প্রশ্ন
Is it permissible to read this darood
“sallallahu alaika ya Muhammado”
প্রশ্নকর্তা-মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসূল সাঃ এর রওজা পাকের সামনে দাঁড়িয়ে “আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ বা ইয়া মুহাম্মদ সাঃ” শব্দে দরূদ পড়া সম্পূর্ণ জায়েজ। এতে কোন সমস্যা নেই। কারণ রাসূল সাঃ কবরে জীবিত আছেন। তাই রওজার সামনে দাঁড়িয়ে সরাসরি সম্বোধনসূচক উক্ত দরূদ পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
যেমন আমরা সাধরণ কবরবাসীকে সরাসরি সম্বোধন করে বলি “আসসালামু আলাইকা ইয়া আহলাল কুবুর”। সাধারণ কবরবাসীকে যদি সরাসরি সালাম দেয়ার যায়, তাহলে রাসূল সাঃ কে কেন তার রওজার সামনে সরাসরি সালাম দেয়া যাবে না?
কিন্তু রওজার সামনে না থেকে দূরে অবস্থান করাকালে, যেমন বাংলাদেশে থেকে এভাবে দরূদ পড়ার দুই সূরত। যথা-
১-এ আকিদায় দরূদ পড়া যে, রাসূল সাঃ সর্বত্র হাজির নাজির। তিনি সব কিছু দেখেন। সব কিছু শুনেন।
২- রাসূল সাঃ মদীনায় রওজায় শুয়ে আছেন। বাকি আমার এ সালাম ফেরেশতারা নবীজী সাঃ এর কাছে পৌঁছে দিবে।
উক্ত দুই সূরতের প্রথম সূরতে উক্ত দরূদ পড়া বিদআত ও শিরক। এতে কোন সন্দেহ নেই।
বাকি দ্বিতীয় সূরতে পড়া জায়েজ আছে। তবে এভাবে সম্বোধনসূচক দরূদ না পড়ে আম দরূদ পড়াই শ্রেয়।
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: ” مِنَ السُّنَّةِ أَنْ تَأْتِيَ قَبْرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قِبَلِ الْقِبْلَةِ، وَتَجْعَلَ ظَهْرَكَ إِلَى الْقِبْلَةِ، وَتَسْتَقْبِلَ الْقَبْرَ لِوَجْهِكَ، ثُمَّ تَقُولَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুন্নাহ হল, কিবলা দিক থেকে রাসূল সাঃ এর কবরের কাছে আসবে। পিঠ থাকবে কিবলার দিকে। চেহারাকে কবরের অভিমূখী করবে, তারপর বলবে “আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যূ ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। {মুসনাদে আবী হানীফা, হাদীস নং-৩৭}
إِنَّ اللَّهَ عَالِمُ غَيْبِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ [٣٥:٣٨
আল্লাহ আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও সবিশেষ অবহিত। {সূরা ফাতির-৩৭}
وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ ۚ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ ۚ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ [٦:٥٩
তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। {সূরা নিসা-৫৯}
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ نَائِيًا أَبْلَغْتُهُ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার কবরের পাশে এসে সালাম দেয়, তার সালাম আমি শুনি। আর যদি দূর থেকে সালাম দেয়, তাহলে তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-১৪৮১}
قَالَ عَبْدُ اللهِ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ لِلَّهِ فِي الْأَرْضِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ، يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلَامَ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় ভূপৃষ্ঠে ফেরেশতাগণ ভ্রমণ করছে, যারা আমার উম্মতের পক্ষ থেকে সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৬৬৬}
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
আসসালামুআলাইকুম।।। আমি একটা ইমেইল করছিলাম [email protected] এখানে কিন্তু তার উত্তর দেওয়া হয়নি।।। একটু দেখবেন প্লিজ।।।আর উত্তর ইমেইলে দিবেন প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই
ধন্যবাদ