প্রশ্ন
From: jahangir
বিষয়ঃ রোজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য করনীয়
অনেক বয়স্ক, বেশি অসুস্থ,দৈহিক দুর্বলতার জন্য রোজা রাখা সম্ভব নয় এবং পরেও রাখা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় করনীয় কি সামর্থবানদের ??
আর যাদের সামর্থ নাই তাদের করনীয় কি??
কতটুকু সামর্থবান হতে হরে ??
দয়াকরে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
এরকম অক্ষম ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিধান হল, সে তার রোযার ফিদিয়া আদায় করবে। যা হল, প্রতিটি রোজার জন্য ফি একজন মিসকিনকে দুই বেলা খানা খাইয়ে দিবে, বা এর সমমূল্য দান করে দিবে।যা পৌনে দুই সের গম বা এর সমমূল্য পরিমাণ হয়ে থাকে।
যদি এভাবে ফিদিয়া দেয়ার মত সক্ষমতা না থাকে, অর্থাৎ নিজেই যাকাত খাবার যোগ্য দরিদ্র হয়। তাহলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাই যথেষ্ট হবে।
أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [[٢:١٨٤]
গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [সূরা বাকারা-১৮৩-১৮৪]
(وَلِلشَّيْخِ الْفَانِي الْعَاجِزِ عَنْ الصَّوْمِ الْفِطْرُ وَيَفْدِي) وُجُوبًا وَلَوْ فِي أَوَّلِ الشَّهْرِ وَبِلَا تَعَدُّدِ فَقِيرٍ كَالْفِطْرَةِ لَوْ مُوسِرًا وَإِلَّا فَيَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
وفيه ايضا: الْمَرِيضُ إذَا تَحَقَّقَ الْيَأْسُ مِنْ الصِّحَّةِ فَعَلَيْهِ الْفِدْيَةُ لِكُلِّ يَوْمٍ مِنْ الْمَرَضِ (رد المحتار، كتاب الصوم، فصل فى العوارض-2/163)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]