প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি হযরত ভালই আছেন। আমার প্রশ্ন হল,
বিয়ের সময় প্রথানুযায়ী কনে পক্ষ বরকে কাপড় জুতা ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে দেয়। যদিও বর দাবী করে না। কিন্তু না দিলে বর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠতে পারে।
তাই বাধ্য হয়েই কনের পিতা বরকে সাজ দিতে হয় যদিও বলে কনের বাবা ইচ্ছা করে দিয়েছে। এ অবস্থায় বরের জন্য এটা গ্রহণ করা কি জায়েজ হবে?
প্রশ্নকর্তা-আজাদ খন্দকার মুমিন
ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
খুশির সময় উভয় পক্ষ থেকে আগ্রহ এবং চাওয়া ছাড়া যে হাদিয়া বিনিময় হয়, এতে করে উভয় পক্ষের মাঝে মোহাব্বত বৃদ্ধি হয়।
আর বিয়ের উদ্দেশ্যের মাঝে একটি উদ্দেশ্য হল, পরস্পরের মাঝে মোহাব্বত, ভালবাসা, হৃদ্যতা বৃদ্ধি হওয়া।
সেই হিসেবে খাইরুল কুরুন থেকেই বিয়ের সময় হাদিয়া আদান-প্রদান চলে আসছে।
সেই হিসেবে বিয়ের সময় চাওয়া ও আগ্রহ ছাড়া প্রদানকৃত হাদিয়া গ্রহণ এবং প্রদানের মাঝে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু বর পক্ষ অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে, এ ভয়ে প্রদান করলে তা গ্রহণ করা মাকরূহ হবে। কারণ, তখন আর এটি হাদিয়া-তোহফার পর্যায়ে থাকবে না, বরং তা ঘুষের পর্যায়ে চলে যাবে। যা নাজায়েজ।
এখন পরিস্থিতির বিচারে ব্যক্তিকে নির্ণয় করে নিতে হবে তার ক্ষেত্রে হুকুম কী হবে?
যদি নিরেট মোহাব্বতে দিয়ে থাকে, তাহলে গ্রহণে সমস্যা নেই। কিন্তু চাপে পড়ে দিয়ে থাকলে নেয়া যাবে না।
عن عطاء الخارسانى أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: تصافحوا يذهب الغل، وتهادوا تحابوا، وتذهب الشحناء (موطا ماللك-365)
لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم الراشى والمرتشى، ومن الرشوة ما أخذه ولى المرأة قبل النكاح إذا كان بالسوال، او كان إعطاء الزوج بناءا على عدم رضائه على تقدير عدمه، أما إذا كان بلا سوال ولا عن عدم رضائه فيكون هدية فيجوز (مجموعة الفتاوى-2/230)
فكم من مباح يصير بالاتزام من غير لزوم، والتخصيص من غير مخصص مكروها (مجموعة رسائل لكهنوى-3/34
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]