প্রশ্ন
From: মুহা কাওছার
বিষয়ঃ তালাক্ব
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ!
আমার প্রশ্ন হলো,
কোন (অবিবাহিত)ব্যক্তি কাউকে(লিখিতভাবে) বলল: আমি তোমার সাথে কথা বললে, আমি বিবাহ করার পর আমার বউ তিন তালাক।
অত:পর কথা বলে ফেলল।
এখন উক্ত বিষয়ের বিস্তারিত মাসআলাহ সম্পর্কে মুখাপেহ্মি।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উপরোক্ত কথার দ্বারা বিয়ে করার পর তালাকের সম্বন্ধ করা হয়েছে। তাই বিয়ে করলেই স্ত্রী তিন তালাক হয়ে যাবে।
এ থেকে বাঁচার একটি পদ্ধতি হল, যিনি উক্ত কসম করেছে, তাকে কিছু না বলে তৃতীয় কোন ব্যক্তি পছন্দসই পাত্রীর কাছে গিয়ে বলবে যে, “আমি এত টাকা মোহরের বিনিময়ে উক্ত ব্যক্তির সাথে বিবাহের প্রস্তাব দিলাম”। তখন কন্যা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করবে। আর এ প্রস্তাবনা এবং কবুল বলাটা দুইজন পুরুষ মুসলিম সাক্ষ্যির সামনে হতে হবে।
তারপর বিয়ে সম্পাদনকারী তৃতীয় ব্যক্তি কসমকারী পাত্রের কাছে এসে বলবে যে, আমি তোমার বিবাহ ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়েছি। সুতরাং তুমি কিছু মোহর প্রদান কর। তখন কসমকারী পাত্র কোন কথা বলবে না, বরং কিছু মোহর প্রদান করবে। যা তৃতীয় ব্যক্তিটি বধুর কাছে প্রদান করবে, এতে করে বিবাহ পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই সাথে কসমও ভঙ্গ হবে না। [ফাতাওয়া মাহমূদিয়া-১৯-১৯৭-১৯৮
فى المجمع الانهر- إن وجد الشرط المذكور انتهت اليمين إلا في كلمة كلما لأنها تقتضي عموم الأفعال فإذا وجد فعل فقد وجد المحلوف عليه وانحلت اليمين في حقه ويبقى في حق غيره فيحنث إذا وجد غير أن المحلوف عليه طلقات هذا الملك وهي متناهية فتنتهي اليمين بانتهائها ما لم تدخل تلك الكلمة على صيغة التزوج لدخولها على سبب الملك فلو قال تفريع لما قبله كلما تزوجت امرأة فهي طالق تطلق بكل تزوج ولو وصلية بعد زوج آخر لأن صحة هذا اليمين باعتبار ما سيحدث من الملك وهو غير متناه
وعن أبي يوسف أنه لو دخل على المنكر فهو بمنزلة كل وتمامه في المطولات والحيلة فيه عقد الفضولي أو فسخ القاضي الشافعي وكيفية عقد الفضولي أن يزوجه فضولي فأجاز بالفعل بأن ساق المهر ونحوه لا بالقول فلا تطلق (مجمع الانهر فى شرح ملتقى الأبحر، باب التعليق الطلاق من كتاب الطلاق-2/59-60، كتاب الهندية، كتاب الطلاق، الباب الرابع فى الطلاق بالشرط، الفصل الثانى فى تعليق الطلاق بكلمة كل وكلما-1/419، رد المحتار-5/672
বিঃদ্রঃ
এরকম অহেতুক কসম করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা জরুরী। মুমিনের স্বাভাবিক আচরণ হল, তিনি অহেতুক কথা বলবেন না। অপ্রয়োজনীয় কসম খাবে না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]