প্রশ্ন
মুহতারাম মুফতী সাহেব! আমার প্রশ্ন হল,
সুন্নত ইতিকাফে কখন বসতে হয়? কোন ব্যক্তি যদি বিশে রমজানের সূর্য অস্ত যাবার পর, বা একুশ তারিখ সকালে ইতিকাফে বসে, এর দ্বারা কি সুন্নত ইতিকাফ আদায় হবে না?
দয়া করে দ্রুত উত্তর জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ সুন্নতে মুআক্কদায়ে কিফায়া। তথা পুরো এলাকার উপর সুন্নত। তবে একজন ব্যক্তিও তা আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে।
আর আরবীতে দিনের গণনা শুরু হয় সূর্য ডুবার সাথে সাথে। যেমন আমরা রমজান মাসের চাঁদ উঠার সাথে সাথেই বুঝে যাই রমজান মাস শুরু হয়ে গেছে। আর এ কারণেই চাঁদ যে রাতে উঠে, সে রাতেই তারাবীহ নামায পড়ে থাকি।
কারণ কি?
কারণ হল, সূর্য অস্ত যাবার সাথে সাথেই রমজান শুরু হয়ে গেছে।
তো ইতিকাফের বিধান হল, রমজানের শেষ দশক পরিপূর্ণভাবে মসজিদে কাটানো। যখনি শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাবে, তখনি রমজানও শেষ এতেকাফও শেষ।
এ কারণে শেষ দশকের ইতিকাফে বসতে হলে বিশে রমজানের সূর্য অস্ত যাবার আগেই মসজিদে প্রবেশ করতে হবে।
যদি সূর্য ডুবার এক সেকেন্ট পরেও কেউ মসজিদে ইতিকাফের নিয়তে প্রবেশ করে, তবুও তার সুন্নত ইতিকাফ বাদ হয়ে গেল। কারণ তখন তার দশকের পূর্ণতা বাকি রইল না। এক সেকেন্ট কম হয়ে গেল।
তাই এ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকা উচিত। আসরের পরই মসজিদে চলে যাওয়াই সবচে নিরাপদ। মাগরিবের পর, বা পরদিন ইতিকাফে বসলে তা নফল ইতিকাফ হবে। সুন্নত ইতিকাফ হবে না।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجَاوِرُ فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُولُ: «تَحَرَّوْا لَيْلَةَ القَدْرِ فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন, এবং বলতেন তোমরা রমজানের শেষ দশকে শবে কদর তালাশ কর। [বুখারী, হাদীস নং-২০২০]
(قَوْلُهُ وَاعْلَمْ أَنَّ اللَّيَالِيَ تَابِعُهُ لِلْأَيَّامِ) أَيْ كُلُّ لَيْلَةٍ تَتْبَعُ الْيَوْمَ الَّذِي بَعْدَهَا، أَلَا تَرَى أَنَّهُ يُصَلِّي التَّرَاوِيحَ فِي أَوَّلِ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ دُونَ أَوَّلِ لَيْلَةٍ مِنْ شَوَّالٍ، فَعَلَى هَذَا إذَا ذَكَرَ الْمُثَنَّى أَوْ الْمَجْمُوعَ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ قَبْلَ الْغُرُوبِ، وَيَخْرُجُ بَعْدَ الْغُرُوبِ مِنْ آخِرِ يَوْمٍ (رد المحتار، كتاب الصوم، باب الاعتكاف-3/444-445)
(وَسُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ) أَيْ سُنَّةُ كِفَايَةٍ كَمَا فِي الْبُرْهَانِ وَغَيْرِهِ لِاقْتِرَانِهَا بِعَدَمِ الْإِنْكَارِ عَلَى مَنْ لَمْ يَفْعَلْهُ مِنْ الصَّحَابَةِ (رد المحتار، كتاب الصوم، باب الاعتكاف-3/430-431
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল- [email protected]