প্রশ্ন
ঘুষ দিয়ে কোথাও ভর্তি হয়ে অর্জিত সার্টিকিফেট দিয়ে চাকুরী করলে চাকুরীর বেতন কি হালাল??
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার বক্তব্যটি অস্পষ্ট। দু’টি সুযোগ আছে। যথা-
১
পড়াশোনা না করেই সার্টিফিকেট নেয়া হয়েছে ঘুষ দিয়ে।
২
ভর্তি হয়েছিলেন ঘুষ দিয়ে।
যদি পড়াশোনা না করে ঘুষ দিয়ে নামকাওয়াস্তে ভর্তি হয়ে সার্টিফিকেট নেয়া হয়, তাহলে এ সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী করা জায়েজ হবে না। কারণ এটি পুরাটাই ধোঁকা।
যদি ভর্তির যোগ্যতা থাকার পরও ভর্তি না করায় বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে ভর্তি হয়ে থাকেন। তারপর পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট অর্জন করে থাকেন। তাহলে উক্ত সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী করা সম্পূর্ণ বৈধ। যদিও বাধ্য হয়ে ভর্তিটি ঘুষ দিয়ে হতে হয়েছিল।
وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ [٢:١٨٨
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না। [সূরা বাকারা-১৮৮]
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١
তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
الرشوة ما يعطيه الشخص الحاكم وغيره ليحكم له او يحمله ما يريد (رد المحتار، كتاب القضاء، مطلب فى الكلام على الرشوة-8/34، اعلاء السنن، كتاب القضاء، تحقيق معنى الرشوة-15/61)
الرابع ما يدفع لدفع الخوف من المدفوع اليه على نفسه او ماله حلال للدافع حرام على الآخذ (رد المحتار، كتاب القضاء، مطلب فى الكلام على الرشوة-8/35، فتح القدير، كتاب اداب القضاء-7/255
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com