প্রচ্ছদ / খাদ্য-দ্রব্য / প্রচলিত মীলাদুন্নবী এবং মিলাদ মাহফিল ও তার খানা খাওয়ার হুকুম কী?

প্রচলিত মীলাদুন্নবী এবং মিলাদ মাহফিল ও তার খানা খাওয়ার হুকুম কী?

প্রশ্ন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম। কেউ মিলাদ না পরে মিলাদের পরে দেয়া জিলাপি খেতে পারবে? এটি কি জায়েজ? আমাদের এলাকায় ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষ্যে গরু জবাই করে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাকাবাসির কাছ থেকে চাঁদা তুলে বিরানি রান্না করে চাঁদা দানকারীদের বিলি করা হয়।

এই কাজে কি টাকা দেয়া জায়েজ? এই খাবার খাওয়া কি জায়েজ? জানাবেন আশা করি। জাজাকাল্লাহ।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রচলিত মিলাদ মাহফিল বিদআত।

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করাও বিদআত। তা’ই এসব অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দেয়া জায়েজ নেই।

কিন্তু যে গরু জবাই করা হয়, বা যে খানা বিতরণ করা হয়, তা যদি আল্লাহ ছাড়া কারো নামে জবাই করা হয়, বা পাকানো হয়, তাহলে তা খানা জায়েজ নেই। বাকি যদি আল্লাহর নামেই জবাই করা হয়, বাকি সওয়াব কোন বান্দার জন্য নিয়ত করা হয়, তাহলে মৌলিকভাবে তা খেতে কোন সমস্যা নেই। তবে এর মাধ্যমে বিদআতকে সমর্থন দেয়া হয়, এ হিসেবে তা বর্জন করাই উচিত।

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ [٥:٣]

তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব,রক্ত,শুকরের মাংস,যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়,{সূরা মায়িদা-৩}

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: الحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالحَرَامُ بَيِّنٌ، وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ، لاَ يَدْرِي كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَمِنَ الحَلاَلِ هِيَ أَمْ مِنَ الحَرَامِ، فَمَنْ تَرَكَهَا اسْتِبْرَاءً لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ فَقَدْ سَلِمَ، وَمَنْ وَاقَعَ شَيْئًا مِنْهَا، يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَ الحَرَامَ، كَمَا أَنَّهُ مَنْ يَرْعَى حَوْلَ الحِمَى، يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ، أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى، أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ (جامع الترمذى، رقم الحديث-1205)

اى أنشأ واخترع وأتى بأمر حديث من قبل نفسه…… (ما ليس منه) أى رأيا ليس له فى الكتاب أو السنة عاضد ظاهر أو خفى، ملفوظ أو مستنبط (فهو رد) أى مردود على فاعله لبطلانه، (فيض القدير، رقم الديث-8333)

وضع الحدود وإلتزام الكيفيات والهيئات المعينة فى أوقات معينة لم يوجد ذلك التعين فى الشريعة، (الإعتصام-1/39)

وفيه ايضا- ومنها التزام الكيفيات والهيئات المعينة كالذكر بهيئة الإجتماع  على صوت واحد واتخاذ يوم ولادة النبى صلى الله عليه وسلم عيدا، وما اشبه ذلك.. الخ (الإعتصام-1/29)

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- [email protected]

[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *