প্রচ্ছদ / অপরাধ ও গোনাহ / প্রাপ্ত বয়স্ক নাতনীর সাথে একই বিছানায় ঘুমানোর হুকুম কী?

প্রাপ্ত বয়স্ক নাতনীর সাথে একই বিছানায় ঘুমানোর হুকুম কী?

প্রশ্ন

আসসালামুআলাইকুম।

একজন ২৩ বছরের মেয়ে কি তার আপন দাদার সাথে একই বেডে ঘুমাতে পারবে?

দাদা আলাদা ঘরে থাকে দাদিকে নিয়ে।

দাদি তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় দাদা ঘরে একা। সে রাতে একা ভয় পেতে পারে এটা ভেবে তার সাথে ঘুমানো যাবে কি?

দ্রুত উত্তর পেলে খুবই উপকৃত হবো।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

 

ফেতনার শংকা হলে এক রূমে ঘুমানোই নিষেধ।

আর যদি ফেতনার শংকা না হয়, তাহলে এক রুমে ঘুমাতে পারবে। তবে এক বিছানায় নয়, বরং আলাদা বিছানায়। যেমন খাট আলাদা, বা একজন রুমের এক প্রান্তে অন্যজন আরেক প্রান্তে এভাবে ঘুমাতে পারবে।

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا، وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ»

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে সলাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশ বছর হয়ে যাবে তখন (সলাত আদায় না করলে) এজন্য তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৬৮৯, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৮৮৮]

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ” لَا يَنْظُرِ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ، وَلَا تَنْظُرِ الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ، وَلَا يُفْضِ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي الثَّوْبِ، وَلَا تُفْضِ الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِي الثَّوْبِ

হযরত আব্দুর রহমান বিন আবী সাঈদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এক পুরুষ অন্য পুরুষের সতরের দিকে দৃষ্টি দিবে না, এক নারী অন্য নারীর সতর দেখবে না। এক পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে একই চাদরের নিচে শুবে না এবং এক নারী অন্য নারীর সাথে একই কাপড়ের নিচে শুবে না। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১১৬০১]

عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ , رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:  «إِذَا بَلَغَ أَوْلَادُكُمْ سَبْعَ سِنِينَ فَفَرِّقُوا بَيْنَ فُرُشِهِمْ

আব্দুল মালিক বিন রাবী বিন সাবরাহ পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, যখন সন্তানের বয়স সাত বছর হয়, তখন তার বিছানা আলাদা করে দাও। [সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৮৮৬, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৭২১]

(وَلَا يَجُوزُ لِلرَّجُلِ مُضَاجَعَةُ الرَّجُلِ وَإِنْ كَانَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا فِي جَانِبٍ مِنْ الْفِرَاشِ) قَالَ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – «لَا يُفْضِي الرَّجُلُ إلَى الرَّجُلِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَلَا تُفْضِي الْمَرْأَةُ إلَى الْمَرْأَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ» وَإِذَا بَلَغَ الصَّبِيُّ أَوْ الصَّبِيَّةُ عَشْرَ سِنِينَ يَجِبُ التَّفْرِيقُ بَيْنَهُمَا بَيْنَ أَخِيهِ وَأُخْتِهِ وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ فِي الْمَضْجَعِ لِقَوْلِهِ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – «وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ» (الد المختار مع رد المحتار-3/382

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক ও প্রধান মুফতী-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *