প্রশ্ন
আসসসালামু আলাইকুম,
আমি একজন প্রকৌশল বিদ্যার ছাত্র। আমার প্রশ্ন হলো-
অমুসলিমদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে কি? না গেলে মেলামেশার সীমারেখা কত দূর?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبكاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অমুসলিমদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ
অমুসলিমদের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব যদ্বারা নিজের দ্বীনের চেয়ে অমুসলিমের দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিংবা স্বীয় দ্বীনের উপর অমুসলিমের কথাকে প্রাধান্য দেয়ার মত আবেগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এককথায় আন্তরিক ও গভীর সম্পর্ক স্থাপন কোন মুসলমানের জন্য অমুসলিমের সাথে জায়েজ নয়।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَىٰ أَوْلِيَاءَ ۘ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ [٥:٥١
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। {সূরা মায়েদা-৫১}
তবে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা, বিপদে সহযোগিতা করা, প্রতিবেশী হলে খোঁজ খবর নেয়া ইত্যাদি শুধু জায়েজই নয়। উত্তম।
إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَىٰ إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ ۚ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ [٦٠:٩
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। {সূরা মুমতাহিনা-৮}
এক ইহুদী কিশোর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমত করত। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে গেলেন এবং তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। তখন সে মুসলমান হয়ে গেল। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৩৫৬, ৫৬৫৭)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।