প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম।
নামঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
রংপুর,বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: বর্তমানে আমাদের এলাকায় IS (Islamic State) বা ISIL (Islamic State of Iraq and Levant) বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু পেপার পত্রিকা একে জঙ্গী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে প্রচার করছে। আমার জানামতে কিছু ইসলামী দেশও
এর বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হলো,এদের আক্রমন ভঙ্গী,যাবতীয় কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য ইসলাম সমর্থিত কিনা? মুসলমানরা এদের সমর্থন জানালে তা শরীয়ত সম্মত হবে কি
আরেক ভাইয়ের প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, আমি ফ্রান্স প্রবাসী । আমি প্রায় তিন বৎসর যাবত জার্মানি এবং ফ্রান্স এ বসবাস করছি । এখানে আমদের ভিতর অনেক যুবক এর মনে সবসময় একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আর তা হল, ইরাকে যে ইসলামিক ইস্টেইট এ আবুবক্কর আল বাগদাদি কে খলিফা করে যে খিলাফত গঠন করা হইয়াছে ইহা কি শরীয়ত সম্পন্ন কি না ?
আমাদের এখান থেকে অনেকে ইরাকে হিজরত করেছে এবং অনেকে সেখানে জাবার জন্য মনস্থির করে রেখেছে । এখন আমি কি করব তা বুঝে উঠতে পারছিনা এখানে আপনার উত্তর কামনা করছি ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আই এস বা ইসলামিক ষ্টেট সম্পর্কে আমাদের মতামত হল। তারা কারা? কে এই আবু বকর বাগদাদী? কি তার আকিদা বিশ্বাস? তার মূল মাকসাদ কি? সে কারো এজেন্ট কি না? নাকি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিধান কায়েমই একমাত্র মাকসাদ?
এর কোনটিই আমাদের কাছে পরিস্কার নয়। পৃথিবীর সব ক’টি শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম ইহুদী বা খৃষ্টান নিয়ন্ত্রিত। বিবিসি, সিএনএন, ভয়েস অফ আমেরিকা, এপি, এএফপি, রয়টার্সসহ সকল শক্তিশালী মিডিয়া তাদের দখলে। ফলে তাদের সংবাদের উপর নির্ভর করে আমরা কাউকেই যাচাই করতে পারছি না।
এ আমেরিকান মিডিয়াই এক সময় ওসামা বিন লাদেনকে বিশ্বনেতা বলে আখ্যায়িত করেছিল। আবার তারাই বানিয়েছে ভিলেন। তাই শুধুই তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদের উপর নির্ভর করে আমরা কোন সিদ্ধান্তই দিতে পারছি না। যেহেতু আইএসের কোন প্রতিষ্ঠাতা বা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ব্যাপারে না আমাদের জানা আছে। না তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা ওয়াকিফহাল।
তাই তাদের ব্যাপারে যেমন বাতিল হবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারছি না। তেমনি ইসলামের সঠিক খিলাফতের দাবিদার বলেও স্বীকৃতি দিতে পারছি না। আমাদের কাছে তাদের আকিদা ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশিত হওয়া ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে শরয়ী কোন সিদ্ধান্ত জানাতে আমরা অপারগ। তাই আমাদের নীতি হল, কাউকে এ সংগঠণে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ যেমন করছি না। তেমনি যারা যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে শক্ত শব্দ ব্যবহার করাও সমীচিন মনে করি না।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ [٤٩:٦]
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। {সূরা হুজুরাত-৬}
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
nice answer.
আপনার এ মন্তব্যটা অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে এদের সম্পের্কে বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন। http://justpaste.it/daesh18