প্রশ্ন
আমার এক বান্ধবীর স্বামী তাকে ঢাকা থেকে তালাকের নোটিশ পাঠায়। কিন্তু কাগজটা সে হাতে পাবার আগেই তা জানতে পেরে গ্রামে স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। পরে দুইপক্ষের মিটিং মিমাংসা হলে ৯০ দিনের আগেই স্বামী তাকে ফিরিয়ে নেয়। এর পর বেশ কিছু বছর পার হয়ে যায়, কিন্তু এখন বউয়ের মনে প্রশ্ন আসে যে সেই কাগজে কী ‘তালাকে বায়েন’ লেখা ছিল? তা লেখা থাকলে তো তাদের তালাক হয়ে যায়। কারণ সে অনলাইনে এরকম তালাকের নোটিশ এর ছবি দেখেছে। তারপর থেকে সে আর মন থেকে সংসার করতে পারছে না। শুধু মনে হয় যে সে অবৈধ সম্পর্কে আছে। তার স্বামীকে প্রশ্ন করলে সে বলে তার কিছু মনে নেই, কী লিখেছিল। বাংলাদেশের তালাক নোটীশে আসলে কী লেখা থাকে? তালাক কীভাবে হয়?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
স্বামীর পক্ষ থেকে তালাকের নোটিশে সাধারণত তালাকে বায়েন প্রদানের কথা লিখা থাকে।
আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকের নোটিশে তালাকে তাফওয়িজের কথা লিখা থাকে।
যেহেতু প্রশ্নের বিবরণে স্বামী কর্তৃক তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাই ধরেই নিতে হবে তালাকে বাইন প্রদান করা হয়েছে।
তাই বর্তমানে আপনাদের একসাথে বসবাস করা বৈধ হবে না।
যদি সংখ্যা উল্লেখ করা ছাড়া শুধু তালাকে বাইন প্রদান করা হয়ে থাকে, তাহলে এক তালাকে বাইন পতিত হয়েছিল।
সেই হিসেবে এখন আপনাদের নতুন করে বিবাহ করা ছাড়া ঘরসংসার করা বৈধ হবে না।
তাই আপনাদের জন্য আবশ্যক হল, দ্রুত নতুন করে বিবাহ সম্পন্ন করে নিন। তারপর একসাথে থাকাতে কোন সমস্যা নেই। বাকি পরবর্তীতে আপনার স্বামী আর দুই তালাকের মালিক থাকবেন।
ولو استكتب من آخر كتابا بطلاقها وقرأه على الزوج، فأخذه الزوج وختمه وعنوانه وبعث به إليها، فأتاها وقع إن أقر الزوج أنه كتابه (رد المحتار-4/456)
وفى الفتاوى الهندية–إذا كان الطلاق بائنا دون الثلاث فله أن يتزوجها في العدة وبعد انقضائها وإن كان الطلاق ثلاثا في الحرة وثنتين في الأمة لم تحل له حتى تنكح زوجا غيره نكاحا صحيحا (الفتاوى الهندية-1/472-473)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com