প্রচ্ছদ / অজু/গোসল/পবিত্রতা/হায়েজ/নেফাস / বাচ্চা প্রসবের পর ৫দিন রক্ত আসার পর ৬দিন রক্ত বন্ধ থাকার পর আবার রক্ত আসলে বিধান কী?

বাচ্চা প্রসবের পর ৫দিন রক্ত আসার পর ৬দিন রক্ত বন্ধ থাকার পর আবার রক্ত আসলে বিধান কী?

প্রশ্ন

মহিলার প্রথম সন্তান প্রসব হল। সন্তান প্রসবের পর ৫দিন রক্ত দেখা গেল। তারপর বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর আবার ৬দিনের মাথায় আবার রক্ত দেখা গেল। এখন প্রশ্ন হল, রক্ত বন্ধ হবার পর আবার যে রক্ত দেখা গেল, সেটি কি হায়েজের রক্ত ধরা হবে? নাকি নেফাসের রক্ত?

উক্ত মহিলার নামাযেরই বা কি বিধান? পড়তে হবে কি না?

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

নেফাসের সর্বোচ্চ সময়সীমা হল ৪০ দিন। ৪০দিনের মাঝে রক্ত বন্ধ হবার পর যদি আবার ৪০ দিনের মধ্যেই রক্ত দেখা যায়, তাহলে সেটিকে নেফাসের রক্তই ধরা হবে। হায়েজের নয়।

সেই হিসেবে নামায রোযা করা যাবে না।

এভাবে যদি চলতেই থাকে, অর্থাৎ কিছুদিন রক্ত আসে, আবার বন্ধ হয়ে যায়, আবার রক্ত আসে, আবার বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে ৪০দিন পর্যন্ত নেফাসের রক্তই আসছে বলে ধর্তব্য হবে।

কিন্তু ৪০দিনের পরও যদি রক্ত আসে, তাহলে সেটিকে নেফাসের রক্ত নয়, বরং ইস্তিহাজা তথা অসুস্থ্যতার রক্ত ধরা হবে। সে সময় নামায রোযা মাফ হবে না। পড়তে হবে।


فى تنوير الابصار: (وَالنِّفَاسُ دَمٌ عَقِبَ وَلَدٍ لَا حَدَّ لِأَقَلِّهِ وَأَكْثَرُهُ أَرْبَعُونَ يَوْمًا (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497

وفى الدر المختار: (وَأَكْثَرُهُ أَرْبَعُونَ يَوْمًا) كَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ وَلِأَنَّ أَكْثَرَهُ أَرْبَعَةُ أَمْثَالِ أَكْثَرِ الْحَيْضِ.(وَالزَّائِدُ) عَلَى أَكْثَرِهِ (اسْتِحَاضَةٌ) لَوْ مُبْتَدَأَةً؛ أَمَّا الْمُعْتَادَةُ فَتُرَدُّ لِعَادَتِهَا وَكَذَا الْحَيْضُ، فَإِنْ انْقَطَعَ عَلَى أَكْثَرِهِمَا أَوْ قَبْلَهُ فَالْكُلُّ نِفَاسٌ. (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/497-498

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *