প্রচ্ছদ / Tag Archives: সাহু সেজদা (page 5)

Tag Archives: সাহু সেজদা

চার রাকাত বিশিষ্ট্য নামাযে প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের পর দরূদ পড়ে ফেললে সাহু সেজদা লাগবে?

প্রশ্ন মোঃ রমজান আলী প্রশ্ন: চার রাকাত নামাজের প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু এর সাথে দরুদ শরীফ পড়ে ফেলেছি।এই জন্য কি সাহু সিজদা দিতে হবে নাকি নামাজের কোন সমস্যা হবে না? কেউ বলে সাহু সিজদা দিতে হবে কে বলে দিতে হবে না আসলে আপনার কাছ থেকে সঠিক উত্তরটা চাচ্ছি? উত্তর بسم الله …

আরও পড়ুন

মাসবূক ব্যক্তি ইমামকে সাহু সেজদা করতে দেখলে কী করবে?

প্রশ্ন যে ব্যক্তি এক বা দুই রাকাত পায়নি। এমন ব্যক্তি ইমাম সাহেবকে সেজদায়ে সাহু করতে দেখলে কী করবে? সে কি ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে সেজদায়ে সাহু করবে নাকি না? দয়া করে জানাবেন। উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم সেজদায়ে সাহু করবে। কিন্তু সালাম ফিরাবে না। শুধু সেজদায়ে সাহুতে শরীক হবে। তারপর …

আরও পড়ুন

ফজরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করতে না পারলে সূর্যোদয়ের কতক্ষণ পর আদায় করা যাবে?

প্রশ্ন ফজরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করতে না পারলে সূর্যোদয়ের কতক্ষণ পর আদায় করা যাবে? উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم সূর্য পরিপূর্ণ উদয়ের পর আরো পনের বিশ মিনিট পর থেকে কাযাসহ সকল নামায পড়া যাবে। এর আগে পড়া যাবে না। কারণ, সে সময় সূর্যপূজারীরা সূর্যের পূজা করে থাকে। عَنْ عَمْرِو …

আরও পড়ুন

ইমাম মুসল্লি থেকে উঁচু স্থানে দাঁড়ালে নামায হবে কি?

প্রশ্ন মুফতী সাহেরেব কাছে আমার জানার বিষয় হল, যদি ইমাম যেখানে দাঁড়িয়েছে সেটি মুক্তাদীদের কাতার থেকে দুই হাত উঁচু হয়, তাহলে এভাবে জামাত করে নামায পড়া যাবে কি? আমাদের এলাকায় মাহফিলের সময় এমনটি করা হয়ে থাকে। ইমাম সাহেব স্টেজের উপর দাঁড়ান, আর মুক্তাদীগণ নিচে দাঁড়ায়। স্টেজ কয়েক হাত উঁচু হয়ে …

আরও পড়ুন

সেজদায় গিয়ে যদি উভয় পা জমিন থেকে উঠিয়ে রাখা হয় তাহলে নামায হবে কি?

প্রশ্ন আমার প্রশ্ন হল, সেজদায় গিয়ে যদি উভয় পা জমিন থেকে উঠিয়ে রাখা হয়, তাহলে নামায হবে কি? আমি শুনেছি যদি কিছু সময় হলেও পা জমিনে রাখা হয়, তাহলে নামায হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন আগে একটি লেখা পেলাম, যাতে একটি ফাতওয়া বিভাগ থেকে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে যে, সেজদার কোন এক …

আরও পড়ুন

বাইতুল্লায় জামাতে নামায পড়াকালে মহিলার পিছনে পিছনে দাঁড়ানো পুরুষের নামায হবে কি?

প্রশ্ন হজ্জ বা উমরা করতে গিয়ে জামাতে নামায পড়ার সময় যদি মহিলা সামনের কাতারে দাঁড়ায়, আর তার পিছনে পুরুষ দাঁড়ায়, তাহলে উক্ত পুরুষের নামাযের হবে কি? দয়া করে জানাবেন। উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم যদি মহিলা জামাতে শরীক হয়, আর ইমাম সাহেব মহিলাদের ইমামতীরও নিয়ত করে থাকে, তাহলে মহিলার নামায …

আরও পড়ুন

সুন্নাতে মুআক্কাদা না পড়ারও সুযোগ রয়েছে? পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নাম কোথায় আছে?

