প্রশ্ন
From: Md. Mofazzal hossain
Subject পীর সাহেব চরমোনাই
Country : Dhanmondi, Dhaka.
Message Body:
প্রশ্ন : ১) চরমোনাই পীর সাহেব হক্কানী পীর কিনা?
২) মরহুম চরমোনাই পীর সাহেব হযরত এছহাক (রহ.) এর লিখিত কিতাব গুলা পড়া যাবে কিনা? । ঐ কিতাব গুলোতে নাকি শিরক ও বিদআত এ ভরা এবং এই কিতাব গুলো পড়লে নাকি ঈমান থাকে না। আহলে হাদীস সহ বিশেষ একটি মহল বিদআতি, শিরকী, ভন্ড, বলে গালি দেয় ও ফেইসবুক সহ বিভিন্ন্ মিডিয়ায় তারা অপ-প্রচার করে সাধারন লোকদের ধোকা দিচ্ছে।
৩) মরহুম চরমোনাই পীর সাহেব হযরত এছহাক (রহ.) এর লিখিত ভেদে মারফত কিতাবে হযরত শামছুত তাবরিজী (রহ.) এর ঘটনা, হযরত মনসুর হাল্লায ও হযরত মুসা (আ.) ও রাখালের ঘটনা সঠিক কিনা? । ৪) পিস টিভির আলোচক শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর সম্পর্কে জানতে চাই ঊনি চরমোনাই পীর সাহেবের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের জন্য একটি ওয়েব সাইট করছেhttp://chormonai.wordpress.com/) এ সম্পর্কে দলিল সহ বিসত্মারিত জানতে চাই ।
মো: মোফাজ্জল হোসেন
ধানমন্ডি,ঢাকা
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
১ নং এর জবাব
আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এবং দেশে হক্কানী আলেমদের বক্তব্য অনুযায়ী মাওলানা ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহঃ একজন হক্কানী, শরয়ীতপন্থী, সঠিক আক্বিদাপন্থী পীর ছিলেন। একজন হক্কানী আল্লাহওয়ালা পীরের মাঝে যেসব গুনাবলী থাকা প্রয়োজন তার মাঝে প্রায় সবই ছিল। আল্লাহর রহমতে ফজলুল করীম সাহেবের ছেলেরাও বর্তমানে সহীহ পদ্ধতিতেই পীর-মুরীদি করে যাচ্ছেন আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এখন পর্যন্ত।
২ নং প্রশ্নের জবাব
মাওলানা ফজলুল করীম রহঃ এর পিতা মাওলানা এছহাক সাহেবের কিছু বইয়ে তাসাউফের উচ্চ পর্যায়ের কিছু কথা আছে, যা বাহ্য দৃষ্টিতে শিরকের নামান্তর। তাই তার লেখা বই না পড়াই উত্তম হবে। কিন্তু মাওলানা এছহাক সাহেবের লেখা বইয়ের জন্য তার আলেম ছেলে মাওলানা ফজলুল করীম সাহেবকে খাটো করার মানসিকতা একটি নোংরা মানসিকতা। সেই সাথে অবিচারও। পিতার কারণে সন্তানকে দোষারোপ করা জাহিলী যুগের বর্বরতার নামান্তর।
৩ নং প্রশ্নের জবাব
এই সকল ঘটনা আল্লাহ পাগল কিছু মানুষের ঘটনা। এসব সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাহিরে। তাই এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করা উচিত নয়। এই জন্যই এসব আশ্চর্য ঘটনা লিপিবদ্ধ করার পর প্রকাশক ভেদে মারেফত বইটির টিকায় স্পষ্টই উল্লেখ করেছেন যে, এসব কথা সাধারণ মানুষের জন্য সুষ্পষ্ট শিরক। এসব কথা ধরা হবে এমন যে, যেমন শিশু সন্তান পিতার গালে থাপ্পড় মারে। এটাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়না। এমনি এসব ঘটনা। এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করার কোন প্রয়োজন নেই। আর ভেদে মারেফতসহ মাওলানা এছহাক সাহেবের লিখা বই না পড়াই উত্তম হবে সাধারণ মানুষের জন্য। পড়তে পারেন মাওলানা ফজলুল করীম রহঃ এর লিখা বইসমূহ।
৪নং প্রশ্নের জবাব
মতিউর রহমান মাদানী হল-সৌদীর বেতনভুক্ত দাঈ। সৌদীর শায়েখদের ধোঁকা দিয়ে টাকা এনে বাংলাভাষী মানুষের আমল ও ঈমানে সন্দেহ-বিভ্রান্তি সৃষ্টির ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছে এই লোক। সারা পৃথিবীতে যখন মুসলমানরা নির্যাতিত। মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য উঠেপরে লেগেছে ইহুদী খৃষ্ট শক্তি, সেখানে মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে ওদের পথকে সুগম করে দিচ্ছে এই ইহুদীদের এজেন্ডা বাস্তবয়নকারী। তার লেকচার শুনা এখন সাধারণ মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বে নামাযীকে নামাযী বানানোর জন্য তার কোন লেকচার নেই। নামাযীর মনে সন্দেহ সৃষ্টিকারী অপালাপই তার বক্তব্যের সারমর্ম। তাই তার থেকে সাবধান থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইসলামের দুশমনদের মুখোশধারী চেহারা উন্মোচন করে সাধারণ মুসলমানদের হিফাযত করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক–তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
zazakallaha.