হেযবুত তাওহীদ আন্তঃধর্মীয় ঐক্যে বিশ্বাসী
মানবজাতির বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কাউকে কোনো বিশেষ ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি না।আমাদের কথা হচ্ছে আমরা সকলেই যদি শান্তি চাই,সকলেই যদি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিময় পৃথিবী উপহার দিতে চাই এবং যদি সত্যই পরকাল বিশ্বাস করি এবং জান্নাত বা স্বর্গের আশা করি তবে এজন্য আমাদেরকে সকল প্রকার বিদ্বেষ ভুলে সম্প্রীতি সৃষ্টি করতে হবে,ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে,এ কথাতে একমত হতে ধর্মব্যবসায়ীরা ছাড়া অন্য কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হব কিসের ভিত্তিতে? সেটাই আজ খুঁজে বের করতে হবে ।
…………তাই শান্তি পেতে হলে আমাদেরকে স্রষ্টা আল্লাহর হুকুমের উপর ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।(সবার ঊর্ধ্বে মানবতা -১০)
আমাদের এ আলোচনায় আমরা বিশেষভাবে ৪ টি পয়েন্টের উপর বিজ্ঞ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
১.আন্তঃধর্ম কি?
২.প্রচ্ছদ পর্যালোচনা
৩.ইসলামের দিকে দাওয়াতের গুরুত্ব
৪.আন্তঃধর্মীয় ঐক্য কি সম্ভব?
◾১.আন্তঃধর্ম কি?
এই সময়ে যেসব ফিতনা মুমিনদের ঈমান হরণে কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম হল আন্তঃধর্ম, যাকে আরবীতে বলা হয় ﻭﺣﺪﺓ ﺍﻷﺩﻳﺎن এবং এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে-interfaith .এটি একটি স্বতন্ত্র ও সক্রিয় মতবাদ ।এই মতবাদের মূল বিষয় হল-ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মকেও ধর্মীয় সম-মর্যাদা দেয়া ও তার জন্য মুমিনদের অন্তরে ধর্মীয় সহানুভূতি প্রতিষ্ঠা করা। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোকে ইসলামী দিক থেকে সত্যায়ন করে নেয়া।আরো স্পষ্ট করে বললে-এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করা যে,ইসলাম হচ্ছে এমন ধর্ম যা বর্তমানে প্রচলিত সকল ধর্মকে সত্যায়ন করে।(নাউযুবিল্লাহ)
◾২.প্রচ্ছদ পর্যালোচনাঃ
প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং ইসলামের জন্য ‘আল্লাহ’ চিহ্নকে বাদ দিয়ে ইহুদীদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত তারকা চিহ্নকে একই বৃত্তে এনে মানুষকে ইসলামের বিপরীতে “একটি নতুন কুফরী” ধর্মে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়েছে ।(নাউযুবিল্লাহ)
◾৩.ইসলামের দিকে দাওয়াতের গুরুত্বঃ
হিযবুত তাওহীদ কোনো বিশেষ ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। অথচ,
⏩আল্লহ ﷻ কুরআন মাজীদে বলেনঃ
◾اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।(সূরা আল ইমরান-১৯)
◾ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺒْﺘَﻎِ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻓَﻠَﻦْ ﻳُﻘْﺒَﻞَ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳﻦَ
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।(সূরা আল ইমরান-৮৫)
◾يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।(সূরা আল ইমরান-১০২)
⏩রাসূল ﷺ বলেছেনঃ
◾وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ يَسْمَعُ بِى أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ يَهُودِىٌّ وَلاَ نَصْرَانِىٌّ ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِى أُرْسِلْتُ بِهِ إِلاَّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ
“মুহাম্মাদের জীবন যে সত্ত্বার হাতে, তার কসম করে বলছি, এই উম্মতের যে কেউ ইয়াহূদী হোক বা নাছারা হোক আমার কথা শোনে অথচ আমার রিসালাতের প্রতি ঈমান না আনা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, সে হবে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত” (মুসলিম হা/১৫৩; মিশকাত হা/১০ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে)
◾عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ, أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِتَابٍ أَصَابَهُ مِنْ بَعْضِ أَهْلِ الْكُتُبِ , فَقَرَأَهُ عَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَغَضِبَ , وَقَالَ : ” أَمُتَهَوِّكُونَ فِيهَا يَا ابْنَ الْخَطَّابِ , وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ , لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِهَا بَيْضَاءَ نَقِيَّةً , لَا تَسْأَلُوهُمْ عَنْ شَيْءٍ فَيُخْبِرُوكُمْ بِحَقٍّ فَتُكَذِّبُوا بِهِ , أَوْ بِبَاطِلٍ فَتُصَدِّقُوا بِهِ , وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ , لَوْ أَنَّ مُوسَى كَانَ حَيًّا , مَا وَسِعَهُ إِلَّا أَنْ يَتَّبِعَنِي
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) বর্ণনা করেছেন, একদা হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা) আহলে কিতাবদের একটি কিতাব (কিতাবের একটি পৃষ্ঠা) হাতে করে নবী করিম ﷺ -এর নিকট নিয়ে আসলেন। তারপর সেটি নবীকরীম ﷺ -এর সামনে পাঠ করায় তিনি রাগান্বিত হন। তারপর তিনি বললেন হে ইবনে খাত্তাব! তোমরা কি কোনো দিশেহারা? কসম সেই সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য খাটি ও নির্ভেজাল জিনিষ নিয়ে এসেছি।
কাজেই তোমরা তাদের (আহলে কিতাব) থেকে কিছু জিজ্ঞেস করবেনা। কেননা হয়ত (এমনও হতে পারে) তারা সত্য জিনিষ তোমাদের জানাল আর তোমরা তা মিথ্যা বললে, কিংবা তারা অসত্য কিছু জানাল আর তোমরা তা বিশ্বাস করে পেললে! সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ, যদি মূসাও জীবিত থাকত তবে নিশ্চয় আমার আনুগত্য ছাড়া তাঁরও অবকাশ ছিলনা।” (মুসনাদে আহমদ, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং ১৪৮৫৯)।
এ সকল আয়াত ও হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেল মুক্তির জন্য ইসলাম ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।তাই দাওয়াত একমাত্র ইসলামের দিকেই হবে।অন্য কোন ধর্মের দিকে নয়।
অথচ হিযবুত তাওহীদ স্পষ্টভাবে বলছে বিশেষ কোনো ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করাকে তারা গুরুত্বহীন মনে করে।(নাউযুবিল্লাহ)
এরপরেও কি তাদের ইসলামী দল বলার আর কোন সুযোগ আছে?
◾৪.আন্তঃধর্মীয় ঐক্য কি সম্ভব?
আন্তঃধর্মীয় ঐক্য একটি কুফরি মতবাদ।তাওহীদ ও কুফরের সাথে কখনও ঐক্য হওয়া সম্ভব নয়।
⏩আল্লহ ﷻ কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেনঃ
◾یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا عَدُوِّیۡ وَ عَدُوَّکُمۡ اَوۡلِیَآءَ تُلۡقُوۡنَ اِلَیۡہِمۡ بِالۡمَوَدَّۃِ وَ قَدۡ کَفَرُوۡا بِمَا جَآءَکُمۡ مِّنَ الۡحَقِّ
হে ঈমানদারগণ! আমার ও তোমাদের দুশমনদের প্রতি আকর্ষণ দেখিয়ে তাদের বন্ধু বানিয়ে নিও না,যেহেতু তারা সে সত্যকে অস্বীকার করেছে,যা তোমাদের নিকট এসেছে। (সূরা মুমতাহিনা-১)
◾لَا یَتَّخِذِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الۡکٰفِرِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ فَلَیۡسَ مِنَ اللّٰہِ فِیۡ شَیۡءٍ اِلَّاۤ اَنۡ تَتَّقُوۡا مِنۡہُمۡ تُقٰىۃً ؕ وَ یُحَذِّرُکُمُ اللّٰہُ نَفۡسَہٗ ؕ وَ اِلَی اللّٰہِ الۡمَصِیۡرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আল ইমরান-২৮)
