ভ্রান্ত মতবাদ (২৭)
বর্তমানে পুরো মানবজাতি কাফের ও মুশরিক।
গত ১৩০০ বছর ধোরে রাসূলাল্লাহর আনীত দীন বিকৃত হোতে হোতে এখন যেটা এসলাম হিসাবে দুনিয়াময় পালিত হোচ্ছে সেটার সঙ্গে প্রকৃত এসলামের বাহ্যিক কিছু সাদৃশ্য ছাড়া কোন মিলই নেই;ভিতরে ,আত্মায়,চরিত্রে সেটা প্রকৃত এসলামের সম্পূর্ণ বিপরীত ।আল্লাহর সর্বব্যাপী সার্বভৌমত্ব অর্থাৎ তওহীদ থেকে বিচ্যুত হোয়ে পুরো মানবজাতি কার্য্যত কাফের ও মোশরেকে পরিণত হোয়েছে।(আল্লাহর মোজেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-পৃষ্ঠা-২৩)
এই উম্মতের সকলে ভ্রান্ত বিষয়ে ঐক্যমত হবে না,উম্মতের একটি দল সর্বদা হক্বের উপর থাকবে-এসব হাদীসের বিপরীতে গোটা উম্মতে মুসলিমাকে কাফির-মুশরিক আখ্যায়িত করা হাদীসগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের নামান্তর।
দুনিয়ার সব মুসলিম কাফের,মুশরিক এক কথায় ধ্বংশ হয়ে গেছে এমন কথা যারা বলে তাদের সম্পর্কে হাদীসে কঠোর হুশিয়ারি এসেছে ।
◾আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
إذا قال الرجل هلك الناس فهو أهلكهم
যে বলবে সমস্ত মানুষ ধ্বংশ (অর্থাৎ বেঈমান) হয়ে গেছে সে লোকটিই সবচেয়ে ধ্বংশপ্রাপ্ত।
অথবা সে তার অনুসারিদের ধ্বংশ করে ছাড়বে।
(সহীহ মুসলিম-২৬২৩;আবু দাউদ-৪৯৮৩)
এই হাদীস থেকে হেযবুত তওহীদ যে ভ্রান্ত দল তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল।
———————————————————————-
ভ্রান্ত মতবাদ (২৮)
পন্নী সাহেবের তথাকথিত মু’জিজা বিশ্বাস না করা মুনাফেকি
হেযবুত তাওহীদের বক্তব্যঃ
“হেযবুত তওহীদের এ মো’জেজাও অনেকেই বিশ্বাস কোরবে না, এমন কি আমার মনে হয় যারা ঘটনাস্থলে ছিল তাদের মধ্যেও অনেকে বিশ্বাস কোরবে না। তাদের মুক্তি নাই।“(আল্লাহর মোজেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা পৃঃ৬২)
“হেযবুত তওহীদে যারা আছো তারা এটার সম্বন্ধে কোন সন্দেহ রাখবে না।সন্দেহই মোনাফেকী।১০০% এর ভিতর যার মনে ৫% সন্দেহ আছে সে ৫% মোনাফেক।যার ১০% সন্দেহ আছে সে ১০% মোনাফেক।সন্দেহই মোনাফেকী।আল্লাহ কোর’আনে বোলছেন, ‘যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে’ , অর্থাৎ অসুখ, এই অসুখ বোলতে আল্লাহ বোঝাচ্ছেন এই মোনাফেকী।যে ঘটনা ২ ফেব্রুয়ারী ‘০৮ তারিখে হোয়ে গেছে তোমরা এর মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহ রাখবে না,বিন্দুমাত্র না।” (আল্লাহর মোজেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা -৬৩)
পর্যালোচনাঃ
এ ব্যাপারে সমস্ত মুসলিম একমত, যে সমস্ত অলৌকিক ঘটনা নবীদের দ্বারা সংগঠিত হয় তাকে মো’জেজা বলে এবং উম্মতের নেকবান্দাদের দ্বারা যেসব অলৌকিক ঘটনা ঘটে সেগুলোকে কারামত বলা হয়।
আরব-অনারবের সকলে একমত যে, মোজেজা নবিদের সাথে নির্ধারিত।কোনো উম্মত যদি নিজের ক্ষেত্রে মোজেজা ঘটেছে দাবি করে সে নিতান্তই একজন প্রতারক।
কিন্তু পন্নী সাহেব নিজের বেলায় দাবি করেছেন যে তার দ্বারা নাকি মো’জেজা ঘটেছে। এমনকি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর “মো’জেজা বার্ষিকী” শিরোনামে অনুষ্ঠান করেছেন।পূর্বে তার দাবিকৃত মু’যিজার অসারতার প্রমাণ দেয়া হয়েছে ।এরকম ভিত্তিহীন মু’যিজা অস্বীকার করাকেই তিনি মুনাফেকীর মানদন্ড হিসেবে উপস্থাপন করেছেন !
———————————————————————-
ভ্রান্ত মতবাদ-২৯ঃ মু’মিন হতে হলে বায়েজিদ খান পন্নীর আনুগত্য আবশ্যক
#হিযবুত_তাওহীদের_বক্তব্যঃ এখনকার সময়ের জন্য তিনিই আল্লাহর মনোনীত এমাম।কাজেই এই সময়ে যারা মোমেন মুসলিম হতে চায়,আল্লাহর সঠিক দিক নির্দেশনা,হেদায়াহ লাভ করতে চায় তাদের এমামুযযামানের আনুগত্য ছাড়া মুক্তি নেই। (হিযবুত তাওহীদের ওয়েবসাইটে মাননীয় এমামুযযামান বিষয়ের অধিনে রচিত ‘যামানার এমাম শব্দের অর্থ কী’ প্রবন্ধের শেষ প্যারা)
#পর্যালোচনাঃ
নাবী ﷺ বলেছেনঃ
اسمعوا وأطيعوا، إلا أن تروا كفراً بواحاً عندكم عليه من الله برهان
তোমরা শাসকের কথা শ্রবণ করবে ও তার অনুগত থাকবে কিন্তু যদি স্পষ্ট কুফরী দেখ, তোমাদের কাছে আল্লাহর তরফ থেকে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান, তাহলে আলাদা কথা।(সহীহ বুখারী-৭০৫৬ , সহীহ মুসলিম-১৭০৯)
আলী (রাঃ) বর্ণনা করেন, নাবী ﷺ বলেছেনঃ
لاَ طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةٍ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ
আল্লাহর নাফরমানীর কাজে কোনরূপ আনুগত্য নেই। আনুগত্য করতে হয় কেবলমাত্র ন্যায়সঙ্গত কাজে। (সহীহ বুখারী-৭২৫৭ , সহীহ মুসলিম -১৮৪০)
কুরআন -হাদীস ও ইসলামের মৌলিক আক্বীদার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী বায়েজিদ খান পন্নীর আনুগত্য করলে মু’মিন নয় বরং ঈমান হারানো ছাড়া উপায় নেই।