প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি মোঃ আজগার আলী। একজন ধর্মপরায়ন হানাফি অনুসারি মুসলমান। আমি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য কুয়েতে অবস্থান করছি। আমি নিয়মিত আপনাদের সাইট আহলেহক মিডিয়ায় সময় দেই ও সব লেখা ও লেকচার পড়ার চেষ্টা করি। আলহামদু লিল্লাহ আপনাদের এই দ্বীনি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় বিদেশে অবস্থানরত অনেক ভাই বদ দ্বীনের ফেতনা থেকে বিশেষ করে লা মাযহাবীদের ফেতনা থেকে নিজেদের বাচাঁর পথ খুজে পাচ্ছে। আহলেহক এখন প্রায় সবার মনের ভিতরে লুকায়িত দ্বীনি প্রশ্ন জানার একটি প্রাণকেন্দ্র।
হুজুর আমি আগামি ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশে ছুটিতে আসবো ইনশ্আল্লহ। আমার সাথে আরোও আমার অনেক দ্বীনি ভাই আসবে। আমাদের ফ্লাইট কুয়েতের সময় ভোর ২:১০ মিনিটে। আর ফজরের ওয়াক্ত আসবে ভোর ৫:১৩ মিনিটে। প্লেন বাংলাদেশে ল্যান্ড করবে কুয়েতের সময় সকাল ৮:০০ থেকে ৮:১০ মিনিটে ও বাংলাদেশ সময় সকাল ১১:০০ থেকে ১১:১০ মিনিটে। এখন প্রশ্ন হলো প্লেন ছাড়ার সময় ফজরের ওয়াক্ত হয় না। আবার নামার পরেও ওয়াক্ত থাকে না। তাহলে বিমানে নামাজ পড়ার বিধান কি? মেহেরবানি করে জানালে আমিসহ আরোও অনেক মুসলমান ভাই উপকৃত হবে। আল্লহপাক আপনাদের এই খেদমতকে কবুল করুন ও দোজাহানে আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। (আমিন)।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কিবলা নির্ধারণ করে বিমানের ভিতরেই সকলে আদায় করে নিবে। যেহেতু বিমানে দাড়িয়ে নামায পড়া সম্ভব, তাই দাড়িয়ে যথা নিয়মে রুকু সেজদার সাথে নামায আদায় করবে। যদি দাড়িয়ে আদায় করতে সমস্যা হয়, তথা মাথা ঘুরায় তাহলে বসে পড়ারও অনুমতি রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আপনাদের সকলকে কবুল করুন। আমীন।
ومثل السفينة القطر البخارية والطائرات الجوية ونحوها (كتاب الفقه على المذاهب الاربعة-1/206
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।