◾یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡیَہُوۡدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوۡلِیَآءَ ۘؔ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّہُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاِنَّہٗ مِنۡہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।(সূরা মায়িদাহ-৫১)
◾وَ لَوۡ کَانُوۡا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ النَّبِیِّ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡہِ مَا اتَّخَذُوۡہُمۡ اَوۡلِیَآءَ وَ لٰکِنَّ کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ فٰسِقُوۡنَ
যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার।(সূরা মায়িদাহ-৮১)
◾يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن تُطِيعُوا الَّذِينَ كَفَرُوا يَرُدُّوكُمْ عَلَىٰ أَعْقَابِكُمْ فَتَنقَلِبُوا خَاسِرِينَ
হে মু’মিনগণ! যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তোমরা যদি তাদের কথা মান,তবে তারা তোমাদেরকে তোমাদের পেছন দিকে (কুফরের দিকে) ফিরিয়ে দেবে। ফলে তোমরা উল্টে গিয়ে কঠিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(সূরা আল ইমরান-১৪৯)
⏩রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
◾من جامع الوشرك و سكن معه فانه مثله
“যে মুশরিকদের সাথে মিশে যায়/একত্রিত হয়/যোগ দেয়,এবং তাদের মাঝে বসবাস করে সে তাদের মতই।” (সুনানু আবি দাউদ,কিতাবুল জিহাদ,হা: ২৭৭৮; শাইখ আলবানীর(রাহঃ) মতে হাদিস হাসান,সহীহুল জামিঈস সগীর:২/২৭৯; হা:৬০৬২)
◾ لا تساكنوا المشركين و لا تجامعوهم فمن ساكنهم او جامعهم فليس منا
“মুশরিকদের সাথে বসবাস করও না,তাদের সাথে মিশেও যেও না/যোগ দিও না। যে কেউ তাদের সাথে বসবাস করে বা মিশে যায়/যোগ দেয় সে আমাদের কেউ নয়।” (ইমাম হাকিম,আল মুস্তাদরাক:২/১৪১; ইমাম হাকিমের (রাহঃ) মতে ইমাম বুখারীর (রাহঃ) শর্তে সহীহ,ইমাম যাহাবী(রাহঃ) একমত পোষণ করেছেন)
◾أَنَا بَرِيءٌ مِنْ كُلِّ مُسْلِمٍ يُقِيمُ بَيْنَ الْمُشْرِكِينَ
“মুশরিকদের মাঝে অবস্থানরত /বসবাসরত প্রত্যেক মুসলিমদের প্রতি আমি রুষ্ট।” (ইমাম ইবন হাজার আসকালানী,বুলুগুল মা’আম মিন আদিল্লাতিল আহকাম,হা: ১২৬৪, ইমাম ইবন হাজারের(রাহঃ) মতে সনদ সহীহ)
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীসের বর্ণনাগুলো আমাদের স্পষ্টভাবে জানান দিচ্ছে যে,কাফেরদের সাথে মুসলিমদের কখনও ঐক্য হতে পারে না।যারা এর চেষ্টা করবে,তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
প্রিয় পাঠক! লক্ষ করুন,
স্কিনশটের মার্ক করা দুটি অংশে হিযবুত তাওহীদের বক্তব্যে স্পষ্ট স্ববিরোধিতা বিদ্যমান।
একদিকে তারা বলছে,তারা কোন বিশেষ ধর্মের দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করতে আগ্রহী নয়, অপরদিকে তারা বলছে ,শান্তি পেতে হলে আমাদেরকে আল্লাহর হুকুমের উপর ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিজ্ঞ পাঠক! উপরের আলোচনা হতে আমাদের কাছে এটাই প্রতিয়মাণ হয়েছে যে, আল্লহ ﷻ এর হুকুম হচ্ছে কুফরের সাথে মিত্র স্থাপন করা যাবে না এবং মুক্তি পেতে হলে একমাত্র ইসলামের পথেই ফিরে আসতে হবে।
কিন্তু এর বিপরীতে হিযবুত তাওহীদ আন্তঃধর্মীয় ঐক্যের মত কুফরি মতবাদ গ্রহণ করে পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত হয়েছে ।
হে হিযবুত তাওহীদের সমর্থক ভাই/বোনেরা!
তাওহীদের শিরোনামে আপনি নিজের অজান্তেই কুফরের পথে হাঁটছেন নাতো?
এখনও সময় আছে সত্য উপলব্ধি করার।
আল্লহ ﷻ আমাদের হক্বের উপর পরিচালিত করুন।(আমীন)