প্রশ্ন From: মোঃনেছার উদ্দিন বিষয়ঃ নামাজে নিয়্যত মুখে উচ্ছারন করা আবশ্যক কিনা? প্রশ্নঃ লা মাজহাবি এক ভাই বল্লেন যে, ১ আমরা নামাজে যে নিয়্যত করি তার কোন ভিত্তি নাই এই গুলো সম্পূর্ন বিদায়াত | ২ আমরা ফরজ নামাযের পূর্বে যে সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ আদায় করি এই গুলো নাকি আদায় করা …

আরও পড়ুন

গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় সেজদায়ে শোকর বা এমনিতে সেজদা আদায় করা যাবে?

প্রশ্ন From: তোফায়েল আহমেদ ত্বোহা বিষয়ঃ গোসল ফরজ/হায়েজ/নেফাস অবস্থায় সিজদা প্রসঙ্গে প্রশ্নঃ আসসালামুআলাইকুম, গোসল ফরজ/হায়েজ/নেফাস অবস্থায় কুরআন তেলয়াত করা/নামাজ পড়া হারাম। কিন্তু যথা সম্ভব পরিষ্কার পরিছন্ন হয়ে যদি আল্লাহ তায়ালাকে সিজদা করতে চায়, এ প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে? সিজদা করা যাবে কি? (বিষয়টি অতীব জরুরী) উত্তর وعليكم السلام ورحمة الله …

আরও পড়ুন

ইমামের স্ত্রী চরিত্রহীন হলে উক্ত ইমামের পিছনে ইক্তিদা সহীহ হবে কি?

প্রশ্ন ওই ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি না যার স্ত্রী পরপুরুষের সাথে অবাধে মেলামেশা করে। এবং স্ত্রী তার অবাধ্য। তবে ইমাম সাহেব খুব ভাল মানুষ। দয়া করে উত্তর জানাবেন!!! উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم যদি ইমাম সাহেব তার স্ত্রীকে খারাপ কাজ থেকে ফিরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কিন্তু তার সাথে পেরে …

আরও পড়ুন

চেয়ারে বসে নামাযঃ দারুল উলুম করাচির নতুন ফাতওয়া!

