بِيَدَيْ مَلِكٍ يَنْتَظِرُ أَنْ يَقْتُلَهُ غُدُوًّا أَوْ عَشِيًّا مَا عِنْدَنَا غَنَاءٌ فِي شَيْءٍ مِمَّا نَزَلَ بِكَ إلَّا أَنَّ أُنَيْسًا سَائِسَ الْفِيلِ صَدِيقٌ لِي، وَسَأُرْسِلُ إلَيْهِ فَأُوصِيهِ بِكَ، وَأُعْظِمُ عَلَيْهِ حَقَّكَ، وَأَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَأْذِنَ لَكَ عَلَى الْمَلِكِ، فَتُكَلِّمُهُ بِمَا بَدَا لَكَ. وَيَشْفَعُ لَكَ عِنْدَهُ بِخَيْرِ إنْ قَدَرَ عَلَى ذَلِكَ، فَقَالَ: حَسْبِي. فَبَعَثَ ذُو نَفْرٍ إلَى أُنَيْسٍ، فَقَالَ لَهُ: إنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ سَيِّدُ قُرَيْشٍ، وَصَاحِبُ عِيرِ مَكَّةَ، يُطْعِمُ النَّاسَ بِالسَّهْلِ، وَالْوُحُوشَ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ، وَقَدْ أَصَابَ لَهُ الْمَلِكُ مِائَتَيْ بَعِيرٍ، فَاسْتَأْذِنْ لَهُ عَلَيْهِ، وَانْفَعْهُ عِنْدَهُ بِمَا اسْتَطَعْتَ، فَقَالَ: أَفْعَلُ.
৩য় ও ৪র্থ প্রশ্নের উত্তর
ইসলাম আসার পূর্বে আরবের লোকেরা আল্লাহ তাআলাকে রব হিসেবে মানতো। কিন্তু একমাত্র ইবাদতের যোগ্য মনে করতো না। বরং এর সাথে মূর্তিদেরও শরীক করতো। এ কারণেই তারা কাবা ঘরে মূর্তি স্থাপন করেছিল।
কিন্তু মৌলিকভাবে তারা আল্লাহ তাআলাকে সৃষ্টিকর্তা ও রব হিসেবে স্বীকার করতো।
কুরআনে কারীমের একাধিক আয়াতের মাঝে আরবের লোকদের আল্লাহকে রব হিসেবে বিশ্বাস করার কথা বর্ণিত হয়েছে।
যেমন-
وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ ۖ فَأَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ [٢٩:٦١]
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে? [সূরা আনকাবূত-৬১]
وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّن نَّزَّلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ مِن بَعْدِ مَوْتِهَا لَيَقُولُنَّ اللَّهُ ۚ قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ [٢٩:٦٣]
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অতঃপর তা দ্বারা মৃত্তিকাকে উহার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না। [সূরা আনকাবূত-৬৩]
আব্দুল মুত্তালিব ও তেমনি ছিলেন।
তবে তার মাঝে মিল্লাতে ইবরাহীমীর অনেক সিফাত বিদ্যমান ছিল। তিনি দানশীল ছিলেন। কখনো মদ পান করেননি। আল্লাহর নামে মান্নত করতেন। কসম করতেনও আল্লাহর নামে। কাবাকে আল্লাহর ঘর বিশ্বাস করতেন। সন্তানদের খতনা করাতেন।[সীরাতে গ্রন্থাবলী দ্রষ্টব্য]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]