প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
সম্মানিত মুফতি সাহেব,
আমাদের এলাকায় একটি ইবাদত খানা আছে যেটির জন্য নির্দিষ্ট কোন মুয়াজ্জিন ও ইমাম নির্ধারিত নেই। তবে সেই ইবাদত খানায় এলাকার একজন মুরব্বি নিয়মিত নামাজ পড়ান। তিনি নিজে ইকামত দেন এবং নিজেই ইমামতি করেন অথচ মুসল্লিগণের মদ্ধ্যে এমন ব্যাক্তিও উপস্থিত থাকেন যারা সহিহ শুদ্ধভাবে ইকামত দিতে পারেন।
প্রশ্ন হলো, সহিহ শুদ্ধভাবে ইকাম দিতে জানে এমন ব্যাক্তির উপস্থিতি সত্ত্বেও উক্ত মুরব্বির জন্য নিজে ইকামত দিয়ে নিজে ইমামতি করা কি জায়েজ হবে ? নামাজ হবে কি না ?
মহান আল্লাহ তাআলা আপনাদের খেদমত কে কবুল করুন এবং উত্তম প্রতিদান করুন।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি মুসল্লিগণের মাঝে কেউ শুদ্ধ করে ইকামত দিতে পারেন, তিনিও ইকামত দিতে পারেন। ইমাম সাহেব নিজেই ইকামত দিয়ে নামাযের ইমামতী করাতে কোন সমস্যা নেই।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও ইকামত দিয়ে নিজেই ইমামতী করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
عن عقبة بن عامرالجهنى قال: كنت مع النبى صلى الله عليه وسلم فى سفر، فلما طلع الفجر أذن وأقام، ثم أقامنى عن يمينه (المصنف لابن ابى شيبة، كتاب الصلاة، باب ما كان يخفف القراءة فى السفر-3/254، رقم-3708)
الأفضل كون الإمام هو المؤذن، وفى الضياء: أنه عليه الصلاة والسلام أذن فى سفر بنفسه وأقام وصلى الظهر
وفى رد المحتار: وقد أخرج الترمذى أنه عليه الصلاة والسلام أذ فى سفر وصلى بأصحابه (الدر المختار مع رد المحتار، باب الاذان، مطلب هل بأثر النبى صلى الله عليه وسلم الأذان بنفسه-2/71
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]