প্রশ্ন :  মুহতারাম, কিছুদিন পূর্বে চেয়ারে বসে নামায বিষয়ে একটি রিসালা (পুস্তিকা) হাতে পেলাম, যা মূলত এ বিষয়ে জামেয়া দারুল উলূম করাচী-এর  ফতওয়া বিভাগ থেকে জারিকৃত বিভিন্ন সময়ের ফতওয়ার সংকলন। মাকতাবা দারুল উলূম করাচী থেকে প্রকাশিত। শুনেছি এর বাংলা অনুবাদও হয়েছে। এই রিসালা পড়ার পর আমার জেহেনে কিছু প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি এ সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞ করবেন। প্রশ্নগুলো নিম্নরূপ : ১. রিসালাটির বিভিন্ন স্থানে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি জমিনের উপর সিজদা করতে অক্ষম সে যদি চেয়ারে নামায আদায় করে তাহলে তার উপর জরুরী সামনে তখতা, টেবিল বা অন্যকিছু রেখে তার উপর সিজদা করা। কারণ, এটাও নিয়মতান্ত্রিক সিজদা। সুতরাং যে ব্যক্তি এভাবে সিজদা করতে সক্ষম তাকে এভাবে সিজদা করতে হবে। শুধু ইশারার মাধ্যমে সিজদা করা সহীহ হবে না।’’ এখন আমার প্রশ্ন হল, বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামকে তো মাসআলাটি এভাবে বলতে শুনিনি। এখানে তো সাধারণত দেখা যায় এ ধরনের মাযূর মুসল্লীগণ ইশারায় রুকু-সিজদা আদায় করেন। এখন উল্লিখিত ফওয়ার আলোকে আমাদের কী করা উচিত? ২. যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায পড়তে সক্ষম কিন্তু রুকু সিজদা করতে সক্ষম নয়, অথবা রুকু করতে সক্ষম কিন্তু সিজদা করতে অক্ষম। আমাদের দরসী কিতাবাদীতে পড়েছি, এই ব্যক্তি দাড়িয়ে বা বসে যেভাবে ইচ্ছা নামায আদায় করতে পারবে। কিন্তু উত্তম হল, এই ব্যক্তি বসে নামায আদায় করবে এবং ইশারায় রুকু সিজদা করবে। আমি এক আলেমের কাছে এই মাসআলার দলীল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা’তে (১ : ৩২৫) এর একটি দলীল উল্লেখ আছে। দারুল উলূম করাচী-এর রিসালায়ও এই মাসআলা এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার একটি বিষয়ে একটু খটকা লাগছে। তা হল, যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায আদায় করতে সক্ষম তার দাড়িয়েই নামায আদায় করা উচিত। রুকু সিজদা করতে সক্ষম নয় তো রুকু সিজদা ইশারায় আদায় করবে। কিন্তু ‘কিয়াম’ (দাড়ানো) কেন ছেড়ে দেবে? এই মাসআলায় কি ফিকহে হানাফীতে শুধু একটিই ‘কওল’ (মত) নাকি অন্য ‘কওল’ও আছে? যদি থাকে তাহলে দলীলের আলোকে কোনটি বেশি মজবুত? ৩. আজকাল চেয়ারে বসে নামায পড়ার প্রবণতা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ তো শুধু আরামের জন্য চেয়ারে বসে নামায আদায় করেন। আবার কিছু মানুষ যদিও তাদের রুকু সিজদা করতে কষ্ট হয়, কিন্তু জমিনে বসে ইশারায় রুকু সিজদা করতে পারেন। তা সত্ত্বেও তারা নির্দ্বিধায় চেয়ারে বসে নামায আদায় করেন। আমার প্রশ্ন হল, শুধু আরামের জন্য চেয়ারে বসে নামায আদায় করা কি ঠিক? যদি কেউ তা করে তার নামায কি সহীহ হবে? আর যে ব্যক্তি জমিনে বসে নামায আদায় করতে পারে তার জন্য কি শুধু এই ওযরে চেয়ারে বসে নামায আদায় করা সহীহ হবে যে, সে রুকু সিজদা করতে সক্ষম নয়? আশা করি বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে জানাবেন। আবুল কালাম  নারায়নগঞ্জ উত্তর :  বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এক. যে ব্যক্তি জমিনে সিজদা করতে অক্ষম তার ব্যপারে হুকুম হল, সে ইশারায় সিজদা আদায় করবে। এমন মাযূর ব্যক্তি যদি অন্য কোন কারণে চেয়ারে বসে নামায আদায় করেন তাহলেও তিনি ইশারায়ই সিজদা করবেন, সামনে তখতা বা টেবিল রেখে তাতে সিজদা করার প্রয়োজন নেই। যদি কেউ এমনটি করে তা সিজদা বলে গণ্য হবে না। অবশ্য এর দ্বারা যেহেতু ইশারার কাজ হয়ে যায় ফলে তার সিজদা আদায় হয়ে যাবে। চেয়ারে বসে সামনে তখতা বা টেবিল ইত্যাদির উপর কপাল রাখাকে দুই কারণে সিজদা বলা সহীহ নয়। ১. সিজদার জন্য শর্ত হল, উভয় হাঁটু জমিনের উপর রাখা। ২. সিজদার সময় কপালের অংশ কোমরের অংশ থেকে নীচু থাকা দরকার। চেয়ারে বসে সামনের কোন কিছুর উপর কপাল রাখলে উল্লিখিত উভয় শর্ত পাওয়া যায় না। সুতরাং সেটাকে হাকীকী সিজদা (নিয়মতান্ত্রিক সিজদা) বলা ঠিক নয়। আর আপনি মাকতাবা দারুল উলূম করাচী থেকে প্রকাশিত রিসালার বরাতে যে কথা লিখেছেন, তা যদিও দারুল উলূম করাচীরই কিছু ফতওয়ায় উল্লেখ আছে, কিন্তু সম্প্রতি এই মাসআলার বিষয়ে উসতাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুমের এক সদ্য লিখিত ফতওয়া আমাদের হস্তগত হয়েছে। যাতে দারুল উলূম করাচী-এর দারুল ইফতার অন্যান্য হাযারাতের দস্তখতও রয়েছে। তাতে হযরত দামাত বারাকাতুহুম আগের ফতওয়া থেকে ‘রুজুর’ (প্রত্যাহারের) ঐ লেখায় হযরত ‘‘ফাতওয়া শামী’’র ঐ ‘ইবারাতের’ (বক্তব্য) উপর বিষদ আলোচনা করেছেন যার ভিত্তিতে দারুল উলূমের আগের ফতওয়া দেয়া হয়েছিল। এবং তিনি এটা প্রমাণ করেছেন যে, ঐ ইবারাতের ভিত্তিতে এই মাসআলার দলীল দেয়া সিদ্ধ নয়। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন : “لہذا كرسى پر بيٹهكر سامنے كسى چيز پر سجدہ كرنے كو “سجدۂ حقيقيہ” (باقاعدہ سجدہ) كہنا درست نہين” ‘‘… তাই চেয়ারে বসে সামনে কোন কিছুর উপর সিজদা করাকে ‘হাকীকী সিজদা’ (নিয়মতান্ত্রিক সিজদা) বলা ঠিক নয়।’’ তিনি আরও লিখেছেন, كرسى پر بيٹهنے كى صورت پر علامہ …

আরও পড়ুন