প্রচ্ছদ / অজু/গোসল/পবিত্রতা/হায়েজ/নেফাস / সকালে পানি ব্যবহারে বমি বমি ভাব আসলে কি অজু গোসল না করে তায়াম্মুম করে নামায পড়া যাবে?

সকালে পানি ব্যবহারে বমি বমি ভাব আসলে কি অজু গোসল না করে তায়াম্মুম করে নামায পড়া যাবে?

প্রশ্ন

আমি ফজরের নামাজ বেশির ভাগ সময় মিস করে ফেলি ( আল্লাহ মাফ করুন)। ফজরের নামাজ এর সময় উঠলে খুব বেশি বমির ভাব হয়, এর পর গরম অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে ওযু করলেও বমি চলে আসে, অর্থাৎ পানি ব্যবহার করলে বমির ভাব, মাত্রা আরো বেশি হয়ে যায়।

এখন প্রশ্ন হল, আমি কি তায়াম্মুম করে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারবো? দ্বিতীয় একই অবস্থায় যদি গোসল ফরজ হয় তখন ও কি তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা যাবে, কিংবা এই অবস্থায় ও কি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে? ফরজ গোসল এর দরকার হলে কি, কাপড় পরিবর্তন করে তায়াম্মুম করলে হবে? পানি দিয়ে গুসল করা খুবই কষ্টকর।

এটা শুধু শীতের কষ্ট না, কারণ আমার বমি বমি ভাব টা খুবই কষ্টের। তাই, আমি ফজরের নামাজ অনেক সময় দেরি করে অথবা জোহরের সময় আদায় করি। তায়াম্মুম যদি করতে পারি তাহলে ঠিক সময় আদায় করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তাই শরীয়তের কি হুকুম আমার জন্য। উল্লেখ, আমি এটার জন্য অনেক চিকিৎসা করেছি, তবে এটা বন্ধ হয়নি।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

বমি বমি ভাব আসা এমন উজর নয়, যার কারণে ওজু গোসলের ফরজিয়্যাত বাতিল হয়ে যায়। তাই কষ্ট হলেও অযু ও গোসলই করতে হবে। তায়াম্মুম করে নামায পড়লে আদায় হবে না।

তবে যদি এর চেয়েও মারাত্মক কোন অসুস্থ্যতার সম্ভাবনা থাকে, তাহলেই কেবল ওজু গোসলের স্থলে তায়াম্মুম করার সুযোগ রয়েছে। আর তায়াম্মুম করার পর অজু করা ও গোসল করলে যে হুকুম এরও হুকুম একই।

 

من عجز عن استعمال الماء لبعده ميلا……. او لمرض يشتد او يمتد بغلبة ظن أو قول حاذق مسلم، ولو بتحريك….. أو برد يهلك الجنب أو يمرضه……. تيمم لهذه الأعذار كلها (رد المحتار، زكريا-1/395، كرتاشى-1/232، الفتاوى الهندية-1/28، جديد-1/81، حاشية چلپى مع تبيين الحقائق، زكريا-1/117، ملتان-1/36، البناية، اشرفية-1/516)

فصار الأصل: أنه متى قدر على الاغتسال بوجه من الوجوه لا يباح له التيمم إجماعا (رد المحتار، زكريا-1/234، كرتاشى-1/398، البحر الرائق، زكريا-1/141، الفتاوى التاتارخانية-1/367، رقم-767)

ويجوز التيمم إذا خاف الجنب إذا اغتسل بالماء أن يقتله البرد أو يمرضه إذا لم يقدر على تسخين الماء (الفتاوى الهندية-1/28، هداية-1/49)

ولو كان يجد الماء إلا أنه مرض، فخاف إن استعمل الماء اشتد مرضه يتيمم لما تلونا (وان كنتم مرضى….) ولأن الضرر فى زيادة المرض فوق الضرر فى زيادة ثمن الماء، وذلك يبيح التيمم، فهذا أولى ولا فرق بين أن يشتد مرضه بالتحريك أو بالاستعمال (هداية، اشرفية-1/49، رد المحتار، زكريا-1/395، كرتاشى-1/232، الفتاوى الهندية-1/28، جديد-1/81)

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *